|
|
|
|
মাওবাদী এলাকায় কারিগরি কলেজ |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²নয়াদিল্লি |
যুবকদের রোজগারের পথ দেখাতে রাজ্যের মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে কারিগরি কলেজ খোলার পরিকল্পনা নিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকাগুলির যুবকদের সমাজের মূল স্রোতে নিয়ে আসতে গোটা দেশের বিভিন্ন জেলাতেই এই ধরনের আইআইটি ও পলিটেকনিক প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেই প্রকল্পের আওতায় লালগড়ে একটি আইটিআই কেন্দ্রের জন্য ইতিমধ্যেই জমি চিহ্নিত করা হয়েছে বলে আজ জানিয়েছেন রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা মন্ত্রী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। তবে লালগড় ছাড়াও বাঁকুড়া, পুরুলিয়া বা পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন মাওবাদী উপদ্রুত এলাকায় আগামী দিনে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে আইটিআই ও পলিটেকনিক কলেজ খোলা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। এর জন্য প্রয়োজনে বেসরকারি ক্ষেত্রের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগও গ্রহণ করা হতে পারে। রবিরঞ্জনবাবু বলেন, সরকার চায়, নিম্ন ও মধ্য মেধার ছাত্র-ছাত্রীরা হাতের কাজ শিখে রোজগার করুক। সেই উদ্দেশ্যে রাজ্যের প্রযুক্তি শিক্ষার পাঠ্যক্রমের খোলনলচে বদলে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। শিল্পের চাহিদার কথা মাথায় রেখে পাঠ্যসূচি আধুনিকীকরণ ও নতুন পাঠ্যক্রম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতর। স্থানীয় শিল্পের চাহিদার উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে পাঠ্যক্রমে। |
 |
দিল্লিতে কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, স্কুলশিক্ষামন্ত্রী
রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। নিজস্ব চিত্র |
রবিরঞ্জনবাবু বলেন, “অন্ধ্রপ্রদেশ বা গুজরাতে যেখানে ৪০০ ও ৭০০টি আইটিআই রয়েছে, সেখানে পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে মাত্র ৫২টি। তাই আগামী পাঁচ বছরে রাজ্যে ৩০০টি নতুন আইটিআই খোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগামী এক বছরেই আইটিআই ও পলিটেকনিক মিলিয়ে ১০০টি কারিগরি কলেজ খোলা হবে।” বিষয়টি নিয়ে আজ রাজ্যের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী কপিল সিব্বল ও বিশ্বব্যাঙ্কের প্রতিনিধিদের একপ্রস্ত বৈঠক হয়।
আজ দিল্লিতে সেন্ট্রাল অ্যাডভাইসারি বোর্ড অফ এডুকেশন বা ক্যাবের বৈঠকে রাজ্যের তিন শিক্ষামন্ত্রী কেন্দ্রের সামনে রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রের একাধিক সমস্যা তুলে ধরেন। বৈঠকে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের পক্ষ থেকে আজ সমস্ত রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীদের কাছে প্রস্তাব রাখা হয়, নিখরচায় বাধ্যতামূলক শিক্ষা অষ্টম শ্রেণির বদলে দশম শ্রেণি পর্যন্ত করা হোক। এই প্রস্তাবটি প্রায় সব রাজ্যই মেনে নিয়েছে। রাজ্যের স্কুলশিক্ষা মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “প্রস্তাবটি ভাল। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে মন্ত্রিসভায় আলোচনার পরেই।” তবে আজকের বৈঠকে বিহার, উত্তরপ্রদেশের মতো কিছু রাজ্য ওই প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সাহায্য বৃদ্ধির দাবি জানায়। ওই বৈঠকে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু দেশের সব কলেজে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত, নাটক, নৃত্যের পাঠ্যক্রম চালু করা নিয়ে কপিল সিব্বলের কাছে দরবার করেন। |
|
|
 |
|
|