|
|
|
|
দুই স্বাস্থ্যকর্মী ধৃত |
চিকিৎসার গাফিলতিতে পা কাটা গেল ছাত্রের |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²বসিরহাট |
চিকিৎসককে না জানিয়ে দুর্ঘটনায় জখম এক ছাত্রের পায়ে প্লাস্টার করেছিলেন বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির তিন স্বাস্থ্যকর্মী। সেই ছাত্রের পা কেটে বাদ দিতে হয়েছে। কর্তব্যে এই রকম গাফিলতির অভিযোগে সোমবার পরিমল দে এবং দুলাল সরকার নামে ওই দুই স্বাস্থ্যকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তৃতীয় অভিযুক্তকেও পুলিশ খুঁজছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হিঙ্গলগঞ্জের গোবিন্দকাটির বাসিন্দা প্রসেনজিৎ নস্কর নামে ওই ছাত্রটি দুর্ঘটনায় পড়ে গত বছর ২১ জুলাই। স্থানীয় গোবিন্দকাটি বাণীবীথি হাইস্কুলের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত সে। এক সাইকেল আরোহী তাকে ধাক্কা মারে। সাইকেলের একটি রড তার বাঁ পায়ে ঢুকে যায়। শিক্ষকেরা তাঁকে বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেই সময়ে স্বাস্থ্যকর্মী পরিমল দে, দুলাল সরকার এবং রবি ৫০০ টাকা নিয়ে প্রসেনজিতের পায়ে প্লাস্টার করে দেন বলে অভিযোগ। এক্স-রে করা হয়নি। চিকিৎসকেরও পরামর্শও নেননি তাঁরা। বাড়ি ফেরার পরে প্রসেনজিতের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কয়েক মাস পরে স্থানান্তরিত করানো হয় কলকাতার আর জি করে । তার জীবন বাঁচাতে চিকিৎসকেরা বিষিয়ে যাওয়া পা-টি কেটে বাদ দেন।
প্রসেনজিতের বাবা অতুলবাবু দিনমজুরি করেন। একটি মানবাধিকার সংগঠনের সহযোগিতায় চলতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি তিনি হিঙ্গলগঞ্জ থানায় ওই অভিযোগ দায়ের করেন। জানানো হয় উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার-সহ প্রশাসনের নানা মহলে। এসপির নির্দেশে তদন্তে নেমে হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিশ এ দিন ওই দু’জনকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানায়, জেরায় ধৃতেরা দাবি করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। অতুলবাবু বলেন, “শিক্ষকেরা ছেলেকে নিয়ে যখন ওই হাসপাতালে যান, তখন কোনও চিকিৎসক পাননি। স্বাস্থ্যকর্মীরাই অর্থের বিনিময়ে প্লাস্টার করে দেন।” বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালের সুপার রণজিৎ দাস বলেন, “ঘটনার কথা পরে জানতে পারি। লিখিত অভিযোগ না জানানোয় স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।” |
|
|
|
|
|