মুনাফাবাজি রুখতে আলুর হিসেব তলব
জুতদারি রুখে আলুর দাম আমবাঙালির নাগালের মধ্যে রাখতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। সেই জন্য সব হিমঘর-মালিককে ১৪ জুনের মধ্যে মজুত আলুর পরিমাণ জানানোর নির্দেশ দিয়েছে কৃষি বিপণন দফতর। আলু নিয়ে মুনাফাবাজি রুখতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায়। তিনি বলেন, “রাজ্যে ৪২১টি হিমঘরে শুধু আলুই মজুত রাখা হয়। কোন হিমঘরে কত আলু আছে, তার হিসেব চাওয়া হচ্ছে।”
মন্ত্রী জানান, মজুত আলুর পরিমাণ জানার পরে বিপণন বিভাগের অধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক হবে। কোন জেলার কোন হিমঘরের মালিককে প্রতি মাসে বা প্রতিদিন কত আলু বাজারে ছাড়তে বলা হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ওই বৈঠকে। কোনও হিমঘর-মালিক আলুর ভুল হিসেব দিলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে কৃষি বিপণন দফতর।
ওই দফতরের এক কর্তা জানান, ২০১০ সালে খোলাবাজারে আলুর দাম প্রতি কিলোগ্রাম ২২ টাকার বেশি হয়ে গিয়েছিল। সেই সময় কয়েকটি হিমঘরের মালিক এক শ্রেণির মজুতদারের সঙ্গে যোগসাজশে বাড়তি মুনাফা লুটেছিলেন। এ বার আলুর দাম যাতে সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে না-যায়, সেই কারণেই আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
২০১০ সালে আলুর ব্যাপক ফলন হয়েছিল। অনেক কৃষকই আলুর ন্যায্য দাম পাননি। কৃষকদের বাঁচাতে সরকার ৪০০ কোটি টাকার আলু সরাসরি খেত থেকে কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। সংগ্রহমূল্য কুইন্টাল-প্রতি ৩৫০ টাকা। কিন্তু আলু কিনতে গিয়ে ১৫০ কোটিরও বেশি টাকা তছরুপ হয়েছিল। দফতরের মন্ত্রী জানান, তছরুপ নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আলুর জন্য সরকারকে যদি কখনও ক্ষুদ্র, মাঝারি বা প্রান্তিক কৃষককে ভর্তুকি দিতে হয়, তা হলে ফড়ে বা দালালদের এড়ানোর বন্দোবস্ত নিশ্চিত করে তবেই ভর্তুকির ব্যবস্থা হবে। কিন্তু কী সেই ব্যবস্থা, মন্ত্রী তাজানাতে চাননি।
Previous Story Rajya Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.