|
|
|
|
উন্নয়ন নিয়ে আলোচনাচক্র কোটশিলায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা² কোটশিলা |
বীজ ও চারাগাছকে সঠিকভাবে পরিচর্যা করে পুরুলিয়ায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি কী ভাবে আয়ের পথ খুঁজতে পারে তা নিয়ে সোমবার ঝালদা-২ ব্লকের বেগুনকোদরে সামগ্রিক অঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে সারাদিন ব্যাপী একটি আলোচনাচক্র অনুষ্ঠিত হল। ‘স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বা সঙ্ঘের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন: একটি দিক নির্দেশ ও বীজ ও চারাগাছের সঠিক পরিচর্যা কৃষিভিত্তিক আয়ের একটি প্রাথমিক শর্ত।”শীর্ষক আলোচনাচক্রে প্রধান আলোচক ছিলেন রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি দফতরের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো। সামগ্রিক অঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ (সি এ ডি সি)-র সাহারজোড় প্রকল্পের পক্ষ থেকেই এলাকার স্বনির্ভর দলগুলিকে নিয়ে এই আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছিল। প্রকল্প আধিকারিক নিত্যানন্দ চক্রবর্তী বলেন “এলাকায় বেশ কিছু স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সহায়তায় কেঁচো সার তৈরির কাজে হাত দিয়ে সাফল্য এসেছে।” তাঁর কথায়, “এই সার একদিকে যেমন ফসলের পক্ষে উপযোগী, তেমনই পরিবেশবান্ধবও। রাসায়নিক সার একদিকে যেমন মাটির উত্তাপ বাড়ায়, তেমনই পরিবেশবান্ধবও নয়।”
তিনি মন্ত্রীকে অনুরোধ করেন রাজ্যের স্ব-সহায়ক দলগুলিকে আধুনিক কৃষিবিজ্ঞানে প্রশিক্ষিত করে কৃষিকাজে ব্যবহার করা হোক। শান্তিরামবাবু বলেন, “কৃষিকাজে জমির পরিমাণ সীমাবদ্ধ। আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়েই ফলন বাড়াতে হবে। অন্ধ্রপ্রদেশ যদি বিজ্ঞানসম্মতভাবে মাছ চাষ করে তিন মাসে এক কেজির মাছ উৎপন্ন করতে পারে, আমরা কেন পারব না?” আগামী দিনে তিনি কী ভাবে এই কৃষিভাবনা কাজে লাগানো যায়, তা খতিয়ে দেখবেন বলেও জানান। এ দিন স্ব-সহায়ক দলের কয়েকটি ক্লাস্টারের হাতে ধান ঝাড়াই মেশিন, ডাস্টার-সহ বিভিন্ন কৃষিকাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি তুলে দেন মন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের কৃষি আধিকারিক কাঞ্চন কুমার ভৌমিক, জয়পুরের বিধায়ক ধীরেন্দ্রনাথ মাহাতো প্রমুখ। |
|
|
 |
|
|