নতুন সভাপতি বাছাইয়ের আগে তলব মানসকে
শ্চিমবঙ্গের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে ‘নতুন মুখ’ ঘোষণা করা নিয়ে খুব বেশি দেরি করতে চায় না কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। বরং হাইকম্যান্ড শীঘ্রই তা ঘোষণা করারই প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে দলীয় সূত্রে খবর। তার আগে বর্তমান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মানস ভুইয়াঁকে দিল্লিতে ডেকেছেন দলনেত্রী।
এআইসি সি-র সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকা এক নেতা আজ বলেন, “বিভিন্ন রাজ্যেই প্রদেশ সভাপতি পদে পরিবর্তনের একটা প্রক্রিয়া চলছে। গত কাল বৎস্য সত্যনারায়ণকে অন্ধ্রপ্রদেশে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করা হয়েছে। আজ ওড়িশার ভার দেওয়া হয়েছে নীরঞ্জন পট্টনায়েককে। সেই সঙ্গে মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রীও পরিবর্তন করে অনিতা বর্মাকে দায়িত্ব দিয়েছে হাইকম্যান্ড। পশ্চিমবঙ্গে বর্তমান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মানস ভুইয়াঁ রাজ্যে মন্ত্রী হওয়ায় সেখানেও সাংগঠনিক নেতৃত্বে বদল আসন্ন।”
কিন্তু প্রশ্ন হল, পরবর্তী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হবেন কে? কংগ্রেস সূত্রে বলা হচ্ছে, বিকল্প সীমিত। মূলত চার-পাঁচজনের নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে একটি বিষয় আগেই স্থির করে নেওয়া হয়েছে যে, যাঁকেই সভাপতি করা হোক, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষা করে চলবেন। তার মানে অবশ্য এ-ও নয় যে তিনি মমতার ‘অনুগামী’ হয়ে যাবেন। কংগ্রেসের ওই সূত্রেই বলা হচ্ছে, মানস ভুইয়াঁ অবশ্য এখনও সভাপতি পদে থেকে যেতে আগ্রহী। হাইকম্যান্ডের কাছে প্রকারান্তরে সেই মতই জানান তিনি। নির্বাচনের পর থেকেই হাইকম্যান্ডের কাছে এই বার্তা দেন, সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করতেই তিনি আগ্রহী। মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পরেও তিনি ঠারেঠোরে বোঝাতে চেয়েছেন, সাংগঠনিক নেতৃত্বে থেকে দলকে আরও মজবুত করার জন্য তিনি মন্ত্রিপদ ছাড়তেও প্রস্তুত। তবে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের মতে, মানস ভুইয়াঁ এখন মন্ত্রী পদ ছাড়লে জোট সম্পর্কে আঁচ পড়বে। নেতিবাচক বার্তা যাবে। তাই দলের অধিকাংশ শীর্ষ নেতা প্রদেশ নেতৃত্বে নতুন মুখেরই পক্ষপাতী। রাজ্য কংগ্রেসের তরফেও একাধিক নেতা সেই দাবি জানান হাইকম্যান্ডের কাছে।
সূত্রের খবর, এই অবস্থায় পরবর্তী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার দৌড়ে কিছুটা হলেও এগিয়ে রয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন কার্যকরী সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। তবে বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী, প্রাক্তন যুব কংগ্রেস সভাপতি ও রাজ্য কংগ্রেসের ছ’বারের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক তথা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের অতিরিক্ত ব্যক্তিগত সচিব প্রদ্যোৎ গুহ, বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায় প্রমুখের নামও বিবেচনার মধ্যে রয়েছে।
তবে কংগ্রেস সূত্রে বলা হচ্ছে, প্রদেশ কংগ্রেসে সাংগঠনিক ক্ষমতার ভারসাম্য রাখার দিকটি নিয়েও ভাবা হচ্ছে। প্রদেশ সভাপতি পদের দায়িত্ব কাউকে দেওয়ার পর, উত্তরবঙ্গের কোনও নেতাকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। কারণ, কংগ্রেসের সাংগঠনিক শক্তি তুলনায় বেশি সেখানেই।
Previous Story Rajya Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.