|
|
|
|
সত্যাগ্রহের মঞ্চে নেচে বিতর্কে সুষমা |
নিজস্ব সংবাদদাতা² নয়াদিল্লি |
বিজেপির সত্যাগ্রহ মঞ্চে নেচে ঘরে-বাইরে বিতর্কের মুখে পড়লেন লোকসভার বিরোধী দলনেত্রী সুষমা স্বরাজ। মধ্যরাতে যোগগুরু রামদেবের ভক্তদের উপর পুলিশি নির্যাতন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাল থেকে গোটা দেশে চব্বিশ ঘণ্টার সত্যাগ্রহের আয়োজন করেছিল বিজেপি। দিল্লিতে সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সব শীর্ষ নেতাই। রাজঘাটে সেই মঞ্চেই কাল দেশাত্মবোধক গানের সঙ্গে সতীর্থদের সঙ্গে নৃত্যে মেতে ওঠেন সুষমা। এই ঘটনায় সুষমাকে যেমন কংগ্রেসের সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে, তেমনই বিজেপি ও সঙ্ঘের মধ্যেও সেটি নিয়ে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
|
|
রাজঘাটে সত্যাগ্রহের মঞ্চে নাচ সুষমার। পি টি আই |
এআইসিসি-র সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে জনার্দন দ্বিবেদী বলেন, “বিজেপি-ই রামলীলা ময়দানের ঘটনাকে জালিয়ানওয়ালা বাগের সঙ্গে তুলনা করছে। জালিয়ানওয়ালা বাগের ঘটনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো ব্যক্তিরা সরব হয়েছিলেন। আর আজ এই প্রতিবাদ মঞ্চে কীসের উৎসব? কি না, বিরোধী নেত্রী সেখানে নৃত্য করছেন! গাঁধীজি বলেছিলেন, তিনি ১২৫ বছর বাঁচবেন। যাঁদের জন্য গাঁধীজির অকালমৃত্যু হল, তাঁরাই এখন সত্যাগ্রহে বসেছেন রাজঘাটে!” কংগ্রেসের অভিযোগ, গাঁধীজির সমধিস্থলের পবিত্রতা নষ্ট করেছেন বিরোধী নেত্রী।
সঙ্ঘ ও বিজেপি-র অন্দরেও এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া হয়েছে। বিজেপি-র সুষমা-বিরোধী এক নেতার কথায়, “নির্বাচনে জিততে পারব কি না ঠিক নেই, তবে গত রাতের ঘটনা দেখে বলতে পারি, ছোট পর্দার যে কোনও নাচের প্রতিযোগিতায় বাজিমাত করব। শীলা ও মুন্নিকে টেক্কা দেওয়ার নেতাও রয়েছে দলে।”
যদিও আত্মপক্ষ সমর্থনে সুষমা আজ টুইটারে লিখেছেন, “রাত তখন প্রায় দু’টো। ইয়ে দেশ হ্যায় জওয়ানো কা গানটি গাইতে গাইতে নাচছিলেন দলের কর্মীরা। তাঁদের উৎসাহ দিতেই আমি তাতে যোগ দিই। তা ছাড়া, দেশাত্মবোধক গানের সঙ্গে নাচ করাটা আমাদের দলের রীতিই।” দলের মুখপাত্র রবিশঙ্কর প্রসাদও বলেন, “দেশভক্তির গানের সঙ্গে কেউ যদি তাল মেলান, তাতে এত আপত্তির কী রয়েছে?” |
|
|
|
|
|