এক সিপিএম কর্মী ও তাঁর স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান থানার কলিগ্রামে। ওই সিপিএমের কর্মীর নাম চাঁদ ঘোষ। জামাইষষ্ঠী সারতে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে তাঁকে দুই তৃণমূল কর্মী মারধর করেছেন বলে সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য প্রদীপ তায়ের অভিযোগ। তিনি বলেন, “চাঁদবাবু সিপিএমের কর্মী বলেই তাঁকে মারধর করা হয়েছে। শেষে হাসপাতালে ভর্তি না হওয়া ও পুলিশে অভিযোগ দায়ের না করার শর্তে তাঁকে ছাড়া হয়। আহত দম্পতি একটি নার্সিং হোমে চিকিৎসা করিয়ে থানায় গিয়েছেন।” তবে বর্ধমান থানার ভারপ্রাপ্ত আইসি স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এটি একটি অরাজনৈতিক ঘটনা। দুই তৃণমূলের কর্মী চাঁদবাবুর কাছ থেকে টাকা পেতেন। এই টাকা চাইতে গিয়েই গোলমাল বাধে। দু’পক্ষের তরফেই মারধরের অভিযোগ জানানো হয়েছে।” স্থানীয় তৃণমূল নেতা বল্টু ঘোষের দাবি, “টাকা চাইতে গেলে চাঁদবাবুই আমাদের উপর হামলা চালান।” |
মাধ্যমিকে ভাল ফল করেও ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চয়তায় কালনা-১ ব্লকের কৃষ্ণদেবপুর গ্রামের পাপিয়া রাজবংশী। বাবার মৃত্যুর পরে সংসার সামলাতেই হিমশিম খাচ্ছেন তাঁর মা। তবে পাপিয়া ও তার ভাই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চায়। এ বছর কৃষ্ণদেবপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৫১৭ পেয়েছে সে। ভবিষ্যতে পড়াশোনা করতে সরকারি সাহায্য চেয়ে সোমবার কালনার মহকুমাশাসক সুমিতা বাগচীর কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছে পাপিয়া। গত ১৯ মে তার বাবার মৃত্যু হয়। পেশায় ভ্যান চালক বাবা অতি কষ্টে তার ও তার ভাইয়ের লেখাপড়ার খরচ যোগাতেন বলে জানায় পাপিয়া। তার ভাই শ্রীকৃষ্ণ রাজবংশী স্থানীয় একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। বাবার মৃত্যুর পরে সংসার চালাতে তার মা বিড়ি বাঁধার কাজ করেন। পাপিয়া বলে, “সংসার চালাতে আমাদেরও এখন মায়ের সঙ্গে বিড়ি বাঁধতে হয়। তবে আমরা দু’জনেই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চাই। যদি প্রশাসন আমাদের কোনও ভাবে সাহায্য করে তবে আমরা কৃতজ্ঞ থাকব।” মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পাপিয়ার আবেদনের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। |
জেলার চার সাব-ইন্সপেক্টরের বদলি হয়েছে। গলসি থানার ওসি করা হয়েছে বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়কে। এর আগে তিনি ছিলেন রানিগঞ্জের শ্রীপুর ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত সাব-ইন্সপেক্টর। তাঁর জায়গায় পাঠানো হয়েছে তোজাম্মেল হককে। রানিগঞ্জের প্রাক্তন ওসি রনবীরকুমার বাগকে কিছু দিন আগে বর্ধমানের পুলিশ লাইনে ‘ক্লোজ’ করা হয়েছিল। তাঁকে বর্ধমান থানায় পাঠানো হয়েছে। অন্ডালের প্রাক্তন ওসি জয়জিতকুমার লোধকেও বর্ধমানের পুলিশ লাইনে ‘ক্লোজ’ করা হয় এসপি হুমায়ুন কবীরের নির্দেশে। তাঁকে কেতুগ্রাম থানায় পাঠানো হয়েছে। এসপি হুমায়ুন কবীর বলেন, “ওই চারজনের বদলিই রুটিন ঘটনা।” |