|
|
|
|
ছাঁটাই ১১ কর্মী |
মানেসরে ধর্মঘট বেআইনি ঘোষণা মারুতির |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
মানেসর কারখানায় ‘বেআইনি’ ধর্মঘটের অভিযোগে সেখানকার ১১ জন কর্মীকে ছাঁটাই করল মারুতি-সুজুকি। আলাদা ইউনিয়নের স্বীকৃতির দাবিতে গত শনিবার দুপুর থেকে হরিয়ানার গুড়গাঁও জেলার ওই কারখানায় ধর্মঘটে নেমেছেন কর্মীদের একাংশ। ধর্মঘটীরা জানিয়েছেন, কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত তাঁরা মানছেন না। এবং ধর্মঘট অব্যাহত থাকছে।
সংস্থার চেয়ারম্যান আর সি ভার্গব সোমবার বলেন, “বেআইনি ধর্মঘট এবং কারখানার নিরাপত্তা লঙ্ঘনের অভিযোগে ১১ জন কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। তাঁরা দাবিদাওয়া নিয়ে আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করেননি। ধর্মঘটের আগাম নোটিসও দেননি।”
সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, বর্তমানে সংস্থায় একটি কর্মী ইউনিয়নই স্বীকৃত। কিন্তু সেই ‘মারুতি উদ্যোগ কামাগার ইউনিয়নে গুড়গাঁওয়ের মূল কারখানার কর্মীদেরই আধিপত্য বেশি। মানেসরে আরও দুটি কারখানা নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে মারুতি-সুজুকি। ফলে মানেসরের কারখানায় ‘মারুতি-সুজুকি এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন’ নামে পৃথক সংগঠন তৈরির দাবি তোলেন কর্মীদের একাংশ। এ ছাড়া অস্থায়ী কর্মীদেরও নতুন কারখানায় নিয়োগের দাবি তুলেছেন তাঁরা।
কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এ নিয়ে তাঁদের সঙ্গে কোনও আলোচনাই করেননি ধর্মঘটীরা। আলাদা ইউনিয়নের দাবি মানতেও নারাজ কর্তৃপক্ষ। তাঁদের বক্তব্য, কোনও দাবি থাকলে কর্মীদের তা আগে কর্তৃপক্ষকে জানানো উচিত ছিল। তবে অচলাবস্থা কাটাতে ধর্মঘটীদের সঙ্গে তাঁরা আলোচনা করছেন বলেও জানিয়েছেন ভার্গব।
অচলাবস্থা অবশ্য কবে কাটবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কর্মীরা জানিয়েছেন, ধর্মঘট চলবে। এবং ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের কারখানা কর্তৃপক্ষ জোর করে বার করতে গেলে তাঁরা বাধা দেবেন। ওই কর্মীদের উপর থেকে শাস্তি প্রত্যাহারেরও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, এই কারখানায় দুটি শিফট-এ দৈনিক ১,২০০ গাড়ি তৈরি হয়। শনিবার দুপুর থেকে কারখানার প্রায় ২,০০০ কর্মী ধমর্ঘট শুরু করেন। ফলে আপাতত দৈনিক ওই সংখ্যক গাড়ি তৈরি না-হওয়ায় সেই ক্ষতি বহন করতে হচ্ছে দেশের বৃহত্তম এই সংস্থাটিকে। গুড়গাঁওয়ের কারখানায় দৈনিক গড়ে ৩,৬০০টি গাড়ি তৈরি হয়।
এমনিতেই মে মাসে সংস্থার গাড়ির বিক্রির হার বেড়েছিল খুব সামান্যই। মাত্র চার শতাংশের মতো। এই পরিস্থিতিতে মানেসর কারখানায় এই ধর্মঘট অব্যাহত থাকলে সংস্থা সমস্যায় পড়বে বলেই আশঙ্কা সংশ্লিষ্ট মহলের। |
|
|
|
|
|