|
|
|
|
বাম পঞ্চায়েত সদস্যের ইস্তফা |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²মোহনপুর |
তৃণমূলের আনা অনাস্থায় ইতিমধ্যেই প্রধান পদ থেকে অপসারিত সিপিআইয়ের গুলেনুর বিবি পঞ্চায়েতের সদস্যপদেও ইস্তফা দেওয়ায় মোহনপুরের শিয়ালসাই গ্রাম পঞ্চায়েত এবং এলাকায় আরও বিপাকে পড়ল বামেরা। আগে পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় ছিল সিপিআই-সিপিএম। ২০০৮-এর পঞ্চায়েত ভোটে ১৩ সদস্যের শিয়ালসাই গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪টি আসনে জেতে সিপিআই, ৩টি আসনে সিপিএম, সিপিআই সমর্থিত নির্দল ২টি আসনে, সিপিএম সমর্থিত নির্দল একটি আসনে। তৃণমূল জেতে ৩টি আসনে। কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগে সিপিআই প্রধানের বিরুদ্ধে সম্প্রতি অনাস্থা আনে তৃণমূল। অনাস্থার পক্ষে ভোট দেন সিপিআই-সিপিএম সমর্থিত ৩ নির্দল ছাড়াও সিপিআই ও সিপিএমের এক জন করে সদস্যও। গত ২ ডিসেম্বর তলবি সভায় অনুপস্থিত থাকেন বাকি বাম সদস্যরা। অনাস্থার পক্ষে সংখ্যাধিক্য থাকায় অপসারিত হন প্রধান। সিপিআই সমর্থিত নির্দল হিসাবে ভোটে জিতে এসে যিনি উপপ্রধান হয়েছিলেন, সেই আবদুল রশিদ খান নতুন প্রধান হন। যদিও আগেই তিনি তৃণমূল-শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন। দলের টিকিটে ভোটে জিতে আসা সবিতা কর মহাপাত্রও তৃণমূল শিবিরে যোগ দেওয়ায় দলত্যাগবিরোধী আইনে তাঁর সদস্যপদ বাতিলের জন্য বিডিও-র কাছে আবেদন করে সিপিআই। বিডিও সেই আবেদন গ্রাহ্য না-করায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা বিচারাধীন। এই অবস্থায় অপসারিত প্রধান গুলেনুর বিবি সদস্যপদেই ইস্তফা দেওয়ায় পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের ক্ষীণ আশাও আর রইল না বামেদের। দাঁতনের সিপিআই বিধায়ক অরুণ মহাপাত্রের অভিযোগ, “তৃণমূল চার দিকেই সন্ত্রাস করছে। ওই সদস্যকেও জোর করে ইস্তফা দেওয়ানো হয়েছে।” তৃণমূলের মোহনপুর ব্লক সভাপতি প্রদীপ পাত্রের যদিও দাবি, “আগেই আস্থা ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন গুলেনুর। এ বার জনতার দরবারেও আস্থা হারিয়ে পঞ্চায়েতের সদস্যপদেও ইস্থফা দিয়েছেন। জোর-জবরদস্তির কোনও ব্যাপার নেই।” |
|
|
 |
|
|