|
|
|
|
আইআইটি নিয়ে সবুজ সঙ্কেত দিল্লির |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²নয়াদিল্লি |
দার্জিলিঙে একটি আইআইটি স্থাপনে প্রাথমিক ভাবে কেন্দ্রের সবুজ সঙ্কেত পেল রাজ্য সরকার। পাহাড়ের উন্নয়ন নিয়ে মহাকরণে নতুন সরকারের সঙ্গে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রথম বৈঠকের দিনেই রাজধানীতে এই খবর জানালেন উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। আজ কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী কপিল সিব্বলের সঙ্গে দেখা করে ব্রাত্যবাবু পাহাড়ে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ার প্রস্তাব দিলে তাতে সম্মতি জানান তিনি।
বৈঠক শেষে ব্রাত্যবাবু বলেন, “দার্জিলিঙে একটি বিশ্বমানের শিক্ষা কেন্দ্রের দাবি ছিল বহুদিন ধরেই। আজ বিষয়টি নিয়ে সিব্বলের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। তিনি আগামী (দ্বাদশ) পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় এই প্রস্তাবটিকে প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।” উচ্চ শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, কালিম্পংয়ের কাছে একটি জমি আইআইটি-র জন্য চিহ্নিতও করেছে জেলা প্রশাসন।রেলমন্ত্রী থাকার সময়েই দার্জিলিঙে একটি রেলের সফ্টওয়্যার কেন্দ্র গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সামগ্রিক ভাবে পাহাড়ের সার্বিক উন্নতিতে যে তিনি বদ্ধপরিকর, ক্ষমতায় আসার পরে সেই রাজনৈতিক বার্তাই দিতে চাইছেন তিনি। আইআইটি স্থাপনের
এই তৎপরতায় জোরালো হল সেই বার্তাই।এ ছাড়া, রাজ্যের ১৮টি জেলায় একটি করে কলেজ স্থাপন, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যলয়গুলির শিক্ষকদের বকেয়া প্রায় ৮২০ কোটি টাকা অবিলম্বে দিয়ে দেওয়ার ব্যাপারেও ইতিবাচক সাড়া মিলেছে এ দিনের বৈঠকে। কেন্দ্রীয় সমীক্ষাতেই দেখা গিয়েছে, দেশের ৩৫৪টি পিছিয়ে পড়া জেলায় কোনও কলেজ নেই। এরই সূত্রে কেন্দ্র এই সব জেলায় একটি করে মডেল কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আগেই। বামফ্রন্ট সরকারের আমলে রাজ্যের তিনটি জেলায় এমন কলেজ স্থাপনের কথা ভাবা হলেও রাজ্যের প্রতিনিধিরা আজ পশ্চিমবঙ্গের ১৮টি জেলাতেই একটি করে কলেজ স্থাপনের অনুমতি চান। তাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মৌখিক সম্মতি মিলেছে বলে ব্রাত্যবাবু জানিয়েছেন।
রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ২০০৬ থেকে ২০০৯-এর অক্টোবর পর্যন্ত বর্ধিত বেতনের ৮০% (কেন্দ্রের অংশ) হাতে পাননি। কেন্দ্রের কিছু শর্ত পালনের প্রশ্নে আটকে রয়েছে এই টাকা। শর্তগুলির মধ্যে রয়েছে শিক্ষকদের অবসরের বয়স বাড়িয়ে ৬৫ বছর করা, সময়ে পদোন্নতি, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিকাঠামো উন্নয়ন ও ক্লাসের সংখ্যা বাড়ানো ইত্যাদি। উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছেন, অবসরের বয়স বাড়ানো ছাড়া বাকি প্রায় সব শর্তই মেনে নিয়েছে রাজ্য। সিব্বলও বকেয়া টাকা মুক্ত করার দাবি মেনে নিয়ে অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দিয়েছেন। শিক্ষকদের অবসরের বয়স নিয়ে সিদ্ধান্তের ভার রাজ্যের হাতেই ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। |
|
|
|
|
|