|
|
|
|
মাধ্যমিকে ভাল ফল করেও চিন্তার ভাঁজ অমৃতর কপালে |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²পূর্বস্থলী |
বাঁশের বেড়া ও টিনের ছাউনি দিয়ে ঘেরা এক চিলতে ঘর। সেখানেই মাধ্যমিকে ভাল ফল করার স্বপ্ন দেখত বছর ষোলোর অমৃত দেবনাথ। স্বপ্নপূরণ হয়েছে। তবে এখন ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তায় অমৃত।
পূর্বস্থলী ১ ব্লকের চাঁদপুর গ্রামের বাসিন্দা অমৃত। বাবা রাধেশ্যাম দেবনাথ তাঁত শ্রমিক। অভাবেব সংসারে মা আরতিদেবীকেও চরকায় সুতো কাটতে হয়। পরিবারের একমাত্র সম্তান অমৃত ছোট থেকেই ভাল ফল করে আসছে। পড়াশোনার ফাঁকে বাবা-মাকেও কাজে সাহায়্য করে সে। স্থানীয় বিদ্যানগর গয়ারামদাস বিদ্যামন্দিরের এই ছাত্র এ বার মাধ্যমিকে পরীক্ষা দিয়েছিল। স্কুলের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে অমৃতই। তার মোট প্রাপ্ত নম্বর ৭২৪। বাংলায় ১৬৬, ইংরেজিতে ৯২, অঙ্কে ৯৮, ভৌত বিজ্ঞানে ৯৯, জীবন বিজ্ঞানে ৯৫, ভূগোলে ৯৪ ও ইতিহাসে ৮০। |
অমৃত দেবনাথ।
নিজস্ব চিত্র |
এলাকার সকলের পরিচিত ছিপছিপে চেহারার এই ছেলেটিকে নিয়ে অবশ্য দুশ্চিন্তার শেষ নেই দেবনাথ পরিবারের। মা আরতিদেবী বলেন, “ফল বেরোনোর পর থেকেই চোখের পাতা এক করতে পারছি না। ছেলে বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চায়। কিন্তু তাতে তো অনেক খরচ। কী ভাবে অত টাকা জোগাড় করব জানি না।” বাবা রাধেশ্যামবাবুর কথায়, “অমৃত আমাদের একমাত্র সন্তান। কোনও দিন ওকে সে ভাবে গৃহশিক্ষকের কাছেও পড়াতে পারিনি। তা সত্ত্বেও যে ছেলে এত ভাল ফল করবে ভাবিনি কখনও। জানি না, এ বার ওকে কী ভাবে পড়াশোনা করাব।” মা-বাবাকে চিন্তিত দেখে মন খারাপ অমৃতের। বলল, “অভাবের মধ্যেও |
|
বাবা-মা আমাকে সব সময় পড়াশোনা করার জন্য উৎসাহ দিয়েছে। এখন আমার জন্য কষ্ট পাচ্ছে দেখে খারাপ লাগছে।” অমৃতের বিজ্ঞান বিভাগের গৃহশিক্ষক বিনয় মণ্ডলের কথায়, “অমৃত নিখুঁত ভাবে নিজের কাজ বুঝে নিত। বিজ্ঞান নিয়ে পড়া শোনা করলে ও অনেক দূর এগোবে।”
চাঁদপুর গ্রামের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য বিরাজ অধিকারী অমৃতকে সঙ্গে নিয়ে এলাকার বিধায়ক তথা বিদ্যানগর গয়ারামদাস বিদ্যামন্দিরের সম্পাদক স্বপন দেবনাথের কাছে গিয়েছিলেন। তিনি জানান, স্কুলের সঙ্গে কথা বলে ইতিমধ্যেই ছাত্রটির ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া তাকে কিছু বইপত্রও দেওয়া হয়েছে। পরে আরও কিছু সাহায্যের আশ্বাস দেন তিনি। |
|
|
|
|
|