|
|
|
|
লোকসানের আশঙ্কা শিল্পমহলের |
রফতানিতে শুল্ক ছাড় তোলার প্রস্তাব নিয়ে প্রতিবাদ দেশ জুড়ে |
নিজস্ব সংবাদদাতা ² কলকাতা |
রফতানিকারীদের শুল্ক ছাড় সংক্রান্ত ‘ডিউটি এনটাইটেলমেন্ট পাস বুক’ বা ডিইপিবি প্রকল্প তুলে দেওয়ার প্রস্তাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাল দেশের রফতানি মহল। তাদের আশঙ্কা, এটা উঠে গেলে বিশেষ ভাবে মার খাবে দেশের রফতানি বাণিজ্য। ৩০ জুন থেকেই প্রকল্পটি তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
রফতানি বাণিজ্যকে উৎসাহ দিতেই ডিইপিবি প্রকল্প চালু করেছিল কেন্দ্র। যার মাধ্যমে রফতানি পণ্য তৈরির জন্য কাঁচামাল হিসাবে কোনও পণ্য আমদানি করার সময় যে শুল্ক দিতে হয়, তা ছাড় পাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তৈরি পণ্য যখন রফতানি করা হত, তখন ওই আমদানি শুল্কে ছাড় পেতেন রফতানিকারীরা। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারের প্রতিযোগিতায় যুঝতে কিছুটা সুবিধা হত ভারতের রফতানিকারীদের। এখন ওই প্রকল্প তুলে দেওয়ার প্রস্তাবে প্রমাদ গুনেছেন তাঁরা।
বণিকসভা সিআইআই-এর আমদানি-রফতানি বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় বুধিয়া বলেন, “অন্য বহু দেশের তুলনায় ভারতে বিদ্যুৎ, বন্দর ইতাদির খরচ বেশি। বেশি ব্যাঙ্কের সুদও। ফলে এমনিতেই বিশ্ব বাজারে ভারতীয় রফতানিকারীদের কঠিন প্রতিযোগিতায় পড়তে হয়। এর উপর ডিইপিবি তুলে দিলে সমস্যায় পড়বেন তাঁরা।”
এ দিকে, বহু দিন ধরে বলে আসলেও, রফতানিতে উৎসাহ দিতে বিকল্প প্রকল্প এখনও চালু করে উঠতে পারেনি কেন্দ্র। তাই রফতানিকারীদের দাবি বিকল্প প্রকল্প চালুর আগে যেন ডিইপিবি তুলে না-নেওয়া হয়। ভারতে বিদেশি বাণিজ্য সংক্রান্ত বর্তমান নীতির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০১৪ সালে। পাঁচ বছরের ওই নীতির অন্যতম উল্লেখযোগ্য অবদান ডিইপিবি। এখন মাঝপথে সেটি তুলে দেওয়ার পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করেছেন রফতানিকারীরা। বুধিয়া বলেন, “আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য রফতানির জন্য অন্য দেশের আমদানিকারীদের সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদের চুক্তি করতে হয়। ডিইপিবির মাধ্যমে পাওয়া সুবিধাকে অন্যতম ভিত্তি ধরেই চুক্তির সময় পণ্যের দাম নির্ধারিত হয়। এখন ওই সুবিধা উঠে গেলে চুক্তি অনুযায়ী পণ্য রফতানি করতে গিয়ে চূড়ান্ত লোকসানের মুখে পড়ার সম্ভাবনা রফতানিকারীদের।” |
|
|
 |
|
|