|
|
|
|
দেশের হয়ে খেলতে আথেন্স পাড়ি গৌতম ও বিশ্বজিতের |
নিজস্ব সংবাদদাতা ² বর্ধমান |
জেলা ও রাজ্য দলে প্রতিনিধিত্ব করার পরে এ বার দেশের জার্সি গায়ে চাপাতে চলেছে গৌতম ও বিশ্বজিৎ। বর্ধমানের এই দুই মানসিক প্রতিবন্ধী গ্রিসের আথেন্সে স্পেশাল অলিম্পিকে যোগ দিতে চলেছে। ২৫ বছরের গৌতম মহন্তের বাড়ি বর্ধমান শহরের মিঠাপুকুর এলাকায়। বছর ২১-এর বিশ্বজিৎ রায় থাকেন লাকুরডিতে। তাঁরা দু’জন ছাড়াও এই দলে সুযোগ পেয়েছেন হুগলির প্রভাত সাঁতরা।
ওয়েস্ট বেঙ্গল স্পেশাল অলিম্পিক ফুটবল দলের কোচ, মঙ্গলকোটের কুরুম্বা গ্রামের বাসিন্দা গৌতম চট্টোপাধ্যায় বলেন, “গৌতম ও বিশ্বজিৎ ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। ২০০৯-এ ফাইভ-এ-সাইড ফুটবলে আন্তঃজেলা স্পেশাল ফুটবলে তারাই বর্ধমানকে রাজ্য চ্যাম্পিয়ন করেছিল। ৯ মাস আগে গোয়াকে হারিয়ে রাজ্যকে চ্যাম্পিয়ন করার পিছনেও ওদের অবদান প্রচুর।” তাঁর আশা, “স্পেশাল অলিম্পিকেও ওরা ভাল খেলবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।” |
|
ছবি: উদিত সিংহ। |
৭ জুন তাঁরা আথেন্স রওনা দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন গৌতমবাবু। তিনি আরও জানান, শনিবার তিনি ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রের সঙ্গে গৌতম, বিশ্বজিৎ ও প্রভাতকে নিয়ে দেখা করেন। মদনবাবু বলেন, ‘‘আথেন্সের স্পেশাল অলিম্পিকে আমাদের রাজ্যের মোট ১৩ জন প্রতিযোগী যোগ দিচ্ছেন। আমি গোটা দলটার সঙ্গেই দেখা করেছি। ওদের বলেছি, ভাল খেলে ফিরে এস, তোমাদের সংবর্ধনা দেব।”
কথা বলতে না পারা দুই ফুটবলার ইঙ্গিতে জানায়, ট্রফি জিতে আসাই তাঁদের লক্ষ্য। গৌতম গোলকিপার। বিশ্বজিৎ খেলেন স্ট্রাইকারে। দলকে জেতানো ও বাঁচানোর মুখ্য দায়িত্ব তাই তাঁদেরই কাঁধে। এলাকার বাসিন্দা তন্ময় সিংহরায়ের কথায়, “ছেলে দু’টি প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে যে ভাবে এগিয়ে চলেছে তা আমাদের প্রেরণা জোগায়। ওদের জিতে ফেরার অপেক্ষায় রইলাম।” |
|
|
|
|
|