রামলীলা ময়দানে শনিবার মধ্য রাতে পুলিশের লাঠিচার্জে জখম এক মহিলার অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। রাজ বালা নামে ওই মহিলার মেরুদণ্ডে আঘাত রয়েছে। নয়াদিল্লির জি বি পন্থ হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন। যোগগুরু রামদেবের অনশনকে কেন্দ্র করে অশান্তির জেরে মোট ৭১ জন আহত হয়েছিলেন। অধিকাংশকেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে জি বি পন্থের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বালার মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে গিয়েছে। শ্বাস নিতেও অসুবিধা হচ্ছে। তাঁর শারীরিক অবস্থার উপরে নজর রাখা হচ্ছে।
|
দলের মধ্যে মতভেদ তুঙ্গে। এ বার শরিকদের সঙ্গে বৈঠকেও যদি একই রকম প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়? এই আশঙ্কায় শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবারের ইউপিএ-র সঙ্গে বৈঠক বাতিল করলেন মনমোহন সিংহ। আশঙ্কার কারণও রয়েছে। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর মধ্যেই মনমোহনের কাছে বার্তা পাঠিয়েছেন, রামদেব প্রশ্নে মুখে কুলুপ আঁটাই শ্রেয়। তার পরেও আজ দল ও সরকারের মধ্যে বিভেদ ঢাকতে রামদেবকে ‘সঙ্ঘের মুখোশ’ বলে প্রতি-আক্রমণের পথেই গিয়েছে কংগ্রেস। ফলে কাল শরিকদের বৈঠকে তৃণমূল প্রতিনিধি দীনেশ ত্রিবেদীর এ নিয়ে প্রশ্ন তোলাটা অস্বাভাবিক ছিল না। কংগ্রেসের সূত্রের বক্তব্য, ইউপিএ শীর্ষ নেতৃত্ব এখনই শরিকদের প্রশ্নের মুখে পড়তে চায় না। তাই আপাতত তুলে রাখা হল বৈঠক।
|
ত্রিপুরায় মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল আজ প্রকাশিত হল। ত্রিপুরা মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি অমিতাভ দেবরায় জানান, পাশের হার ৬২.০৭ শতাংশ। গত বারের থেকে ২.০২ শতাংশ বেশি। এ বার মোট ৪৩৫১২ জন ছাত্রছাত্রী (রেগুলার ২৯৭০৮) পরীক্ষায় বসেছিল। পাশ করেছে ১৮৫৫১ জন। আগরতলার শতাব্দী প্রাচীন মহারানি স্কুলের ছাত্রী কাবেরী দেবনাথ ৬৫৯ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছে। নেতাজি সুভাষ বিদ্যা নিকেতনের দীপতনু দেবনাথ (৬৫৮) দ্বিতীয় স্থানে। ৬৪৭ নম্বর পেয়ে যুগ্মভাবে তৃতীয় হয়েছে শিশু বিহারের মানিক বৈদ্য ও ধর্মনগর দ্বাদশ স্কুলের দেবপামা দেবনাথ। কৃতী প্রথম দশের তালিকায় এ বার স্থান পেয়েছে কুড়ি জন। ২০৪০ জন প্রথম বিভাগে, ২৭০৪ দ্বিতীয় বিভাগে ও ১৩৬৯৭ জন তৃতীয় বিভাগে পাশ করেছে। মাদ্রাসা পরীক্ষার ফলও আজ প্রকাশিত হয়েছে। ২৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ২৩ জন।
|
প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের বাংলাদেশ সফরে তিস্তা চুক্তি সই হওয়ার দিকে আজ এক ধাপ এগোলো দু’দেশ। ভারত এবং বাংলাদেশের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব পর্যায়ের বৈঠকে তিস্তার জলবণ্টন নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ফেনি, মানু, মুহুরি, খোয়াই ও ধরলার মতো নদীগুলির ড্রেজিং নিয়েও আলোচনা হয়েছে। স্থির হয়েছে, কেন্দ্রীয় জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী সলমন খুরশিদ খুব শীঘ্রই ঢাকায় গিয়ে বাংলাদেশের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশচন্দ্র সেনের সঙ্গে পরবর্তী বৈঠক করবেন। |