শেষ ম্যাচেও গোল চান রোনাল্ডো |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
সেই জোড়া পায়ের স্কিল! বক্সের মধ্যে চকিতে ডিফেন্ডারদের ছিটকে দিয়ে গোলে শট। শেষ বারের মতো রোনাল্ডো লুই নাজারিও-র পায়ের যাদু দেখতে গোটা বিশ্বের চোখ সাও পাওলোর পাসায়েম্বু স্টেডিয়ামে।
রোমানিয়ার বিরুদ্ধে রোনাল্ডো নামছেন শেষ বার ব্রাজিলের ন’নম্বর হলুদ জার্সি গায়ে। জিনেদিন জিদান ছাড়া তিনিই এক মাত্র ফুটবলার যিনি ফিফার বর্ষসেরা হয়েছেন তিন বার। চোট-আঘাত এবং থাইরয়েড জনিত সমস্যার কারণে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সব ধরনের ফুটবল থেকে অবসর ঘোষণা করেন রোনাল্ডো। দেশের হয়ে ৯৭ ম্যাচে ৬২ গোল। ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন রোনাল্ডোকে সম্মান জানানোর জন্য এই ম্যাচটাকেই বেছে নিয়েছে। |
 |
শেষ ম্যাচে নামার আগে রোনাল্ডো বলেছেন, “ভীষণ নার্ভাস লাগছে। হাত-পা কাঁপছে। ফেডারেশন যে এই ভাবে সম্মান জানাচ্ছে তাতে আমি দারুণ খুশি।” বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বাধিক ১৫ গোলের নজির রোনাল্ডোর ঝুলিতে। রোনাল্ডো বিশ্বের সেই বিরল প্রজাতির ফুটবলার যিনি দু’দেশের লিগের দুই চরম প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবে খেলেছেন। লা লিগায়, বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদ। আবার সিরি-এতে খেলেছেন ইন্টার মিলান এবং এসি মিলানে।
‘গোল মেশিন’ রোনাল্ডো আরও বলেছেন, “নিজের শেষ ম্যাচেও যদি গোল করতে পারি সেটা হবে স্বপ্নের মতো।” রসিকতাও করেছেন, “আমি তো টিমের সতীর্থদের বলে দিয়েছি বক্সে ঢুকলেই পড়ে যেও ভাই। যাতে আমরা পেনাল্টি পাই। আর সেটা তখন আমি মারব। গোল করার সবচেয়ে সহজ পথ এটাই।’’ |
 |
ছেলের সাথে রোনাল্ডো। |
সব শেষে ব্রাজিলের কোরিন্থিয়ান্সে খেলা রোনাল্ডো ক্লাবের জার্সিতে অসম্ভব সফল হলেও আপ্লুত দেশের জার্সিতে অবসর নিতে পেরে। “ফুটবল জীবনের শেষ ম্যাচটা দেশে হয়ে খেলছি ভাবতে আনন্দই হচ্ছে। আমার কিছুই প্রমাণ করার নেই। ব্রাজিলের মানুষের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। সব সময় আমাকে সমর্থন করে যাওয়ার জন্য,” বলেছেন রোনাল্ডো।
রোনাল্ডোর অবসরের ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়ে খুশি আর এক ‘রো’। রোবিনহো। বলেছেন, “রোনাল্ডো আমার আইডল। ছোট থেকে ওর খেলা দেখছি। আর ওর শেষ ম্যাচে পাশে খেলব বলে আরও ভাল লাগছে। ওর সঙ্গে প্রথম বার খেলার সময় গায়ে কাঁটা দেওয়ার যে অনুভূতি হয়েছিল সেটা আবার ফিরে আসছে ওর সঙ্গে শেষ ম্যাচে নামার আগেও।”
|
|