|
|
|
|
সরকারি কর্মীদের দায় নির্দিষ্ট করতে ‘জবাবদিহি কমিশন’ |
রাজীবাক্ষ রক্ষিত ² গুয়াহাটি |
স্বচ্ছ প্রশাসন গড়ার দিকে লক্ষ্য রেখে অসমে গড়া হচ্ছে ‘জবাবদিহি কমিশন’ (অ্যাকাউন্টেবিলিটি কমিশন)। সমস্ত সরকারি অফিসার ও কর্মীদের এই কমিশনের আওতায় আনা হচ্ছে। সরকারি প্রতিটি কাজে কর্মী-অফিসারদের প্রত্যেকের নির্দিষ্ট দায়িত্ব থাকে। সেই দায়িত্ব কে কীভাবে পালন করছেন, কিংবা করছেন না---তার দায়বদ্ধতা নির্দিষ্ট করার কোনও ব্যবস্থা এতদিন ছিল না। বিপুল সমর্থন নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য ফিরে এসে মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ এই দায়বদ্ধতা নির্দিষ্ট করার জন্যই ‘জবাবদিহি কমিশন’ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ সদ্যগঠিত বিধানসভার অধিবেশনের উদ্বোধন করতে গিয়ে রাজ্যপাল জানকীবল্লভ পট্টনায়কই সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন।
অসমের প্রশাসনিক দুর্নীতি নিয়ে বারবার আঙুল উঠেছে। গ্রামোন্নয়ন, পার্বত্য এলাকা উন্নয়ন, উপজাতি উন্নয়ন-সহ বিভিন্ন বিভাগে আর্থিক নয়ছয় ও কেলেঙ্কারীর ঘটনা সামনে এসেছে। এ বার রাজ্যের নির্বাচনে বিরোধীদের আক্রমণের মূল বিষয়ই ছিল সরকারিস্তরে দুর্নীতি। ক্ষমতায় এসে গগৈ নিজেই ঘোষণা করেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে সরকার বদ্ধপরিকর। কার্যত সেই লক্ষ্যেই, সরকারের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করতে অসম সরকারের এই পদক্ষেপ বলে এক শীর্ষ সরকারি সূত্রের ইঙ্গিত। কমিশনের পরিকাঠামো এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে প্রশাসনিক ক্ষেত্রে, যে কোনও বিভাগের কাজকর্ম সম্পর্কে জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্যই এই কমিশন গড়া হচ্ছে। এখন অসম পুলিশের নিজস্ব জবাবদিহি কমিশন রয়েছে।
সরকারের প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য জবাবদিহি কমিশন ছাড়াও অসম গ্রাম্য সেবা, অসম আর্থিক সেবা, অসম রাজস্ব সেবা ও অসম তথ্য সেবা চালু করতে চলেছেন গগৈ। মুখ্য ভিজিল্যান্স কমিশনারের পাশাপাশি একজন অতিরিক্ত ভিজিল্যান্স কমিশনার এবং চারজন আঞ্চলিক ভিজিল্যান্স কমিশনারের পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। জনগণের দাবি মেটাতে লোকায়ুক্ত পরিকাঠামোকে আগের চেয়েও শক্তিশালী করার আশ্বাস রাজ্যপালের ভাষণে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের প্রকল্পগুলির আয়-ব্যয়ের হিসাব পরীক্ষার ভার সরকারের নিয়োগ করা অডিটরের উপরে আর ছাড়া হবে না। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও মান্যগণ্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে অডিটের কাজ করা হবে। সরকারি দফতরে পদোন্নতি নিয়ে অসন্তোষ ব্যাপক। পদন্নোতি ও কাজের মূল্যায়নের জন্য ‘পারদর্শিতা মূল্যাংকণ পদ্ধতি’ গড়া হচ্ছে। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ও এই ধরণের অন্যান্য অগ্রণী প্রতিষ্ঠানগুলিকেও সেই পদ্ধতির অধীনে আনা হবে। |
|
|
 |
|
|