|
|
|
|
এয়ারসেল বিক্রিতে প্রভাব খাটাইনি, দাবি মারানের |
সংবাদসংস্থা ² নয়াদিল্লি |
মোবাইল পরিষেবা সংস্থা এয়ারসেলের শেয়ার বিক্রির বিষয়ে তিনি কোনও প্রভাব খাটাননি। আজ এই দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী দয়ানিধি মারান। দয়ানিধির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে স্পষ্ট জবাব দিতে অস্বীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। এয়ারসেলের প্রাক্তন মালিক সি শিবশঙ্করনের সিবিআইকে দেওয়া একটি বিবৃতি আজ প্রচারমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। ওই বিবৃতি অনুযায়ী, ২০০৬ সালে মালয়েশিয়ার শিল্পপতি টি আনন্দকৃষ্ণনকে এয়ারসেল বিক্রি করতে শিবশঙ্করনকে চাপ দিয়েছিলেন দয়ানিধি। তখন তিনি কেন্দ্রীয় যোগাযোগ ও প্রযুক্তি মন্ত্রী। শিবশঙ্করনের বক্তব্য, তিনি বার বার মোবাইল নেটওয়ার্ক লাইসেন্সের আবেদন করলেও সেই আবেদন মঞ্জুর করা হয়নি। কিন্তু, আনন্দকৃষ্ণন এয়ারসেল কেনার পরে ওই সংস্থাকে দ্রুত লাইসেন্স দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
এয়ারসেল আনন্দকৃষ্ণনের হাতে আসার পরে ১৪টি লাইসেন্স পায় ওই সংস্থা। কয়েক মাসের মধ্যে মারান পরিবারের নিয়ন্ত্রণাধীন সান টিভিতে ৮০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন আনন্দকৃষ্ণন। এয়ারসেল কেনা ও লাইসেন্স পাওয়ার পরিবর্তেই আনন্দকৃষ্ণন সান টিভিতে বিনিয়োগ করেছেন কি না তা তদন্ত করে দেখছে সিবিআই।
এই সব অভিযোগই অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন দয়ানিধি। তাঁর বক্তব্য, শিবশঙ্করনকে তিনি মোটেই চাপ দেননি। শিবশঙ্করন প্রভূত অর্থের মালিক। তাঁর উপরে চাপ দেওয়া হলে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হতে পারতেন। প্রয়োজনে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সামনে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করবেন বলেও জানিয়েছেন দয়ানিধি। দয়ানিধির কাছ থেকে ইস্তফা চাওয়া হবে কি না সেই প্রশ্নের কোনও স্পষ্ট জবাব দেননি প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন,“ এই বিষয়গুলি নিয়ে তদন্ত করছে বিভিন্ন সংস্থা। তাদের নির্ভয়ে তদন্ত করতে দেওয়া উচিত।” |
|
|
|
|
|