টুকরো খবর


ব্যবস্থাই নেয়নি পুলিশ, নালিশ
বাড়ির সীমানা নিয়ে দুই প্রতিবেশীর গোলমালে ধারালো অস্ত্র, রড নিয়ে প্রতিবেশীর উপরে হামলা চালান তৃণমূলের এক নেতা ও তার সঙ্গীরা। দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার নিগৃহীত ওই পরিবারের পক্ষ থেকে জেলার পুলিশ সুপারের দফতরে অভিযোগ জানানো হয়। জেলার পুলিশ সুপার স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ণপাত্র জানান, তপন থানার ওসির কাছে ওই ঘটনার রিপোর্ট চেয়েছেন তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিগৃহীত পরিবারটি তপন থানার উত্তর বজরাপুর এলাকার বাসিন্দা। প্রতিবেশী মণি তালুকদারের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে সীমানা নিয়ে গোলমাল রয়েছে। ২৬ মে ওই পরিবারের সদস্য কার্তিক রায় বাড়িতে ফেরার সময়ে হামলার শিকার হন। কার্তিকবাবুর অভিযোগ, প্রতিবেশী মণি তালুকদার এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতা রামকৃষ্ণ রায়ের নেতৃত্বে তাঁদের উপরে হামলা হয়। তাঁদের বাঁচাতে এগিয়ে গেলে হামলার শিকার হন কার্তিকবাবুর স্ত্রী সারথি দেবী এবং মা জ্যোৎস্না দেবী। জখম ৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ২৮ মে তপন থানায় অভিযোগ করা হয়। কার্তিকবাবু বলেন, “আমরাও তৃণমূল করি। রামকৃষ্ণ রায়-সহ কয়েক জন তৃণমূল নেতা আমাদের উপরে হামলা করে। পুলিস ব্যেবস্থা নেয়নি।” অভিযুক্ত রামকৃষ্ণবাবু বলেন, “প্রতিবেশীদের সঙ্গে কার্তিকবাবুর গোলমাল। অহেতুক আমাদের জড়ানো হচ্ছে।”


অনিয়মের নালিশ
হলদিবাড়ি নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির বিরুদ্ধে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ তুলল ব্লক যুব তৃণমূল। এ ব্যাপারে নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির চেয়ারম্যানা মহকুমাশাসক ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা কমিটির সদস্য দেবব্রত ভট্টাচার্য বলেন, “সমস্ত নিয়ম মেনেই টেন্ডার করা হয়েছে।” হলদিবাড়ির নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির চেয়ারম্যান তথা মেখলিগঞ্জের মহকুমাশাসক দেবাশিস কর্মকার বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রিপোর্ট রাজ্য সরকারের কাছে পেশ করা হবে।” তৃণমূলে র অভিযোগ, যে ভাবে তড়িঘড়ি দরপত্র ডেকে কাজ পাইয়ে দেওয়া হয়েছে তা নজিরবিহীন।


হামলার অভিযোগ
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে এসএফআইয়ের বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে মালদহ কলেজে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে রাজমহল রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসএফআই হামলার নালিশ অস্বীকার করে। মালদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “দুই ছাত্র সংগঠনের গণ্ডগোলে মালদহ কলেজে পুলিশ পাঠানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।” জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক ছোটন মৌলিক বলেন, “কলেজের অধ্যক্ষের অনুমতি নিয়ে কলেজের একটি অংশে টিএমসিপি সমর্থকরা ভর্তি সংক্রান্ত নোটিস টাঙানোর কাজ করছিলেন। সেই সময় এসএফআই সমর্থকরা হামলা করে। ৮ জন জখম হয়েছেন।” এসএফআইয়ের জেলা সভাপতি জয় চক্রবর্তী বলেন, “কলেজের স্বাভাববিক পরিস্থতি তৃণমূল ছাত্র পরিষদ উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে। নিজেরাই নিজেদের পোস্টার, ব্যানার ছিঁড়ে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। আমাদের কোনও সমর্থক কারও উপর হামলা করেনি।”


সমস্ত স্কুলেই মিল, নির্দেশ
রাজ্যে যে সব স্কুলে মিড ডে চালু হয়নি তা ১৫ জুনের মধ্যে চালু করার নির্দেশ জারি করল স্কুলশিক্ষা দফতর। দফতরের সচিব বিক্রম সেন রাজ্যের ১৯টি জেলার জেলাশাসকদের ওই নির্দেশ পাঠিয়ে জানান, ১৫ জুনের মধ্যে মিড ডে মিল চালু না হলে সেই স্কুলের অনুমোদন এবং শিক্ষকদের বেতন বাবদ দেয় অর্থ বন্ধ করা হবে। রাজ্যে শিক্ষা দফতরের সচিবের এই নির্দেশ পৌঁছনোর পরে জেলায় মিড ডে মিল চালু করার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। জেলার সমস্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে (মাধ্যমিক ও প্রাথমিক) মালদহের জেলাশাসক রাজ্য শিক্ষা দফতরের সচিবের নির্দেশ কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছেন। সমস্ত স্কুলে পানীয় জল ও স্যানিটেশনের কাজ সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই নির্দেশে। রাজ্যের সমস্ত স্কুলে মিড ডে মিল চালু হয়েছে কি না, সেই ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট ৩০ জুন রাজ্যের মুখ্যসচিবকে হলফনামা দাখিল করার নিদের্শ দিয়েছে। তার পরেই স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিব ওই নির্দেশ জারি করেন। মালদহ জেলায় ১৩৭টি হাইস্কুল সহ ২৬০টি স্কুলে এখনও মিড ডে মিল চালু হয়নি। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) বিমল পান্ডে এই প্রসঙ্গে বলেন, “৭ জুনের মধ্যে জেলার সমস্ত স্কুল মিড ডে মিল চালু করার জন্য সব স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ পাওয়ার পরেও যদি স্কুল কর্তৃপক্ষ মিড ডে মিল চালু না করে তবে সেই স্কুলের শিক্ষকদের বেতন আটকে দেওয়া হবে। গরমের ছুটিতে সমস্ত স্কুল ছুটি আছে। ছুটি শেষ হয়ে গেলে জেলার সবর্ত্রই মিড ডে মিড মিল চালু করা হবে।”


সমিতির উদ্যোগ
স্থানীয় বাসিন্দাদের সুবিধার জন্য রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল লাগোয়া ওষুধের দোকান রাতে খোলার রাখার বিষয়ে উদ্যোগী রোগী কল্যাণ সমিতি। সোমবার বিকালে রায়গঞ্জের মাল্টিপারপাস হলঘরে সমিতির বৈঠক হয়। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, হাসপাতালের আশেপাশে ৭-৮টি ওষুধের দোকান আছে। রাতে সেগুলি বন্ধ থাকায় বাসিন্দারা সমস্যায় পড়েন। এ বার থেকে পালা করে কয়েকটি দোকান রাতে খোলা রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। জেলাশাসক সুনীল কুমার দণ্ডপাট বিষয়টি নিয়ে ড্রাগ কন্ট্রোল এবং বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিডিএ) সঙ্গে কথা বলবেন। বৈঠকের পর জেলাশাসক বলেন, “রাতে ওষুধের দোকান বন্ধ থাকায় রোগীর পরিবারের লোকজনকে সমস্যায় পড়তে হয়। রাতে কয়েকটি দোকান যাতে খোলা থাকে। সেই বিষয়ে ওষুধ ব্যবসায়ীদের সংগঠনের কথা বলা হচ্ছে।” বিসিডিএ-র জেলা সভাপতি তুষার সরকার বলেন, “আমাদের রাতে দোকান খুলে রাখতে অসুবিধা নেই। তবে ফার্মাসিস্ট এবং নিরাপত্তার বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে আগে দেখতে হবে। জেলাশাসকে বৈঠক হলে দুটি বিষয়ই জানাব।”


থানাতে বিক্ষোভ
সিআরপি জওয়ানরা বাসিন্দাদের মারধর করায় উত্তেজনা সৃষ্টি হল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে। সোমবার রাত ৯টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা অভিযুক্ত দের শাস্তি দাবি করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় বিক্ষোভ দেখান। দুই জওয়ান এলাকার এক সাইকেলের দোকানের কর্মীচারী সিন্টু দাসের কাছে জুতোয় পেরেক লাগানোর জন্য হাতুড়ি চেয়েছিলেন। তা নিয়ে বিবাদের জেরে ওই দুই জওয়ান সাইকেলের দোকানের ওই কর্মচারীকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। দোকানের মালিক কামনাশিস রায় বাধা দিতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয়। ওই ঘটনায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়বাসিন্দারা ছুটে গিয়ে প্রতিবাদ জানান। ইতিমধ্যে খবর পেয়ে সিআরপি’র আরও কিছু জওয়ান ঘটনাস্থলে যান এবং বিক্ষোভকারীদের লাঠিচার্জ করেন বলে অভিযোগ। সাইকেলের দোকানের মালিক এবং কর্মচারীকে জওয়ানরা থানায় নিয়ে যান। বাসিন্দারাও থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশ া ওই দু’জনকে ছেড়ে দিলে পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে। সাইকেলের দোকানের মালিক এবং কর্মচারীকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।


নির্যাতনে ধৃত স্বামী
স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার রতুয়া থানার বাহারাল থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ ওই ঘটনায় ধৃতের বাবা-মা-সহ পাঁচ জনকে খুঁজছে। ধৃতের নাম শেখ সাজাহান। চার বছর আগে তাঁর সঙ্গে বাহারালের সেরিনা বিবির বিয়ে হয়।


আমেরিকায় প্রদশর্নীতে কোচবিহার রাজবাড়ির বিষ্ণু মূর্তি
ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব।
ভারতীয় সভ্যতা, সাংস্কৃতিক নির্দশন নিয়ে ইউরোপ এবং লাতিন আমেরিকায় প্রদর্শনীর জন্য কোচবিহার রাজবাড়ি মিউজিয়ামের প্রাচীন ব্রহ্মা ও বিষ্ণু মূর্তি পাঠানো হচ্ছে। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ানার (এএসআই) মিউজিয়াম বিভাগ ওই প্রদর্শনীর জন্য দেশের বিভিন্ন মিউজিয়ামের শতাধিক মূর্তির তালিকা তৈরি করেছে। তালিকায় কলকাতার ভারতীয় জাদুঘরের ৬টি, তমলুকের মিউজিয়ামের ২টি এবং কোচবিহার রাজবাড়ির ২টি মূর্তির নাম রয়েছে। সব কিছু ঠিকঠাক চললে জুলাই মাসে পর্যায়েক্রমে লাতিন আমেরিকার মেস্কিকো, চিলি ছাড়া ইউরোপের ইতালিকে ওই প্রদর্শনী শুরু হবে। কোচবিহার রাজবাড়ি মিউজিয়ামের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুনীল কুমার ঝা বলেন, “রোম এবং মেস্কিকোর কিছু শহরে ওই প্রদশর্নীর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। দেশের বিভিন্ন মিউজিয়াম থেকে মূর্তির পাশাপাশি রাজবাড়ি মিউজিয়ামের দুটি মূর্তি রয়েছে।” বিদেশের গবেষকদের মধ্যে ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শিব, সূর্য মূর্তি নিয়ে কৌতুহল রয়েছে। কোচবিহারের ব্রহ্মা এবং বিষ্ণু মূর্তি এই কারণের তালিকাভুক্ত হয়েছে। কালো রঙের গ্রানাইট পাথর খোদাই করে তৈরি ওই দুটি মূর্তি দুটি একাদশ শতাব্দীর। এএসআই-এর কলকাতা সার্কেলের আধিকারিক তপনজ্যোতি বৈদ বলেন, “সাংস্কৃতিক ভাব বিনিময়ের জন্য এ ধরনের প্রদর্শনী হয়। দু’মাসের মধ্যে ওই প্রদর্শনী শেষ করে মূর্তিগুলি সংশ্লিষ্ট মিউজিয়ামে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়।”


জেলায় সাড়া
একজনের বাবা ফেরিওয়ালা। অন্য জন্যের দিনমজুর। বালুরঘাটের দুঃস্থ পরিবারের দুই মেধাবীদবাশিস সাহা এবং দীপক চৌধুরী, এবারে উচ্চ মাধ্যমিকে ভাল ফল করে সাড়া ফেলেছে জেলায়। উচ্চ শিক্ষায় দু’জনের প্রবল আগ্রহ। কিন্তু আর্থিক অনটনই সে পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই শত কষ্টের মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিকে সফল হওয়া দুই পড়ুয়ার উচ্চ শিক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরিবার। সাহেবকাছারির ঢাকা কলোনির দেবাশিস এবার বালুরঘাট হাই স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৫৩ নম্বর পেয়েছে। বাংলায় ৮১, ইংরেজিতে ৮৫, অঙ্কে ৯৯, রসায়নে ৯২, পদার্থ বিজ্ঞানে সে ৯৬ নম্বর পেয়েছে। খাদিমপুর হাই স্কুলের ছাত্র দীপক চৌধুরীর এবার ৪০৭ পেয়েছে বাংলায় ৬৫, ইংরেজিতে ৭৫, অঙ্কে ৯৫, রসায়নে ৮২ এবং পদার্থ বিজ্ঞানে ৯০ পান দীপক। তার মা বাসন্তীদেবী বলেন, “চার ছেলেমেয়েকে নিয়ে অভাবের সংসার। ওর উচ্চ শিক্ষার খরচ কোথা থেকে আসবে, তা ভেবে পাচ্ছি না।” দেবাশিস পড়তে চায় পদার্থ বিজ্ঞান নিয়ে। পিএইচডি করতে চায়। আর অঙ্ক নিয়ে অনার্স পড়তে চায় দীপক। দু’জনেই বুঝতে পারছে না, আদৌও কি আর পড়াশুনো করা সম্ভব!
Previous Story Uttarbanga Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.