লক্ষ্য পাহাড়-জঙ্গলের শান্তি, জোর ফুটবলেই |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²শিলিগুড়ি |
রাজনৈতিক আলোচনা চলছে চলুক। পাশে থাক ফুটবল।
এ বার ফুটবলকে হাতিয়ার করে পাহাড়ে ও জঙ্গলমহলে শান্তি ও সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে সচেষ্ট রাজ্য সরকার। সে জন্য দার্জিলিং গোল্ড কাপ টুর্নামেন্টকে জাতীয় স্তরের মর্যাদা দিতে উদ্যোগী হয়েছেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র। ঠিক যেমন চেষ্টা বামফ্রন্টের আমলে হয়েছিল পুলিশ-প্রশাসনের জনসংযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে। সে দিক দিয়ে এ ক্ষেত্রে পূর্বতন সরকারের নীতির সঙ্গে বিশেষ ফারাক নেই ‘পরিবর্তন’-উত্তর সরকারের।
মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, “সব কিছু ঠিক থাকলে ১৯-২২ জুনের মধ্যেই জঙ্গলমহলে ফুটবল ম্যাচ হবে। দার্জিলিং গোল্ড কাপকেও জাতীয় স্তরে উন্নীত করা হবে।” ক্রীড়া দফতর সূত্রে খবর, প্রতিযোগিতায় ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান-সহ দেশের সেরা ক্লাবগুলিকে আনার চেষ্টা হচ্ছে। এ মাসেই লালগড়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সামিল করে ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করছে ক্রীড়া দফতর। স্থানীয় বাসিন্দারা খেলবেন ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের মতো দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে। ফুটবলের জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে জনসংযোগ তৈরির পাশাপাশি এলাকায় শান্তি ফেরাতেই এই উদ্যোগ বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। |
 |
জলপাইগুড়ি স্পোর্টস কমপ্লেক্সে ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র।বিশ্বরূপ বসাক |
বছর দুয়েক আগে বাম সরকারের আমলেও রাজ্য পুলিশের উদ্যোগে ‘পুলিশ-পাবলিক’ ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন হয়। সেখানেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল জঙ্গলমহল এবং পাহাড়ের দিকে। মাওবাদী উপদ্রুত লালগড় বা বলরামপুরে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে ফুটবল প্রতিযোগিতায় সামিল হন স্থানীয় গ্রামের যুবকেরা। লালগড়ের তরুণ ফুটবলারদের প্রশিক্ষণের জন্য জার্মানিতে পাঠানো হয়েছিল। গত বছর দার্জিলিঙে ‘পুলিশ-পাবলিক’ ফুটবল ম্যাচের জেলা স্তরের ফাইনাল খেলা হয়। তাতে কিছু হয়নি বলে মনে করেন ক্রীড়ামন্ত্রী। তাঁর ব্যাখ্যা, “পুলিশকে দোষারোপ করব না। ওই ম্যাচগুলিতে আমজনতার অংশগ্রহণ ছিল না বললেই চলে। যাঁরা ছিলেন তাঁরা মূলত সিপিএমের ক্যাডার। মানুষ তা ভাল ভাবে নেননি। ”
এই অবস্থার পরিবর্তন চান ক্রীড়ামন্ত্রী। জঙ্গলমহলের বাসিন্দাদের নিয়ে দল তৈরির প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। পাহাড়েও শুরু হয়েছে তৎপরতা। আড়াই দশক বন্ধ থাকার পর গত বছর থেকে ফের দার্জিলিং গোল্ড কাপ শুরু হয়েছে। তবে তার আয়োজন নজর কাড়েনি। ক্রীড়া দফতর সূত্রের খবর, এ বার ওই টুর্নামেন্টকে আকর্ষণীয় করে তুলতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। উদ্যোক্তাদের সঙ্গে যেমন কথা হয়েছে তেমনই মোর্চা নেতৃত্বের সঙ্গেও কথা এগিয়েছে। একই সঙ্গে আম-জনতার যোগদান নিশ্চিত করতে ক্রীড়া দফতর আয়োজনের খামতি রাখতে চাইছে না। |
|