|
|
|
|
বিচ্যুতি রুখে স্কুল গড়তে হুবহু নীতি মানবে রাজ্য |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²কলকাতা |
নতুন বিদ্যালয় স্থাপনের ব্যাপারে স্বীকৃত নীতি যে আগের জমানায় সব সময় মেনে চলা হয়নি, এখন সরকারি মহলেই তা কবুল করা হচ্ছে। এই অবস্থায় রাজ্যে প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্ধারিত নীতি হুবহু মেনে চলতে চাইছে নতুন সরকার।
এখন যে-সব গ্রামের এক কিলোমিটারের মধ্যে কোনও প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই, একমাত্র সেই সমস্ত অঞ্চলেই নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার অনুমতি দেওয়া হবে বলে মঙ্গলবার জানান স্কুলশিক্ষা সচিব বিক্রম সেন। একই ভাবে যে-সব মৌজার দুই কিলোমিটারের মধ্যে কোনও উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় (অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত) নেই, সেখানে নতুন উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের কাজকে অগ্রাধিকার দেবে সরকার। আর যে-সব অঞ্চলে পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় নেই, ওই ধরনের নতুন বিদ্যালয় হবে সেই সব জায়গাতেই।
মহাকরণ সূত্রের খবর, বাম জমানায় অনেক ক্ষেত্রেই এই নীতিসূত্র অমান্য করা হয়েছিল। স্কুল থাকা সত্ত্বেও ‘রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা’র কারণে তখন বাড়তি স্কুলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল অনেক জায়গাতেই। অথচ যেখানে প্রয়োজন, বঞ্চনা করা হয়েছে সেই এলাকাকে।
পশ্চিমবঙ্গের কোথায় কত দূরত্বের মধ্যে কী ধরনের বিদ্যালয় আছে, সেই ব্যাপারে ‘জিওগ্রাফিক্যাল ইনফর্মেশন সিস্টেম’ বা জিআইএস মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে। তা থেকে বোঝা যাচ্ছে, কোন কোন জায়গায় নির্দিষ্ট দূরত্বের মধ্যে কোন স্তরের বিদ্যালয়ের অভাব রয়েছে। মানচিত্রটি কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকেরও নজরে পড়েছে। ওই মন্ত্রকের অনুরোধে দিল্লিতে শিক্ষামন্ত্রীদের সর্বভারতীয় সম্মেলনে আজ, বুধবার রাজ্য সরকারের আধিকারিকেরা সেটি প্রদর্শন করবেন। |
|
|
 |
|
|