টুকরো খবর
সফল প্রিয়াঙ্কার চিন্তা উচ্চশিক্ষা

ছবি: কৌশিক মিশ্র।
দরিদ্র পরিবারের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা দাস কলাবিভাগে ভাল ফল করেছে এ বারের উচ্চ মাধ্যমিকে। এগরার নস্করপুরে বাড়ি প্রিয়ঙ্কার। বাসুদেবপুর হরিপ্রিয়া ইনস্টিটিউশনের এই ছাত্রীর প্রাপ্ত নম্বর ৪২৫। বাবা মদনমোহন দাস সাধারণ কাঠমিস্ত্রি। মা আরতিদেবীর অক্ষরপরিচয়টুকুই হয়নি। তবে এ সব প্রিয়াঙ্কার পড়ার পথে বাধা হয়নি কখনও। বাবা-মায়ের কথায়, “ছেলেবেলা থেকেই মেয়ের লেখাপড়ায় খুব আগ্রহ। সর্বস্ব দিয়ে ওকে এতদিন পড়িয়েছি।” বাড়ি থেকে স্কুল ৩ কিলোমিটার পথ। হেঁটেই যাতায়াত করত প্রিয়ঙ্কা। ইচ্ছে ভাল কলেজে
ইংরাজি অনার্স পড়া। অধ্যাপিকা হওয়ার স্বপ্ন দু’চোখে। কিন্তু অসচ্ছল অবস্থাই সে পথে বাধা। প্রিয়াঙ্কার কথায়, “বাইরে রেখে পড়ানোর মতো সামর্থ বাবার নেই। কিন্তু আমি বড় হতে চাই।” সুযোগ পেলে এই কৃতী ছাত্রী যে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে, সেই বিশ্বাস রয়েছে প্রিয়াঙ্কার স্কুলের প্রধান শিক্ষক তরুণ মাইতিরও।

অসীমের জেদে হার মেনেছে বাধা
মাধ্যমিকের পরে উচ্চ মাধ্যমিকেও সফল হলদিয়া পুর-পাঠভবনের ছাত্র অসীম মাইতি। প্রাপ্ত নম্বর ৪৫৮। পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। স্কুলে নিখরচায় পড়াশোনা আর শিক্ষকদের বই দিয়ে সাহায্যই এত দিন লড়াইয়ের রসদ জুগিয়েছে অসীমকে। কিন্তু ভবিষ্যতে রসায়নে গবেষণা করার স্বপ্নপূরণ হবে কী করে? অসীমের স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নীলাঞ্জনা কর জানালেন, কৃতী এই ছাত্র বরাবরই পরিশ্রমী। তার অসম্ভব জেদের কাছেই হার মেনেছে যাবতীয় প্রতিকূলতা। আগামী দিনের বাধাও এ ভাবেই অতিক্রম করতে চায় আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের ভক্ত অসীম।
ছবি: আরিফ ইকবাল খান।
ছেঁড়া তারে পা জড়িয়ে মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। মৃতের নাম পরেশ সামন্ত (৭০)। মঙ্গলবার দুপুরে ঘাটাল শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের রামচন্দ্রপুরের বাসিন্দা পরেশবাবু বাড়ি সংলগ্ন মাঠে ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন। দিন কয়েক আগের ঝড়-বৃষ্টিতে ছিঁড়ে যাওয়া তার পড়েছিল মাঠে। সেই তারে পা জড়িয়েই মৃত্যু হয় পরেশবাবুর। খবর পেয়ে বিদ্যুৎ দফতরের লোকজন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে স্থানীয় মানুষ বিক্ষোভ দেখান। বাসিন্দাদের অভিযোগ, চার দিন ধরে ছেঁড়া তার পড়েছিল। বিদ্যুৎ দফতরে জানানোও হয়েছিল। কিন্তু কেউ আসেনি। বিদ্যুৎ দফতরের ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার শৌভিক বেরা বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। কারও গাফিলতি ছিল কি না দেখা হচ্ছে।”

কাঁথির বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
তিন দিন ব্যাপী পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে গেল কাঁথি ৩ ব্লকের মারিশদা বিজয়কৃষ্ণ জাগৃতি বিদ্যাপীঠে। শনিবার অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেছিলেন মালদহের গাংগুড়িয়া শ্রী শ্রী সারদাতীর্থমের অধ্যক্ষ স্বামী গিরিজাত্মানন্দ। উপস্থিত ছিলেন দুই জাতীয় শিক্ষক নির্মলচন্দ্র মাইতি ও সর্বরঞ্জন পয়ড়্যা। সোমবার অনুষ্ঠানের শেষ দিনে এসেছিলেন বিধায়ক দিব্যেন্দু অধিকারী, মুগবেড়িয়া গঙ্গাধর কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ হরিপদ মাইতি। স্বাগত ভাষণ দেন বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সম্পাদক মানিক দলুই, ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন প্রধান শিক্ষক পুলিনবিহারী নায়ক। তিন দিন ব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকরা যোগ দেন।
Previous Story Medinipur Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.