|
|
|
|
অঙ্গনওয়াড়ির কর্মীকে শো-কজ |
নিজস্ব সংবাদদাতা² খয়রাশোল |
একগুচ্ছ অভিযোগে গত সপ্তাহে খয়রাশোলের ইসলামকুঁড়ি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। খাতাপত্রে হিসাবের ‘গরমিল’ থাকায় এ বার ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রেরই কর্মীকে শো-কজ করলেন খয়রাশোল ব্লক সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্প আধিকারিক (সিডিপও) মহম্মদ সফিউল্লা। গত বৃহস্পতিবার সকালে ওই কেন্দ্রের কর্মী ইন্দিরা ধাড়া ও তাঁর সহায়িকাকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ ছিল, ওই কর্মী গ্রামের সব শিশু ও প্রসূতিদের খাবার দেন না। ব্লক থেকে পাওয়া চাল-ডাল বা মশলাপাতি নিজের বাড়িতে মজুত করেন। যদিও ইন্দিরাদেবীর দাবি ছিল, ‘বিনা কারণে’ সে দিন তাঁকে হেনস্থা করেন গ্রামের কিছু লোক এবং তাঁরা শিশু ও মায়েদের জন্য রান্না করা খাবারও তুলে নিয়ে যান। এই মর্মে কাঁকরতলা থানায় কয়েক জনের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করেন ইন্দিরাদেবী। সমস্যার সমাধানে সোমবার ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র পরিদর্শনে যান সিডিপিও। তখনই হিসাবের ‘গরমিল’ ধরা পড়ে। সিডিপিও বলেন, “যেখানে শিশু ও প্রসূতি মিলে ৬২ জনের হিসাব থাকার কথা, সেখানে ৯০ জনের হিসাব দিয়ে ব্লক থেকে মালপত্র তোলা হয়েছে। ওই কর্মীকে শো-কজ করে তিন দিনের মধ্যে জবাব চেয়েছি। দোষী প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
৬০-৬৫ জনের রান্না করার কথা স্বীকার করে নিলেও হিসাবে কেন ৯০ জনের কথা উল্লেখ হল, সে প্রশ্নের উত্তরে ইন্দিরাদেবীর সংক্ষিপ্ত জবাব, “এ ব্যাপারে যা বলার সিডিপিও-কে বলব।” গ্রামবাসীদের কথায়, “আমাদের অভিযোগ যে সঠিক ছিল, তা এ বার সিডিপিও দেখলেন।” |
|
|
 |
|
|