|
|
|
|
ভেলের নয়া ইউনিটে ত্রুটি, ক্ষতিপূরণ দাবি |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²সাঁওতালডিহি |
একেবারে আনকোরা বিদ্যুৎ উৎপাদন ইউনিটে নির্মাণগত ত্রুটি বেরিয়ে পড়ল। বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের সাঁওতালডিহি কেন্দ্রের নতুন ২৫০ মেগাওয়াটের ইউনিটটি চালু করা হয়েছিল চলতি বছরেরই মার্চে। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই ধরা পড়ে, ত্রুটি-সমেতই ওই ইউনিট সরবরাহ করেছে ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালস লিমিটেড (ভেল)।
নিজেদের ত্রুটি মেনে নিয়ে ভেল ২৭০ টনের যন্ত্রাংশটি ফেরত নিয়ে যায় তাদের হরিদ্বারের কারখানায়। প্রায় দু’মাস ধরে মেরামতির পরে সেটি এখন সাঁওতালডিহির পথে। নিগম-কর্তৃপক্ষের আশা, চলতি মাসের মধ্যেই ওই ইউনিটে উৎপাদন শুরু করে দেওয়া যাবে। ঠিক কী ত্রুটি ধরা পড়েছিল সাঁওতালডিহির নতুন ইউনিটে?
নিগম সূত্রের খবর, নতুন ইউনিটের ‘হাই প্রেশার টার্বাইন’-এর ‘স্টিম লিক-অফ হোল’-এ ত্রুটি ধরা পড়েছিল সেটি চালানোর পরেই। উৎপাদনের মাত্রা বাড়ালেই বিপদের আশঙ্কা ছিল বলে জানাচ্ছেন নিগমকর্তারা। তাঁরা বলেন, ইউনিটটি চালু হওয়ার কথা ছিল গত বছর। কিন্তু চালু করতে এ বছরের মার্চ গড়িয়ে যায়। তাঁদের সন্দেহ, ভেলের কারখানায় উৎপাদনের মানের উপরে নজরদারিতে ত্রুটি ছিল বলেই ইউনিটের সমস্যা ধরা পড়েনি।
এই হয়রানির জন্য ভেলের কাছে ক্ষতিপূরণ চাওয়া হবে বলে নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে। ওই ইউনিটে ত্রুটির কথা মেনে নিয়ে এক ভেল-কর্তা বলেন, “এটি অতি বিরল একটি ভুল। কী করে এমন একটা ভুল হয়ে গেল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
অন্য দিকে, দুর্গাপুর প্রজেক্টস লিমিটেড (ডিপিএল)-এর ৩০০ মেগাওয়াটের যে-চিনা ইউনিটটি গত বছরের ৩০ মে বিকল হয়ে গিয়েছিল, সেটিকেও মেরামত করতে পাঠানো হয়েছিল ডং ফ্যাং ইলেকট্রিক কর্পোরেশনের চিনের কারখানায়। বিকল হওয়ার ঠিক এক বছর পরে, গত রবিবার ইউনিটটি ফিরে এসেছে দুর্গাপুরে। যন্ত্রাংশগুলি লাগিয়ে ইউনিটটি সচল করে তোলার জন্য এসেছেন চিনা ইঞ্জিনিয়ারেরাও। ডিপিএল-কর্তৃপক্ষের আশা, ওই ইউনিটে জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহেই উৎপাদন শুরু করে দেওয়া যাবে।
সাঁওতালডিহি ও দুর্গাপুর ওই দু’টি ইউনিট আর ৪-৬ সপ্তাহের মধ্যেই উৎপাদন শুরু করলে রাজ্যের বিদ্যুৎ পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে বলে আশা করছেন বিদ্যুৎকর্তারা। বহু পুরনো লজ্ঝড়ড়ে ব্যান্ডেল কেন্দ্র বাদ দিলে নিগমের উৎপাদন ক্ষমতার সদ্ব্যবহার (পিএলএফ) বেড়ে এখন হয়েছে ৯০%। আর ব্যান্ডেল ধরলে পিএলএফ ৮৪.৪%। নিগমের ইতিহাসে এটা নতুন রেকর্ড। |
|
|
 |
|
|