আলু কেনায় দুর্নীতির নালিশ
চাষিদের কাছ থেকে আলু কেনায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠল নলহাটির কয়থা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির বিরুদ্ধে। লোকসানের হাত থেকে বাঁচাতে গত বছর রাজ্য সরকার সমবায়ের মাধ্যমে চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি আলু কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আলু কেনার সময় থেকেই দুর্নীতি হচ্ছে বলে সমবায় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়ে আসছিলেন চাষিরা। কাজ না হওয়ায় তাঁরা জেলাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। চাষিদের দাবি, মঙ্গলবার অভিযোগকারী ১৩৭ জনকে সিউড়ি সদরে তাঁর দফতরে ডেকেছিলেন এআরসিএস (কো-অপারেটিভ সোসাইটির জেলা অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্টার)।
কয়থার বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমান, শিবনন্দন দত্ত, ঝুমু শেখদের অভিযোগ, “পুরোপুরি দুর্নীতিতে ঢাকা কয়থা কৃষি উন্নয়ন সমিতি। গত বছর ৪৫ হাজার প্যাকেট আলু কেনার বরাত পায় ওই সমিতি। ৭৫ শতাংশের বেশি আলু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কেনেন কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ম্যানেজার বা চেয়ারম্যানকে বললেও, তাঁরা আমাদের কোনও কথা গুরুত্ব দিতে চাননি। প্রায় ৬ মাস আগে এআরসিএসকে লিখিত ভাবে জানাই। কিন্তু উনিও আমাদের পাত্তাই দেননি। পরে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হই।” তাঁদের আরও অভিযোগ, “শুধু তাই নয়, এআরসিসির কাছে সমবায়ের আলু কেনার মাস্টার রোল চেয়েও পাওয়া যায়নি।” তাঁদের দাবি, “জেলাশাসকের সহায়তায় মাস্টার রোল পেয়ে যাই। দেখা যায়, আলু কেনা হয়নি এমন অনেক চাষিদের নাম তো আছেই, ওই সময় মারা যাওয়া বেশ কিছু চাষির নামও আছে। এ ছাড়া, ওই সমবায়ের ম্যানেজার সফিকুল আলম এ সব দুর্নীতি করার পাশাপাশি নিজের ছেলেকেও ওই সমবায়ে অন্যায় ভাবে কাজে নিযুক্ত করেছিলেন। গ্রামবাসীদের আন্দোলনে শেষ পর্যন্ত তাঁর ছেলেকে বরখাস্ত করতে বাধ্য হয় সমবায় কর্তৃপক্ষ। কয়েক দিনের মধ্যে তাঁর ছেলেকে অস্থায়ী ভাবে কাজে নিয়োগ করা হয়। নিজের চাকরির সময়সীমাও ২ বছর বাড়িয়ে নিয়েছেন।”
সমিতির ম্যানেজার সফিকুল আলম বলেন, “আলু কেনা নিয়ে ওঠা অভিযোগ ও অন্যান্য বিষয়ে দুর্নীতি হয়েছে, তা ঠিক নয়। ৪৫ হাজার প্যাকেট নয়, ১২ হাজার ৮১২ প্যাকেট আলু কেনার বরাত পায়। বাকি বরাত পায় অন্য সমবায়। ছেলে সমবায়ের একটি ঠিকাদারের অধীনে কাজ করে।” ওই সমবায়ের চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “সমবায়ের উন্নয়নের স্বার্থে ওই ম্যানেজারের সময়কাল ২ বাড়ানো হয়েছে। যে কোনও সময়ে যে কেউ সমবায়ের কাগজপত্র দেখতে পারেন।” এআরসিএস অংশুক চক্রবর্তীও সব অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, “এ দিন অভিযোগকারী, ওই সমবায়ের ম্যানেজার, চেয়ারম্যানকে ডাকা হয়েছিল। তবে এ ব্যাপারে সমবায়ের বোর্ড রিপোর্ট দেয়নি। রিপোর্ট পাওয়ার পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন বলেন, “চাষিরা আমার কাছে এসেছিলেন। বিষয়টি সমবায় কর্তৃপক্ষকে দেখতে বলা হয়েছে।”
Previous Story Purulia Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.