|
|
|
|
আজ শুরু, সুযোগই পেলেন না জনা পঞ্চাশেক |
পরিকাঠামো ছাড়া টিটি সামার ক্যাম্প |
নিজস্ব সংবাদদাতা ² শিলিগুড়ি |
পরিকাঠামো না-থাকায় অন্তত ৫০ জন খেলোয়াড়কে ‘সামার ক্যাম্প’-এ প্রশিক্ষণের সুযোগ দিতে পারলেন না নর্থবেঙ্গল টেবল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা। আজ, মঙ্গলবার থেকে শিলিগুড়ি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সপ্তাহব্যাপী ওই শিবির শুরু হচ্ছে। শিবিরের উদ্বোধনে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। উত্তরবঙ্গের ৬ জেলা থেকে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ২০০ জন খেলোয়াড় অংশ নিচ্ছেন। ২০ টি বোর্ডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রতিদিন দুই ধাপে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাতে প্রতিটি বোর্ডে একেক বার ৫ জন করে খেলোয়াড় অনুশীলন করতে পারবেন।
পর্যাপ্ত জায়গা না-থাকায় এর বেশি বোর্ড সেখানে পাতা সম্ভব নয়। বোর্ডও নেই। সে কারণে জেলাগুলি থেকে উৎসাহী আরও প্রায় ৫০ জন খেলোয়াড়কে শিবিরে নেওয়া যায়নি বলে আক্ষেপ করেছেন কর্মকর্তারা। নর্থবেঙ্গল টেবল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক তথা টেবল টেনিস ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার অন্যতম কর্মকর্তা মান্তু ঘোষ বলেন, “যা পরিকাঠামো তাতে শিবিরে ২০০ জনের বেশি খেলোয়াড় নেওয়া সম্ভব হয়নি। জায়গার অভাব, টেবল টেনিস বোর্ডও নেই। পরবর্তীতে ওই ছেলেমেয়েদের জন্য আলাদা করে শিবির করা যায় কি না ভাবা হচ্ছে।” উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, বেলা ৪ টা থেকে ৬ টা এবং ৬ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত দুই দফায় প্রতিদিন অনুশীলন করানো হবে। ২০ জন কোচ থাকবেন। প্রধান কোচ হিসাবে দায়িত্বে থাকছেন গণেশ কুণ্ডু। অন্য দিকে মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি স্পোর্টস কমপ্লেক্স পরিদর্শনেও যাবেন ক্রীড়ামন্ত্রী। বিকালে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের মাঠ তাঁকে ঘুরিয়ে দেখাবেন শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তারা। শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সচিব নান্টু পাল বলেন, “ক্রীড়া মন্ত্রীকে সংবর্ধনা জানানো হবে। কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম ঘুরে দেখবেন এবং এখানে খেলাধূলার পরিকাঠামো বিস্তারিত তাঁকে জানানো হবে।” জলপাইগুড়ি জেলা ক্রীড়া সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, স্পোর্টস কমপ্লেক্স ঘুরে দেখার পাশাপাশি ক্রীড়ামন্ত্রী জেলা ক্রীড়া সংস্থা অনুমোদিত বিভিন্ন ক্লাবের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন। ক্লাবগুলির খেলাধূলার পরিকাঠামো নিয়ে খোঁজ খবর নেবেন। আলোচনা করবেন ফুলটবল, ক্রিকেট, বাস্কেটবল, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন-সহ বিভিন্ন খেলাধূলার সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিশেনগুলির সঙ্গে। দুপুরে সার্কিট হাইজে বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলাশাসকের সঙ্গে স্পোর্টস কমপ্লেক্সের উন্নয়ন নিয়ে বৈঠক করবেন। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সচিব অঞ্জন সেনগুপ্ত বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে স্পোর্টস কমপ্লেক্সের কাজ অসমাপ্ত হয়ে পড়ে রয়েছে। কাজ শেষে নতুন ক্রীড়ামন্ত্রী উদ্যোগী হবেন বলে আশাবাদী।” |
|
|
|
|
|