টুকরো খবর

হাসপাতালের নিরাপত্তা বাড়াতে আর্জি
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হল রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে। সোমবার দুপুরে মেডিক্যাল কলেজেই এই বৈঠক হয়। ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ সুকুমার মাইতি, হাসপাতাল সুপার রামনারায়ণ মাইতি-সহ অন্য আধিকারিকেরা। ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) রামকৃষ্ণ মাইতিও। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নানা সমস্যা নিয়ে এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়। উঠে আসে পরিষেবার প্রসঙ্গও। রোগী ও তাঁদের পরিজনরা যে সব অভিযোগ করেন, তাও আলোচিত হয়। হাসপাতাল চত্বরের সৌন্দর্যায়নে এ বার নজর দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এর আগেও এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা পরিকল্পনা স্তরেই থেকে যায়। অবশ্য এবার তেমন হবে না- বলেই দাবি কর্তৃপক্ষের। হাসপাতাল সুপার বলেন, “হাসপাতাল চত্বর সাজানো হবে। এ নিয়ে পরিকল্পনা হয়েই রয়েছে। সৌন্দর্যায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।” পাশাপাশি, হাসপাতাল চত্বরের নিরাপত্তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। এক পুলিশ অফিসারও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সিদ্ধান্ত হয়েছে, হাসপাতাল ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা ফের আরও একবার লিখিত ভাবে পুলিশের কাছে জানানো হবে। একটি পুলিশ ফাঁড়ি করার কথাও সেই আবেদনে উল্লেখ থাকবে। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, নিরাপত্তার ফাঁক গলে যে কোনও সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতেই পারে। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার বন্দোবস্ত থাকবে, এটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু এখন তা নেই। তাই নিরাপত্তা বাড়ানোর আবেদন জানানো হবে।

কর্মীদের কাজে ফেরানোর দাবি
অবস্থান-বিক্ষোভ। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম।

অবিলম্বে অস্থায়ী কর্মীদের কাজে পুনর্বহালের দাবিতে সোমবার রামপুরহাট হাসপাতালে অবস্থানে বসলেন ওই সব কর্মীদের পরিবারের লোকেরা। এ দিন তাঁরা থালা-বাটি নিয়ে হাসপাতালের বহির্বিভাগের সামনে মূল প্রবেশদ্বারে অবস্থানে বসেন। একই সঙ্গে স্থায়ীকরণের দাবিতে হাসপাতালে ঠিকাদার সংস্থা দ্বারা নিযুক্ত নিরাপত্তাকর্মী ও সাফাই কর্মীরা কাজে যোগ দেননি। এর ফলে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালে সাফাইয়ের কাজ বন্ধ থাকে। বিশৃঙ্খলা হতে পারে, এই আশঙ্কায় হাসপাতালে পুলিশ ও কমব্যাট ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছিল। পরে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক আশিস মল্লিক পৌঁছলে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে কয়েক জন তাঁদের দাবিগুলি পেশ করেন। সিএমওএইচ বলেন, “যে ২০ জন অস্থায়ী কর্মীকে সাময়িক ভাবে সরানো হয়েছে। প্রয়োজনে তাঁদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কাজ দেওয়া হবে। তবে এ ক্ষেত্রে কিছু দিন সময় লাগবে।” হাসপাতালের নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালের ১৯ জন নিরাপত্তা কর্মী থাকার কথা। তাঁদের টাকা জেলা স্বাস্থ্য দফতর দেয়। কিন্তু এখানে ৯ জন নিরাপত্তা কর্মী আছেন। তাঁরা নিজেদের মতো করে ডিউটি করেন। প্রত্যেক দিন মাথাপিছু যেন ১৯ জন থাকে। তাতে এক জন দিনে দুবার কাজ করুক আপত্তি নেই, হাসপাতালের পরিষেবা যেন বন্ধ না থাকে।” ১১ জন সাফাই কর্মীর স্থায়ীকরণের ব্যাপারে সিএমওএইচ বলেন, “একটা পদ্ধতি মেনে চলতে হয়। এ ক্ষেত্রেও তাই হবে।” প্রসঙ্গত, সম্প্রতি হাসপাতালের ২০ জন অস্থায়ী কর্মীকে কাজে পুনর্বহালের দাবিতে সুপারের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল।

হাসপাতালে লেদ মেশিন বসাল পুরসভা
স্বাস্থ্যবিধি ভেঙে প্রায় ১২০ বছরের প্রাচীন জিয়াগঞ্জের লন্ডন মিশন খ্রিস্টীয় সেবাসদন হাসপাতাল চত্বরে লেদ কারখানা করা হয়েছে। জিয়াগঞ্জের পুরসভার এক্তিয়ারে থাকা ঐতিহাসিক ওই হাসপাতালের তিনটি ঘর নিয়ে অবৈধ ভাবে গড়ে তোলা হয়েছে পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির কার্যালয়। এমনই অভিযোগে ওই লেদ কারখানা ও পদমপুর ৩ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির কার্যালয়ে সোমবার তালা ঝোলালেন ডায়াসিস অফ ব্যারাকপুরের ফাদার ডেভিড রায় ও ফাদার জয়োৎপল হাঁসদা। তাঁদের দাবি, “পাঁচটি শর্তে ১৯৯৫ সালের ১৪ জুলাই ওই হাসপাতাল ডায়াসিস অব ব্যরাকপুরের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারকে দেওয়া হয়। সরকার ওই শর্ত মতো পরিচালনা না করায় তা ফিরিয়ে দিতে হবে। এ নিয়ে আমরা মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হব।” জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভার প্রধান ও পদাধিকার বলে ওই হাসপাতাল পরিচালন কমিটির সহ-সভাপতি শঙ্কর মণ্ডল বলেন, “২০ শয্যার হাসপাতাল হলেও রোগীর অত্যধিক চাপের কারণে দৈনিক ৮০-৯০ জনকে ভর্তি করাতে হয়। ওই রোগীদের ভাল ভাবে রাখার জন্য শয্যা থেকে ভবন সব কিছুই সংস্কার করতে হচ্ছে। ওই কাজ দ্রুত করার জন্য হাসপাতাল চত্বরে সাময়িক সময়ের জন্য দিন কুড়ি আগে ওই কারখানা করা হয়েছে।” শঙ্করবাবু জানান, সিপিএমের অফিস নয়, জমি না পাওয়ায় হাসপাতালের দূরের একটি ঘরে ওয়ার্ড কমিটির কাযার্লয় করা হয়েছে। পুরসভার থেকে চেয়েও যদি তাঁরা ভাল ভাবে হাসপাতাল পরিচালনা করতে পারেন তবে নিয়ে নেবেন। সেই সঙ্গে শঙ্করবাবুর পাল্টা অভিযোগ, “এ দিন হাসপাতালে ফাদাররা কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজন সঙ্গে নিয়ে গিয়ে হাসপাতালে তাণ্ডব চালিয়েছেন।”

স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শনে রানিগঞ্জের বিধায়ক
তৃণমূল বিধায়ক সোহরাব আলি সোমবার রানিগঞ্জ প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। বিধায়ক জানান, স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে চরম অব্যবস্থা। রোগীদের কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন, আন্তর্বিভাগ পরিষ্কার করতে সাফাই কর্মীদের টাকা দিতে হয় রোগীদেরই। অভিযোগ, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোনও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ নেই। অধিকাংশ পাখাই ঘুরছে না, প্রায়ই বাইরে থেকে ওষুধ কিনে খেতে হচ্ছে রোগীদের। পর্যাপ্ত বিছানার চাদর মজুত থাকলেও সপ্তাহে এক বারের বেশি তা পাল্টানো হয় না। সোহরাব আলি বলেন, “সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার সময়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের টাকা দিয়ে যেতে হয় রোগীদের। স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জানাব।” এ দিন বিএমওএইচ-এর অনুপস্থিতিতে মেডিক্যাল অফিসার তীর্থপ্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, “আগেই স্বাস্থ্য দফতরকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিকাঠামো উন্নয়নে নজর দিতে আবেদন জানিয়েছি।”

আচমকা হাসপাতাল পরিদর্শন
ছবি: তাপস ঘোষ।
সোমবার সকালে ব্যান্ডেল ইএসআই হাসপাতালে আচমকাই পরিদর্শনে যান সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত। হাসপাতালের সুপার এবং ওয়ার্ড মাস্টারকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন। সেখানে ভর্তি শ্রমিকদের অভাব-অভিযোগ শোনেন। হাসপাতালের রান্নাঘরেও যান। বিধায়ক বলেন, “আমি অভিযোগ পেয়েছি এখানকার চিকিৎসকেরা সময়মতো আসেন না। রোগী দেখার ব্যাপারে তাঁদের গাফিলতি রয়েছে। রোগীদের অতি নিম্ন মানের খাবার পরিবেশন করা হয়।” হাসপাতাল চত্ত্বরের পরিচ্ছন্নতা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করে তপনবাবু জানান, মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে তিনি রিপোর্ট জমা দেবেন।

হাসপাতালে বিক্ষোভ হলদিয়ায়
রোগিণীর মৃত্যু ঘিরে সোমবার উত্তেজনা ছড়ায় হলদিয়ার বনবিষ্ণুপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। মৃতার নাম সরলাবালা দাস (৭০)। বাড়ি ভবানীপুরের চাউলখোলয়। রবিবার সকালে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ দিন সকালে মারা যান তিনি। অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে সরলাবালাদেবীর। প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান পরিজনেরা। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

হাসপাতালে বিধায়ক
আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতাল পরিদর্শন করলেন নবনির্বাচিত বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায়। সোমবার সকালে হাসপাতালে গিয়ে সুপার এবং অতিরিক্ত জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেন। হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবার কী কী সমস্যা রয়েছে সেগুলি খোঁজ নেন। শীঘ্রই হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন বলে জানান। দেবপ্রসাদবাবু বলেন, “পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ শুনতেই গিয়েছিলাম। ১৮ জুন রোগী কল্যাণ সমিতির সভাতে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।” হাসপাতালের পরিষেবার হাল ফেরাতে বিধায়ককে উদ্যোগী হতে অভিভাবক মঞ্চের তরফে জানানো হয়।
Previous Story Swasth First Page



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.