ছাত্র সংঘর্ষে জখম এসএফআই সদস্য
বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরে বিভিন্ন কলেজে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। প্রথম বর্ষে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি হওয়া নিয়ে তা আরও বেড়েছে। সোমবার জেলার বেশ কয়েকটি কলেজে ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আহত হয়েছেন উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন। এর মধ্যে কৃষ্ণনগর সরকারি কলেজে ছাত্র সংঘর্ষে এসএফআইয়ের দুই কর্মীর আঘাত গুরুতর। তাঁদের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। অভিযোগ, তাঁদের মাথায় পিঠে লোহার রড দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এ ছাড়াও বেথুয়াডহরি কলেজে এক এসএফআই সমর্থকও গুরুতর আহত হয়েছেন। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাবি, সংঘর্ষে তাঁদের দুই সমর্থকও আহত হয়েছেন।
এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন সব কলেজ কর্তৃপক্ষই। কৃষ্ণনগর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মাইকেল দাস বলেন, “ভতির্র সময় এমন কাণ্ড কখনওই অভিপ্রেত নয়। সবাইকেই তাই শান্তি রক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে। প্রশাসনের কাছে সব কথা লিখিত ভাবে জানিয়ে সাহায্য চেয়েছি।” দ্বিজেন্দ্রলাল রায় কলেজের অধ্যক্ষ সাহাজাহান আলি বলেন, “একাধিকবার আমাদের কলেজে ছাত্র সংঘর্ষ হয়েছে। সকলকে অনুরোদ করছি, কিছুতেই যাতে আর না এমন ঘটনা হয়, তা দেখুন।”
কৃষ্ণনগর সরকারি কলেজে ‘দাদাগিরি’। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য।
কলেজ কর্তৃপক্ষের ধারণা, কলেজে ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দেরি থাকলেও ভর্তির সময় থেকেই নতুন ছাত্রছাত্রীদের উপরে প্রভাব বিস্তার করতে চায় ছাত্র সংগঠনগুলি। পাশাপাশি তারা ক্ষমতা প্রদর্শনও করে। তার ফলেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ছাত্র সংগঠনগুলির অবশ্য বক্তব্য অন্যরকম। যেমন এসএফআইয়ের জেলা কমিটির সম্পাদক কৌশিক দত্ত বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই আমাদের সংগঠনের সদস্যদের কলেজে ঢুকতেই দেওয়া হচ্ছে না। জোর করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও ছাত্র পরিষদ ছাত্র সংসদ দখল করে নিতে চাইছে।” এসএফআইয়ের অভিযোগ, সোমবার তাঁদের সদস্যদের লোহার রড দিয়ে মারধর করা হয়েছে। যদিও ছাত্র পরিষদের জেলার সাধারণ সম্পাদক দিব্যেন্দু বসুর বক্তব্য, “এসএফআইয়ের ছেলেরাই কলেজে ঢুকতে দিচ্ছে না। বিধানসভায় হারার পরে জোর করে কলেজগুলো দখল করতে চাইছে।” তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি জয়ন্ত পাল বলেন, “কলেজে কলেজে উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে, কারণ ছাত্র সংসদগুলির ভিতরে লোহার রড সহ নানা অস্ত্র মজুত রাখছে। আমাদের ছেলেরা তার প্রতিবাদ করতে গেলেই ওরা আক্রমণ করছে।” তাঁর কথায়, “আমরা কলেজে সংঘর্ষ চাই না। সংঘর্ষে কেউ আহত হলে সেটা দুঃখজনক।” আর জেলার পুলিশ সুপার চম্পক ভট্টাচার্য বলেন, “কলেজ চত্বরের বাইরে যাতে কোনও উত্তেজনা না তৈরি হয়, তার জন্য আমরা প্রতিটি কলেজে কড়া নজর রেখেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।”
Previous Story Murshidabad Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.