জয়েন্টের ফলের অপেক্ষায় দুই জেলার কৃতীরা
চ্চ মাধ্যমিকে দুর্দান্ত ফল করেও জয়েন্ট এন্ট্রাস ফলের অপেক্ষায় রয়েছেন বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার কৃতী ছাত্রছাত্রীদের বড় অংশ। দুই জেলা মিলিয়ে সাত জন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী পাঁচটি বিষয়ে সর্বোচ্চ গ্রেড ‘এএ’ পেয়ে উচ্চ শিক্ষা সংসদ প্রকাশিত মেধা তালিকায় নিজেদের জায়গা করে নিয়েছেন।
মাধ্যমিকের মতো ভাল ফলের ধারাবাহিকতা উচ্চ মাধ্যমিকেও বজায় রেখেছে বাঁকুড়া জেলা। যাঁরা এই জেলার মুখ উজ্জ্বল করেছেন, তাঁদের অন্যতম হলেন বিষ্ণুপুর হাইস্কুলের ছাত্র কৃষ্ণেন্দু ঘোষ। মাধ্যমিকেও তিনি খুব ভাল ফল
কৃষ্ণেন্দ সোমনাথ রচনা পৌলমী
করেছিলেন। এই ধারাবাহিক সাফল্যের রসায়ন কী? রবিবার বিষ্ণুপুর শহরের মালঞ্চপল্লির বাড়িতে বসে কৃষ্ণেন্দুর লাজুক জবাব, “মন দিয়ে দিনে পাক্কা ছ’ঘণ্টা করে পড়েছি। তারই সুফল মিলেছে।” বাড়িতে পড়াশোনার ক্ষেত্রে এই ছাত্র বরাবর পাশে পেয়েছেন নিজের দাদু, বিষ্ণুপুর হাইস্কুলেরই রসায়ন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অমরেন্দ্রনাথ ঘোষকে। এখন জয়েন্টের ফলের অপেক্ষায় কৃষ্ণেন্দু, যাঁর লক্ষ্য ইঞ্জিনিয়ার হওয়া। এই জেলার আর যে দু’জনের নাম মেধা তালিকায় আছে, তাঁরা একাধারে সহপাঠী ও ভাল বন্ধু। বাঁকুড়া শহরের উপকণ্ঠে পোয়াবাগানের বিবেকানন্দ শিক্ষা নিকেতন হাইস্কুলের দুই ছাত্রী রচনা মুরারকা ও পৌলমী হাজরা। শহরের ইঁদারাগোড়ায় রচনার বাড়ি। প্রিয় বিষয় অঙ্ক। এআইইইই-তে ৬২০ ‘র্যাঙ্ক’ করা রচনার ইচ্ছা ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ার। তাঁর কথায়, “আমি জয়েন্ট এন্ট্রাসের ফলের অপেক্ষায় রয়েছি। রাজ্যের কোথাও ভাল কলেজে পছন্দসই বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ থাকলে ছাড়ব না।” রচনার বাবা রমেশকুমার মুরারকা পেশায় আইনজীবি, মা সুমিতাদেবী গৃহবধূ। শহরেরই কেঠারডাঙায় পৌলমীর বাড়ি। তাঁর কথায়, “আমি কলকাতার কোনও ভাল কলেজে অর্থনীতি নিয়ে পড়তে চাই। তার পরের লক্ষ্য, এমবিএ।” বন্ধুর মতোই তাঁরও প্রিয় বিষয় অঙ্ক।

সন্দীপন

বীথিকা
অনুলিপি
রচনার মন্তব্য, “পরীক্ষার আগেও আমরা একে অন্যের বাড়িতে গিয়ে গল্প করতাম। এর পর দু’জনেই কলকাতায় পড়ার সুযোগ পেলে সেখানেও আমরা মাঝেমধ্যে দেখা করে আড্ডা মারব।”
মেধা তালিকায় নাম আছে পুরুলিয়ার দুই ছাত্রী অনুলিপি চৌধুরী ও বীথিকা কর্মকারের। পড়াশোনার পাশাপাশি দু’জনেই গল্পেরই বইয়ের ভক্ত। সাঁওতালডিহি তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র আবাসনের বাসিন্দা, এসটিপিএস বয়েজ হাইস্কুলের ছাত্রী অনুলিপি বাবা অনুপ চৌধুরী তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মী। মা শ্রাবণীদেবী স্কুল-শিক্ষিকা। অনুলিপির কথায়, “ধরাবাঁধা রুটিন বলতে গৃহশিক্ষকদের কাছে পড়ার সময়টুকু পর্যন্ত। বাকি যখন ভাল লাগত, পড়তে বসতাম। নির্দিষ্ট করে রুটিন ধরে পড়িনি।” আবৃত্তি ও নাচে দক্ষ এই কৃতী ছাত্রীও জয়েন্ট দিয়েছেন।
অনুলিপির মতোই পাঁচটি বিষয়ে ‘এএ’ গ্রেড পেয়েছেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী বীথিকা। বাবা বিনয়কৃষ্ণ কর্মকার রেলকর্মী। বাড়ি আদ্রায়। জয়েন্টের ফলের অপেক্ষায় বীথিকাও। তাঁর কথায়, “ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভাল র্যাঙ্ক করলে পড়ব। না হলে কোনও কলেজে ভর্তি হব।” প্রথাগত ভাবে পড়াশোনা শেষ করে শিক্ষকতার পেশা বেছে নিতে চান এই ছাত্রী। অনুলিপির মতোই বীথিকারও পছন্দের বিষয় পদার্থবিদ্যা।

নিজস্ব চিত্র।

Previous Story Purulia Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.