|
|
|
|
প্রসঙ্গ দুর্নীতি-দমন |
বিরোধী ‘মুখ’ হতে চায় বিজেপি |
নিজস্ব সংবাদদাতা² নয়াদিল্লি |
চব্বিশ ঘণ্টার সত্যাগ্রহ শেষ হল বিজেপির। কিন্তু রামদেবের অনশন জোর করে ভেঙে দেওয়ার ঘটনার পরবর্তী উত্তপ্ত
পরিস্থিতির সুযোগ নিতে আন্দোলনকে জিইয়ে রাখার কৌশল নিলেন নেতৃত্ব।
লালকৃষ্ণ আডবাণীর নেতৃত্বে এনডিএ-র শীর্ষ নেতারা আজ সত্যাগ্রহ মঞ্চ থেকেই রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিলের সঙ্গে দেখা করতে যান। রাষ্ট্রপতি যাতে সরকারকে অবিলম্বে সংসদের জরুরি অধিবেশন ডাকতে বাধ্য করেন, সেই দাবি জানান তাঁরা। আডবাণীদের দাবি, রামলীলায় ‘পুলিশি অত্যাচারের’ জন্য সরকারকে ক্ষমা চাইতে হবে। প্রস্তাব এনে বিদেশি ব্যাঙ্কে কালো টাকাকে ‘দেশের সম্পদ’ বলে ঘোষণা করতে হবে। এই সংক্রান্ত অপরাধীদের শাস্তি দিতে কড়া আইন প্রণয়ন করতে হবে। এমনকী আগামী দু’এক দিনের মধ্যে দিল্লিতে বন্ধও ডাকার কথাও ভাবছে বিজেপি।
আন্না হাজারে কিংবা রামদেবের মতো ‘অরাজনৈতিক’ ব্যক্তিরা যত দিন দুর্নীতি-বিরোধী আন্দোলনের মুখ ছিলেন, বিজেপি সামনের সারিতে আসতে পারছিল না। এখন রামদেবকে দিল্লি থেকে সরিয়ে দেওয়া মাত্রই বিজেপি সত্যাগ্রহ আন্দোলন শুরু করে দুর্নীতি-বিরোধী আন্দোলনের রাশ নিজেদের হাতে নিতে চাইছে। বস্তুত, খোদ কংগ্রেসই রামদেবের সঙ্গে বিজেপি-সঙ্ঘের যোগসাজসের অভিযোগ তুলে বিজেপিকে আরও গুরুত্ব দিচ্ছে। সেই সুযোগ নিতে বিজেপিও হইহই করে নেমে পড়েছে।
কিন্তু কংগ্রেসও বিজেপির আন্দোলনের ধার কমাতে উঠে পড়ে লেগেছে। গডকড়ীরা ভেবেছিলেন, রামদেবের পরে বিজেপি নেতৃত্ব সত্যাগ্রহে বসলে তাঁদেরও গ্রেফতার করা হবে। তখন তার প্রতিবাদে আরও বড় আন্দোলন করা যাবে।
কিন্তু সরকার বিজেপি নেতাদের সভা করার
অনুমতি দিয়ে আন্দোলন ভোঁতা করে দিয়েছে। তার পরেও বিজেপি নেতৃত্ব কংগ্রেস-বিরোধিতার এই সুযোগ
হাতছাড়া করতে নারাজ। সে কারণেই রাষ্ট্রপতির কাছে যাওয়া হয়েছে। বন্ধ, পদযাত্রার মাধ্যমে আন্দোলনকে জিইয়ে রাখার চেষ্টা চলছে। |
|
|
|
|
|