প্রতিকুলতাকে জয় করেও দুশ্চিন্তায় তাপস |
নিজস্ব সংবাদদাতা² সাঁইথিয়া |
পরিবারের আর কেউ এর আগে স্কুলের চৌকাঠ মাড়াননি। এমন একটি পরিবারে প্রথম শিক্ষার আলো জ্বেলেও অনিশ্চয়তায় তাপস খয়রা। সাঁইথিয়ার পুনুর গ্রামে খড়ের চালের ছোট্ট মাটির বাড়ি তাপসের। তাঁর বাবা রিকশা চালক, মা ইট ভাটার শ্রমিক। ছোট্ট একটা ঘরে মা-বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে গাদাগাদি করে থাকতে হয়। তার উপরে |
|
বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই। একটা হ্যারিকেনেই দুই ভাইয়ের পড়াশোনা। পাশাপাশি বাড়ির যাবতীয় কাজ সামাল দিতে হয় তাঁকে। সমস্ত প্রতিকুলতা জয় করে তাপস এ বার কেদারপুর ভবানন্দ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কলা বিভাগে ৩৯৯ নম্বর পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন। কিন্তু তার আক্ষেপ থেকেই গিয়েছে। কারণ অর্থাভাবে তাঁর বাবা টিউশন দিতে পারেননি। দিদির বিয়ে দিতে গিয়ে বিকিয়ে দিতে হয়েছে ঘটি-বাটি। বাবা-মায়ের আয়ে জোড়াতালি দিয়ে কোনও রকমে |
|
সংস্কার চলে। তাই ভূগোল নিয়ে পড়াশোনা করে শিক্ষকতা করার ইচ্ছে থাকলেও অনিশ্চয়তার ভুগছেন তাপস। তাঁর কথায়, “এত দিন কোনও রকমে পড়া চালিয়ে যেতে পেরেছি। কিন্তু কলেজে পড়ার খরচ তো অনেক!” ছেলের সাফল্যের পরেও রাতের ঘুম উবে গিয়েছে বাবা অনাথবাবুর। তিনি বলেন, “জানি না কী করে কী হবে? অর্থের জন্য হয়তো ছেলেকে আর পড়াতে পারব না!” স্কুলের প্রধান শিক্ষক নির্মল চক্রবর্তী বলেন, “এর আগে আমাদের স্কুল থেকে কেউ কলা বিভাগে তাপসের মতো নম্বর নিয়ে পাশ করেনি। আমরা যতটা পারি ওকে সাহায্য করব।” |
যোগাযোগ০৭৭৯৭৭৮৭০৮৮। |
ছবি: অনির্বাণ সেন। |
|