|
|
|
|
আদিবাসী উন্নয়নে বরাদ্দ ১৩.৫ কোটি |
নিজস্ব সংবাদদাতা ² মেদিনীপুর |
আদিবাসী এলাকার সুসংহত উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে সাড়ে ১৩ কোটি টাকা পেল পশ্চিম মেদিনীপুর। প্রতি বছরই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের তফসিলি প্রধান ‘পিছিয়ে পড়া’ জেলাগুলির জন্য বিশেষ প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ করে কেন্দ্র। অভিযোগ, উপযুক্ত পরিকল্পনার অভাবে অনেক সময়ে বরাদ্দ অর্থ খরচ হয় না। তবে এ বার বরাদ্দ অর্থ খরচে নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন। জেলা অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ আধিকারিক জ্যোতির্ময় তাঁতি বলেন, “বরাদ্দ অর্থ সম্পূর্ণ খরচ করার জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। সঠিক ভাবে পরিকল্পনা রূপায়ণের জন্যও উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সরাসরি আইটিডিপি (সুসংহত আদিবাসী উন্নয়ন) প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার অর্থ বরাদ্দ করেছে প্রায় ১০ কোটি টাকা। তফসিলি উপজাতিদের জন্য আরও প্রায় ৩ কোটি এবং তফসিলি জাতির জন্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। কেন্দ্রীয় এই বরাদ্দকে ইতিমধ্যেই জেলার চারটি মহকুমায় ভাগ করে দিয়েছে প্রশাসন। সব থেকে বেশি অর্থ দেওয়া হচ্ছে ঝাড়গ্রাম মহকুমায়। বরাদ্দ অর্থ প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা। তার পরেই রয়েছে খড়্গপুর মহকুমা। বরাদ্দের পরিমাণ আড়াই কোটি টাকারও বেশি। মেদিনীপুর মহকুমা পেয়েছে আড়াই কোটির কিছু কম। সব থেকে কম পেয়েছে ঘাটাল মহকুমা। ১ কোটি টাকার কিছু কম। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই অর্থ খরচের পর রিপোর্ট তৈরি করে কেন্দ্রের কাছে পাঠালে ফের অর্থ মিলবে। পিছিয়ে পড়া এবং মাওবাদী প্রভাবিত এলাকার উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দে কোনও খামতি হবে না বলে আগেই জানিয়েছে কেন্দ্র। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত সেচ, পানীয় জল সরবরাহ, ও স্কুল হস্টেল নির্মাণ ও সংস্কারের মতো কাজেই বেশি জোর দেওয়া হবে। বেশিরভাগ পিছিয়ে পড়া গ্রামেই বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। অনেক আদিবাসী হস্টেলের অবস্থাও খুবই খারাপ। ছাদ দিয়ে জল পড়ে, একটি ঘরে অনেক ছাত্রকে থাকতে হয়। তাতে পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট হয়। আর সেচের অভাবে চাষের উপযুক্ত পরিবেশ নেই বহু এলাকায়। চাষাবাদ ভাল না-হওয়ায় দারিদ্রও ঘোচে না। সব থেকে ‘পিছিয়ে পড়া’ গ্রাম চিহ্নিত করে প্রকল্প রূপায়ণের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে প্রশাসনিক সূত্রের বক্তব্য। |
|
|
 |
|
|