|
|
|
|
বার্ধক্য ভাতার টাকা মেলেনি, বিক্ষোভ খয়রাশোলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা² খয়রাশোল |
গত এগারো মাস জাতীয় বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পের টাকা তাঁরা পান নি। এই অভিযোগে খয়রাশোল ব্লক অফিসে মঙ্গলবার দুপুরে প্রায় ঘন্টা দেড়েক অবস্থান বিক্ষোভ করলেন প্রকল্পের আওতাভুক্ত প্রায় ১৩০ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। তাঁরা প্রত্যেকেই বড়রা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা। ওই সব উপভোক্তাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিনের প্রাপ্য টাকা তাঁরা পাননি। ফলে দু’বেলা দু’মুঠো খাবারও জুটছে না। সিপিএমের নেতৃত্বে বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা খয়রাশোলের যুগ্ম বিডিও সম্বল ঝা এবং এবং পঞ্চায়েত উন্নয়ন আধিকারিক সুকুমার সাহাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
শেষ পর্যন্ত যুগ্ম বিডিও বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনার এবং যাতে তাঁরা শীঘ্রই টাকা পান তা দেখার আশ্বাস দিলে অবস্থান তুলে নেন ওই বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা। সিপিএমের বড়রা লোকাল কমিটির সম্পাদক বিমল ঘোষ বলেন, “শুধুমাত্র প্রশাসনিক গাফিলতিতে ওঁরা এখনও পর্যন্ত তাঁদের ভাতা পাননি।”
বড়রা পঞ্চায়েত ও খয়রাশোল ব্লক সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পে মোট ১৮৫ জন উপভোক্তা রয়েছেন। কিছুদিন আগে এই প্রকল্পের নাম বদলে ইন্দিরা গাঁধী জাতীয় বার্ধক্য ভাতা প্রকল্প হয়েছে। নাম পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই কেন্দ্র থেকে রাজ্য সরকারের মাধ্যমে এই প্রকল্পের উপভোক্তাদের বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ (বয়স ও পরিবার সংক্রান্ত) সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতগুলি থেকে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেগুলি পঞ্চায়েত থেকে বেশ কিছুদিন আগে ব্লকে জমা পড়ার পর মাত্র (১৮৫ এর মধ্যে) ৫৫ জন ওই প্রকল্পের টাকা সম্প্রতি পেতে শুরু করেছেন। এ দিন বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ফতেজা বিবি, সাবিত্রী সূত্রধর, শেখ সালেমদের ক্ষোভ, “একই প্রকল্পের আওতাভুক্ত কিছু লোক টাকা পাবেন, আমরা কেন পাব না? আমাদের দিন চলবে কী ভাবে?”
যুগ্ম বিডিও সম্বল ঝা বলেন, “ইতিমধ্যেই সকলের তথ্য রাজ্যকে পাঠানো হয়েছে। আশা করি শীঘ্রই এই ১৩০ জন বৃদ্ধ বৃ্দ্ধা আবার এই প্রকল্পের টাকা পেতে শুরু করেছেন।” |
বামফ্রন্টের স্মারকলিপি
|
নিজস্ব সংবাদদাতা² সিউড়ি |
বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই দলীয় কর্মী-সমর্থকদের ভয় দেখানো, শাসানো, মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল। এই চেষ্টা যাতে বন্ধ হয় এবং এলাকায় যাতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে এই মর্মে মঙ্গলবার দুপুরে জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন এবং জেলা পুলিশ সুপার নিশাদ পারভেজের কাছে দুটি পৃথক স্মারকলিপি দিল বামফ্রন্ট। উপস্থিত ছিলেন জেলার তিন বাম বিধায়ক ফরওয়ার্ড ব্লকের বিজয় বাগদি, সিপিএমের ধীরেন বাগদি ও অশোক রায় এবং বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম সাংসদ রামচন্দ্র ডোম এবং শরিক দলের প্রতিনিধিরা। রামচন্দ্রবাবু বলেন, “নির্বাচন উত্তর জেলার বিভিন্ন জায়গায় যেমন নানুর, লাভপুর, দুবরাজপুর, এবং ইলামবাজারে বিভিন্ন অংশে আমাদের কর্মী সমর্থকদের ভয় দেখানো, দল ছাড়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে। সেটা যাতে না হয় তা নিশ্চিত করতেই জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানো হল।” |
|
|
 |
|
|