জলের দাবিতে রাস্তা অবরোধ
পুরনো নলকূপের যন্ত্রাংশ দরপত্র ডেকে বিক্রির বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। আজ, বুধবার ছিল নিলামের দিন। কিন্তু তার আগে মঙ্গলবার দুপুরে চুপিসাড়ে বেশ কিছু নলকূপের পাইপ ও অন্য লোহার সামগ্রী সরিয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে সিপিএম পরিচালিত কাঁকসার বিদবিহার পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রধান-সহ কর্মীদের অফিসে আটকে রেখে দিনভর বিক্ষোভ দেখান। রাত ৮টা নাগাদ পঞ্চায়েত প্রধানের নামে পুলিশের কাছে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করে গ্রামবাসী। পুলিশ তদন্তের আশ্বাস দিয়ে প্রধান ও কর্মীদের উদ্ধার করে।
পথ রুখেছে তৃষ্ণা। পানীয় জলের দাবিতে অবরোধ আসানসোলে। মঙ্গলবার শৈলেন সরকারের তোলা ছবি।
পানীয় জলের দাবিতে মঙ্গলবার প্রায় ৬ ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করলেন আসানসোল পুরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের চারটি গ্রামের বাসিন্দারা। এর ফলে কাল্লা গিরমিন্ট রোডে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশের হস্তক্ষেপে বেলা ১২টা নাগাদ অবরোধ উঠলে রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। দুর্গাপুরের মেয়রের নির্দেশে এ দিন এলাকায় গিয়েছিলেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের আধিকারিকেরা। এলাকায় জলের ট্যাঙ্কে করে পর্যাপ্ত পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা হচ্ছে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৬টা নাগাদ পুরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাল্লা গিরমিন্ট রাস্তা অবরোধ করেন এলাকার কাল্লাগ্রাম, পড়িরা, সাতপুকুড়িয়া ও ঘোষ পাড়ার কয়েকশো বাসিন্দা। সকালের দিকে এই রাস্তায় যান চলাচল কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় গাড়ির সংখ্যা বাড়তে থাকে। এই রাস্তা দিয়ে কাল্লা, চুরুলিয়া, গিরমিন্ট, হরিপুর এলাকার বাস চলাচল করে। এ দিন অবরোধের কারণে কোনও গাড়িই ওই রাস্তা দিয়ে যেরে পারেনি। অবরোধের জেরে বিপাকে পড়েন যাত্রীরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তাঁদের প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা পেরিয়ে নিয়মিত পানীয় জল আনতে হয়। এলাকার পুকুর, কুয়ো গরম পড়তে না পড়তেই শুকিয়ে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভোটের সময় তাঁরা সকলকেই সমস্যার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু কোনও সমাধান হয়নি। এলাকায় পানীয় জলের সমস্যার কথা স্বীকার করে এই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুনীতা সোরেন বলেন, “এলাকায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের পাইপ লাইন রয়েছে। জলের কলও আছে। কিন্তু তা থেকে জল পড়ে না। বাসিন্দাদের চরম জলকষ্ট সহ্য করতে হয়। পুরসভার প্রতিটি বোর্ড সভাতেই এই সমস্যার কথা তুলে সমাধানের আর্জি জানানো হলেও কোনও ফল মিলছে না।” তিনি জানান এ দিন বিকেলে তিনি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরে গিয়ে সমস্যা সমাধানের জন্য আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বেলা ১২টা নাগাদ এলাকায় যায় আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। পুলিশ উপযুক্ত ব্যাবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়।
আসানসোল পুরসভার জল বিষয়ক মেয়র পারিষদ রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, ওই এলাকায় প্রতিদিন ৭৫টি জলের ট্যাঙ্ক পাঠানো হয়। আসানসোল পুরসভা নতুন একটি জল প্রকল্পও হাতে নিয়েছে। ৩২ নম্বর ওয়ার্ডেও একটি জলাধারও তৈরি করা হয়েছে। সেটি চালু হলে এলাকায় জলের সমস্যার সমাধান হবে। রবিউল ইসলাম প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যত দিন পুরসভার এই নতুন প্রকল্পটি চালু না হয় তত দিন পর্যন্ত এই এলাকায় আরও বেশি করে জলের ট্যাঙ্ক পাঠানো হবে।
Previous Story Bardhaman Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.