|
|
|
|
বৈদ্যনাথ মজুমদার প্রয়াত |
সংবাদসংস্থা ² আগরতলা |
ত্রিপুরায় প্রাক্ স্বাধীনতা যুগের কমিউনিস্ট আন্দোলনের শেষ প্রতিনিধি বৈদ্যনাথ মজুমদার প্রয়াত হয়েছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮। বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক জটিলতায় তিনি ভর্তি ছিলেন গোবিন্দবল্লভ পন্থ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কাল গভীর রাতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু ঘটে। বাম রাজনীতি করলেও বর্ষীয়ান এই নেতার মৃত্যুতে ত্রিপুরায় সব মহলে শোকের ছায়া। বাম রাজনৈতিক মহল তো বটেই, প্রয়াত নেতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিরোধী কংগ্রেস নেতারাও। |
 |
প্রয়াত বৈদ্যনাথ মজুমদারকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। উমাশঙ্কর রায়চৌধুরী |
বৈদ্যনাথবাবু ১৯৭৭ থেকে ১৯৯৮ সাল, পাঁচবার বিধায়ক নির্বাচিত হন। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ছিলেন ত্রিপুরার উপ-মুখ্যমন্ত্রী। চিরকুমার এই মানুষটি চিরদিন অনাড়ম্বর জীবনযাপনেই অভ্যস্ত ছিলেন। শেষকালে থাকতেন পার্টির সদর দফতরে। ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নৃপেন চক্রবর্তীর সঙ্গে তিনি পাঁচ বছর ছিলেন কারাবন্দি হিসেবে। বন্দি জীবন কেটেছে তিহার ও হাজারিবাগ জেলেও।
হাসপাতাল থেকে প্রয়াত নেতার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় রাজ্য সচিবালয়, বিধানসভা ও সিটু-র সদর দফতরে। মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, বিভিন্ন মন্ত্রী, বাম নেতৃবৃন্দ ও কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা মাল্য অর্পণ করে বৈদ্যনাথবাবুকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেন, “আমরা অভিভাবকহীন হয়ে পড়লাম।” ত্রিপুরায় বিরোধী দলনেতা রতনলাল নাথ বলেন, “এই মানুষটির সততা ও নিষ্ঠার কোনও তুলনা হয় না। এমন রাজনীতিক এখন বিরল।” এ দিন বৈদ্যনাথবাবুর মরদেহ রাখা হয় সিপিএমের সদর দফতরে। কাল কৈলাশহরে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। |
|
|
 |
|
|