|
|
|
|
অজস্র পদক দিয়েও বাংলায় উপেক্ষিত টিটি-র সৌরভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা ² কলকাতা |
দশ বছর দেশের হয়ে খেলে প্রচুর পদক জিতেছেন। বাংলার হয়েও দশ বছর খেলে এনেছেন অনেক পদক। মাস কয়েক আগে শেষ জাতীয় গেমসেও বাংলার হয়ে সোনা এনেছেন। এক ডাকে তাঁকে ভারতের টিটি মহল চেনে।
কিন্তু রাজ্য সরকারের কাছে জুটেছে শুধুই অবহেলা। দশ বছরে কিছুই পাননি।
বাংলার হয়ে খেলার জন্য অন্ধ্রপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ডের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন। এখন আলিপুরদুয়ারের টেবল টেনিস তারকা সৌরভ চক্রবর্তীর মনে হচ্ছে, বাংলার হয়ে খেলে লাভ কী?
জাতীয় ক্রমপর্যায়ে অনেক দিন দেশের এক নম্বর ছিলেন। এখন তিন নম্বর সৌরভের প্রশ্নটা রাজ্যের অনেক সফল ক্রীড়াবিদেরই প্রশ্ন, “বাংলার হয়ে খেলার জন্য অন্য রাজ্যের ডাক উপেক্ষা করেছি বলে কি এখানে উপেক্ষাই পেয়ে যেতে হবে?”
দিন কয়েক আগে, বাংলা ছেড়ে ঝাড়খণ্ডে যেতে উদ্যত অ্যাথলিট সুস্মিতা সিংহরায়কে আটকে দিয়েছে নতুন সরকার। দেখে আশা জাগছে সৌরভের, “এ বার হয়তো কিছু হবে!” এই গেমসেও তাঁকে ঝাড়খণ্ড চেয়েছিল। সৌরভ যাননি।
নিজে প্রথম ভারতীয় হিসেবে বিশ্ব রেল চ্যাম্পিয়ন। তিন বারের জাতীয় রানার্স। মেলবোর্ন কমনওয়েলথ গেমসে ব্রোঞ্জজয়ী। কমনওয়েলথ টিটি থেকে ২টি পদক। জাতীয় গেমসে বাংলার জন্য ৬-৭টি সোনা-সহ ১৪টি পদক পেয়েছেন আলিপুরদুয়ারের ছেলেটি। কিন্তু সরকারি তরফে পুরস্কার দূরে থাক, অভিনন্দনবার্তাটুকুও জোটেনি। মেলবোর্ন কমনওয়েলথ গেমসে সোনাজয়ী আলি কামার জমি, অর্থ পেলেও ব্রোঞ্জ জিতে কিছুই পাননি সৌরভ। আড়ালেই থেকে গিয়েছেন। দেখেছেন, কামারকে নিয়ে মন্ত্রী, আমলাদের হইচই। “আমাদের তখন কেন কিছু দেওয়া হল না, আমি জানি না,” প্রশ্ন সৌরভের।
শিলিগুড়িতে আর একটা রাজ্য টিটি সংস্থা হয়েছে। টিটি খেলোয়াড়দের নিয়ে নানা অনুষ্ঠান হয়েছে। উত্তরবঙ্গের সৌরভ সেখানেও ডাক পাননি। বললেন, “প্রাক্তন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য জমির আশ্বাস দিয়েছিলেন। তাঁর সচিব বলেছিলেন, রাইটার্সের নীচে এসে ডাকলেই হবে। রাইটার্সের নীচে গিয়ে ফোন করলে বলা হয়, দু’সপ্তাহের আগে দেখা হবে না। এ বারও রাঁচিতে জাতীয় গেমসে আমরা সোনা জিতি। ফাইনালের আগে বিওএ প্রেসিডেন্ট পরেশ মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, সোনা জিতলে এক লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। সেটারও কোনও উচ্চবাচ্য নেই।”
নতুন সরকার আসায় ছবিটা যদি বদলায়, এই আশায় সৌরভ। |
|
|
 |
|
|