|
|
|
|
ভরসা মুখ্যমন্ত্রীই |
ভূমি দফতর নিয়ে অন্ত নেই ক্ষোভের |
নিজস্ব সংবাদদাতা ² মেদিনীপুর |
দফতরের দায়িত্বে এখন নতুন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। কর্মী-অফিসারদের অনেকে তাই তটস্থ। তবু যেন ফাঁক থেকেই যাচ্ছে। অফিসে কাজের হাল ফিরেছে বলে মনে হচ্ছে না সাধারণ মানুষের। মুখ্যমন্ত্রীকে আয় বৃদ্ধি দেখাতে বেআইনি খাদান, বেআইনি পাথর, বালি বোঝাই লরি ধরায় বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু মানুষের হয়রানি কমছে কই! পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর নিয়ে ক্ষোভের অন্ত নেই।
হয়রানির ‘শিকার’ এক জনের কথায়, “অফিসে গেলেই একের পর এক আইনের ফিরিস্তি শুনতে হয়। আজ উনি নেই, কাল তিনি নেই এ সব তো আছেই। কিন্তু দাবি মতো ‘কিছু’ দিলে কাজ হয়ে যাবে। সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলেছে।” অভিযোগ, উপঢৌকন ছাড়া জেলা দফতরে কাজ হয় না। অভিযোগ মানতে নারাজ জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক শঙ্কর হালদার। তিনি বলেন, “কেউ অভিযোগ জানালেই ব্যবস্থা নেব। কিন্তু কেউ নির্দিষ্ট অভিযোগ না জানালে কী করার থাকতে পারে!”
মানুষ কেন অভিযোগ জানান না? হয়রান হওয়া এক জনের কথায়, “এমনিতেই দু’চারটে চপ্পল ছিঁড়ে যায়, তবু কাজ হয় না। তার উপরে একে ধরে, তাকে ধরে কিছু দিয়ে কাজ করাতে হয়। অভিযোগ জানালে, হয়তো আর হবেই না!” কেন একটি দফতর সম্বন্ধে সাধারণ মানুষের এত অভিযোগ? এমন তিক্ত অভিজ্ঞতা? দফতরের কিছু কর্মী-অফিসারের মদতেই বেআইনি বালি খাদান, পাথর খাদান চলে বলেও অভিযোগ। নতুন সরকার কি ভূমি-দফতরকে অভিযোগ-মুক্ত করতে পারবে? এই প্রশ্নই এখন পাক খাচ্ছে চার দিকে। দুর্নীতির অভিযোগ উড়িয়ে জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক কিছু ক্ষেত্রে কাজে দেরি-র পিছনে পরিকাঠামোগত সমস্যাকেই দুষছেন। তিনি বলেন, “জেলায় বেশিরভাগ কর্মী-অফিসারের পদ খালি। তাতে কিছুটা সমস্যা যে হয়, এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই।” অবৈধ বালি খাদান বা পাথর খাদান বন্ধে দফতর সব সময়ে পুলিশের সাহায্য পায় না বলেও দাবি ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের ভরসা সেই ভূমিমন্ত্রী মমতাই। |
|
|
 |
|
|