|
|
|
|
|
চিরাগ ইউনাইটেডে
জট আরও বাড়ল
নিজস্ব সংবাদদাতা ² কলকাতা |
|
নতুন মরসুম শুরুর মুখে কলকাতা ফুটবলের তৃতীয় শক্তি চিরাগ ইউনাইটেড স্পোর্টসে ঝামেলা পুরোপুরি প্রকাশ্যেই চলে এল। স্পনসর বনাম ক্লাব।
গত বার ডুরান্ড কাপ জয়। দু’বছর আগে কলকাতা লিগ রানার্স। বড় দল হয়ে ওঠার মুখেই বিপত্তি চিরাগ ইউনাইটেডে।
সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে চিরাগের চেয়ারম্যান কৌস্তুভ রায় বলে দিলেন, ক্লাব কর্তারা প্রতারক। তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। ইউনাইটেড স্পোর্টসের দুই কর্তা আলোকেশ কুণ্ডু ও নবাব ভট্টাচার্যের দাবি, স্পনসররা অনধিকার চর্চা করছে ক্লাবের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে। ক্লাবের প্রেসিডেন্ট উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় নিজে আইএফএ সচিব। অসহায় তিনি দু’পক্ষের সমঝোতা চাইছেন। কিন্তু দু’পক্ষই রণং দেহি।
সোমবার কৌস্তুভ রায় জানিয়ে দেন, তিনি চিরাগ নামে কলকাতা প্রথম ডিভিশন থেকে খেলে ফের প্রিমিয়ার লিগে আসতে রাজি। বলেন, “রাজ্যের বাইরের দু’টি আই লিগ ক্লাবের প্রস্তাব আছে। এখানে সুরাহা না হলে তাদের একটি ক্লাব কিনতেও রাজি আছি।” যা উড়িয়ে দিচ্ছেন ইউনাইটেড কর্তারা। তাঁরা বলছেন, এমন চললে এআইএফএফকে জানিয়ে দেওয়া হবে, চিরাগ নামটা আর ইউনাইটেড স্পোর্টসের নামের আগে বসবে না।
কৌস্তুভের অভিযোগ, “২০০৮-০৯ মরসুমে এআইএফএফের নিয়ম মেনে ক্লাবকে কোম্পানিতে পরিণত করা হয়। নাম ঠিক হয় চিরাগ ইউনাইটেড স্পোর্টস প্রাইভেট লিমিটেড। কোম্পানির চেয়ারম্যান ছিলাম আমি। চিরাগের তিন জন ছিল, ক্লাবের দু’জন। পরে আমাদের না জানিয়ে শ্যামনগরের ঠিকানায় ক্লাবের নাম বদলে রাখা হয় ইউনাইটেড স্পোর্টস ক্লাব। চেয়ারম্যান হিসাবে আমার উল্লেখ ছিল না। এটা প্রতারণা নয়?” কৌস্তুভের দাবি, “এএফসিতে দলের নাম দেওয়া হয়েছে ইউনাইটেড স্পোর্টস ক্লাব। এআইএফএফের কাছে চিরাগ ইউনাইটেড স্পোর্টস ক্লাব। এএফসি এই ব্যাপারে অখুশি।”
সচিব আলোকেশ কুণ্ডু আবার বলছেন, “ওরা টাইটেল স্পনসর হিসেবে এসেছিল। চিরাগের নামে ক্লাবই নয়। ক্লাবের নাম ইউনাইটেড স্পোর্টস।” গত বছর এএফসি কর্তারা ক্লাব পরিদর্শনে এসে শ্যামনগরের ঠিকানাতেই যান। ওই প্রসঙ্গ তুলে ইউনাইটেড ক্লাব ডিরেক্টর নবাবের পাল্টা অভিযোগ, “চিরাগ ইউনাইটেড স্পোর্টস নামে কোনও কোম্পানির নাম এআইএফএফে পাঠানো হয়নি। ক্লাব কী কোম্পানি করবে, কী খেলবে, তা ঠিক করার অধিকারী সদস্যরা। সব সংস্থাতেই আমাদের একটি নাম রয়েছে।”
ডামাডোলের মধ্যে ঝামেলা মেটাতে ক্লাব কর্তাদের চারটি শর্ত দিয়েছেন স্পনসর প্রধান। এক, স্পনসর এবং ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হোক কোম্পানি। স্পনসরদেরও শেয়ার থাকবে। দুই, শুধু কোচের পরামর্শে টিম হোক। তিন, মাঠে কোন ফুটবলাররা নামবে সে ব্যাপারে কোনও কর্তার খবরদারি চলবে না। চার, ক্লাবের সঙ্গে স্পনসরের চুক্তি-র নথি আইএফএ, এআইএফএফ এবং এএফসি-কে জানাতে হবে। কৌস্তুভ বলেন, “৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শর্তগুলো না মানলে আইএফএ, এআইএফএফ, এএফসি তিনটি সংস্থাকেই চিঠি দেব। আইনি ব্যবস্থাও নেব।” ইউনাইটেড ক্লাব কর্তারা অবশ্য এ সব শর্ত মানতে রাজি নন। নবাব বলে দিলেন, “কোনও প্রশ্নই নেই শর্তগুলো মানার। কৌস্তুভ রায় আগে এএফসি-র নথি দেখান, স্পনসরকে কত শতাংশ শেয়ার দিতে হবে। আমরা কোচ ঠিক করার আগেই উনি কেন সুব্রত ভট্টাচার্যের সঙ্গে সামনের মরসুমের দল নিয়ে আলোচনা করলেন? এ তো অনধিকার চর্চা।” সঙ্গে যোগ করলেন, “আগে দু’টি কোম্পানি আমাদের কিট স্পনসর হতে চেয়েছিল, উনি সেটা হতে দেননি। ক্লাব কেনাই ওঁর লক্ষ্য। আমরা সেটা হতে দেব না।” |
|
|
|
|
|