|
|
|
|
মেঘালয়ে ছাঁটা হল চার বিক্ষুব্ধ মন্ত্রীকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা ² গুয়াহাটি |
টানা তিন মাসের চাপানউতোরের পর, কংগ্রেস হাইকম্যান্ড আপাতত মেঘলায়ের মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমার পাশেই দাঁড়ালেন। হাইকম্যান্ডের পরামর্শেই, মন্ত্রিসভায় অদল-বদল করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করায় মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়লেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী প্রেস্টন টিংসং, নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফাউন্ডার এস কাজি, খাদ্য ও অসামরিক সরবরাহ মন্ত্রী অগস্টিন মারাক এবং গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন মোমিন। তাঁদের পরিবর্তে এলেন নতুন চার মন্ত্রী সিতলাং পালে, এ এল হেক, সালেং সাংমা এবং স্ট্যানলিউইস রিম্বাই। এঁদের তিন জন আজ শপথও নিয়েছেন।
রাজনৈতিক সংকটের জেরে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমার গদি টলোমলো হয়েছিল। মন্ত্রিত্ব না পাওয়ার ক্ষোভে, রাজ্যের শাসকজোটের ২৮ জন বিধায়কের মধ্যে ১৮ জনই মুকুলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছিলেন। এমনকী উপ-মুখ্যমন্ত্রী রওয়েল লিংডো সাফ বলে দেন, “মুকুলের আস্থা হারানো নিশ্চিত। এ বার কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠকে তাঁকে আস্থা অর্জন করতে হবে।” সনিয়া গাঁধী, অস্কার ফার্নান্ডেজ ও মেঘালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ধনীরাম শাণ্ডিলের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন বিক্ষুব্ধ বিধায়করা। মুকুল সাংমাকেও দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়। গত দশ বছরে আটবার মুখ্যমন্ত্রী বদল হয়েছে মেঘালয়ে। হাইকম্যান্ড বারবার মুখ্যমন্ত্রী পদে বদল ঘটাতে রাজি নন। সেই বার্তা কড়া ভাবেই জানিয়ে দেওয়া হয় বিক্ষুব্ধদের। চার বিক্ষুব্ধকে মন্ত্রিসভা থেকে হঠিয়ে এআইসিসি নেতৃত্ব বুঝিয়ে দিলেন, চাপের কাছে তাঁরা নতি স্বীকার করবেন না। আজ রাজভবনে হেক, সালেং ও পালেকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল রঞ্জিৎ শেখর মুশাহারি। তবে রিম্বাই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে এসে পৌঁছননি। |
|
|
 |
|
|