|
|
|
|
বাড়ি ফিরলেন অপহৃতেরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা² কোটশিলা |
সোমবার রাতেই বাড়ি ফিরলেন পুরুলিয়ার কোটশিলা থানার হরতান গ্রামের কংগ্রেস কর্মী তথা ঝালদা ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সভাপতি মেনকা মাহাতোর দেওর শ্যামপদ মাহাতো। পাহাড়-জঙ্গল ঘেরা গ্রাম হরতানের কাছে অপহৃত শ্যামপদ মাহাতো ও নবীন মাঝিকে অপহরণকারীরাই পৌঁছে দিয়ে যায় বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। রবিবার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেনকাদেবীর বাড়িতে হানা দিয়ে তাঁর দেওর স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলের পার্শ্বশিক্ষক শ্যামপদ ও বাড়ির রাজমিস্ত্রি নবীন মাঝিকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। অপহরণকারীরা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বাড়িতে ভাত, ডাল, আলুসেদ্ধ রান্না করিয়ে খেয়ে যায়। মঙ্গলবার ঝালদা ২ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি ফণীভূষণ কুমার বলেন, “দু’জনকে গত রাতে গ্রামের প্রান্তে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে ছেড়ে দিয়ে যায়। তবে কে বা কারা তাঁদের নিয়ে গিয়েছিল আর কারাই বা পৌঁছে দিয়ে গিয়েছে তা জানি না। ওঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।” পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেনকাদেবী বলেন, “দু’জনকে রাতে গ্রামের কাছাকাছি পৌঁছে দিয়ে গিয়েছিল।” তবে কারা তাঁদের পৌঁছে দিয়েছিল তা বলতে পারেননি তিনি। মেনকাদেবীর কথায়, “ওঁরা তা বলতে পারছেন না। কেননা চোখ বেঁধে ওদের নিয়ে গিয়েছিল। কারা নিয়ে গিয়েছিল, কোথায় নিয়ে গিয়েছিল তা ওঁরা জানেন না।” শ্যামাপদবাবুর পরিবারসূত্রে অস্বীকার করা হলেও স্থানীয় সূত্রের খবর মুক্তিপণ দিয়েই ফিরেছেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরেই অপহৃত শ্যামাপদবাবুর মোবাইল থেকে বাড়িতে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করেছিল আগন্তুকেরা। যে কারণে অপহরণের ঘটনাটি পুলিশকে জানাননি। মেনকাদেবী অবশ্য বলেছেন, “অপহরণকারীরা বলেছিল, আমরা ভুল লোককে নিয়ে এসেছি। দু’জনকেই বাড়িতে ফিরিয়ে দেব। মুক্তিপণের বিষয়টি আমরা জানি না।” পুলিশ সুপার সুনীলকুমার চৌধুরী বলেন, “পুলিশ খবর পেয়ে খোঁজ খবর করছিল। তাই দু’জন ফিরে এসেছেন বলে খবর পেয়েছি।” |
|
|
 |
|
|