|
|
|
|
বৈঠক মহাকরণে |
তথ্যপ্রযুক্তি থেকে বিনোদন, রাজ্যের পাশে এলঅ্যান্ডটি |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²কলকাতা |
কলকাতায় গঙ্গার পাড় সাজিয়ে তোলা অথবা দার্জিলিঙে বিনোদন প্রকল্প রূপায়ণ। সুন্দরবনে পরিবেশ-বান্ধব পর্যটন পরিকাঠামো গড়া কিংবা গোয়ার ধাঁচে দিঘাকে সাজানো। রাজ্যের পরিকাঠামো উন্নয়নে এই ধরনের প্রকল্পে অংশীদার হতে চায় বেসরকারি সংস্থা লার্সেন অ্যান্ড টুব্রো (এলঅ্যান্ডটি)। সোমবার এই প্রস্তাব নিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করলেন ওই সংস্থার চেয়ারম্যান এ এম নায়েক। তথ্যপ্রযুক্তি পার্ক নির্মাণ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। মমতা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে সম্ভবত এই প্রথম কোনও শিল্প সংস্থার কর্তার পা পড়ল মহাকরণের অলিন্দে। বৈঠকের পরে নায়েক বলেন, “আমরা আমাদের কথা বলেছি। রাজ্যের পরিকাঠামো উন্নয়নে তিনি কী চান, মুখ্যমন্ত্রীও তা জানিয়েছেন। আমরা পশ্চিমবঙ্গের পরিকাঠামো উন্নয়নের যে-কোনও প্রকল্পেই অংশীদার হতে পারি।”
শেষ আর্থিক বছরেও এল অ্যান্ড টি-র মোট ব্যবসায়িক লেনদেন হয়েছিল প্রায় ২,৫০০ কোটি টাকা। তারা মূলত আধুনিক প্রযুক্তিতে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ করে থাকে। |
|
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে আসছেন এলঅ্যান্ডটি-র চেয়ারম্যান
এ এম নায়েক। সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী। নিজস্ব চিত্র |
সে-ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুসারে শিল্প, পর্যটন, শিক্ষা এবং বিনোদনকে গুরুত্ব দিয়ে যে-ভাবে পরিকাঠামো উন্নয়নের কথা ভাবতে শুরু করেছে, তাতে এল অ্যান্ড টি-র মতো অভিজ্ঞ সংস্থার প্রথম ধাপেই আগ্রহ দেখিয়ে এগিয়ে আসাটা বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য বলে মনে করছে প্রশাসন।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নায়েকের এ দিনের বৈঠকে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ও শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও ছিলেন। পরে পার্থবাবু বলেন, “পরিকাঠামো উন্নয়নের যে-কোনও প্রকল্পই রূপায়ণ করতে পারে এল অ্যান্ড টি। প্রয়োজনে তথ্যপ্রযুক্তি পার্কও গড়তে পারে ওরা। প্রাথমিক ভাবে ওরা একটা সমীক্ষা করেছে। আমরাও বিভিন্ন প্রস্তাব ভেবে দেখেছি।”
সুন্দরবনে পরিবেশ-বান্ধব পর্যটনের পরিকাঠামো নির্মাণ, গঙ্গা-তীরবর্তী এলাকার সৌন্দর্যায়ন অথবা রাজ্যের সমুদ্রোপকূলবর্তী পর্যটন কেন্দ্রগুলির পরিকাঠামো গড়ার কাজে সামিল হওয়ার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে পারে ওই সংস্থা। পাশাপাশি নতুন উড়ালপুল, বিদ্যুৎ প্রকল্প, মেডিক্যাল কলেজ প্রভৃতি প্রকল্পের ব্যাপারেও আগ্রহ দেখিয়েছে তারা।
মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করে এল অ্যান্ড টি-র চেয়ারম্যান এ দিন বলেন, “উনি অত্যন্ত প্রগতিশীল এবং সৃষ্টিশীল ভাবনা ভাবতে পারেন। প্রকল্প নিয়ে এমন অনেক ভাবনার কথা উনি বলেছেন, যা আমাদের মাথাতেও আসেনি।” |
|
|
|
|
|