লোহা মাফিয়া রামলক্ষ্মণ যাদব ও তাঁর সঙ্গীদের খুনে জড়িত এক অপরাধীর ছবি আঁকালো পুলিশ। ঘটনার দিন এক অপরাধীকে সবার শেষ রিভলভার হাতে শনিমন্দির এলাকা দিয়ে হেঁটে যেতে দেখেছিলেন বাসিন্দারা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা শুনে পেশাদার শিল্পীকে দিয়ে তারই ছবি আঁকানো হয়েছে।
তবে খুনের পাঁচ দিন পরেও পুলিশ কাউকে ধরতে পারেনি। বর্ধমানের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর অবশ্য দাবি করেন, তদন্তের কাজ ‘সফল ভাবেই’ এগোচ্ছে। অপরাধীর ছবি আঁকানো নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও তিনি বলেন, “আমরা সম্ভাব্য সব দিকেই তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। ঘুঁটি সাজানো হচ্ছে। দ্রুত অপরাধীদের ধরে ফেলব।”
গত বৃহস্পতিবার আসানসোলের কোর্ট মোড় এলাকায় নির্মীয়মাণ বহুতলে খুন হন রামলক্ষ্মণবাবু। প্রোমোটারি ব্যবসায়ে নেমে প্রথম এই বহুতল নির্মাণেই তিনি হাত দিয়েছিলেন। তাঁদের গুলি করে আততায়ীরা যখন বেরিয়ে যায়, এক জনকে সবার শেষে শনিমন্দিরের সামনের রাস্তা ধরে হেঁটে যেতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের বর্ণনা থেকে পুলিশ জেনেছে, লোকটির উচ্চতা প্রায় ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি। সুঠাম গড়ন, রঙ শ্যামলা। সুন্দর করে ছাটা দাড়ি, গোঁফের দুই প্রান্ত দাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া। মাথার চুল পিছনের দিকে পেতে আঁচরানো। চোখ দু’টি বড় ও উজ্বল। পরনে ছিল সাদা-কালো ডোরার চকচকে ফুলহাতা জামা, হাতা কনুই পর্যন্ত গোটানো। ছাইরঙের ট্রাউজার্স, পায়ে স্পোটর্স জুতো, হাতে ওঁচানো রিভলভার। শনিমন্দিরের সামনের রাস্তা ধরে কোর্ট রোড পুজো কমিটি অফিস পর্যন্ত গিয়ে সেখান থেকে একটি মোটরবাইকে উঠে সে পালায়।
ওই খুনের ঘটনায় এখনও কাউকে ধরা না গেলেও বিভিন্ন ঘটনায় অভিযুক্ত ১৫ জনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এবং গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে। প্রত্যেককেই জেল হাজতে পাঠিয়েছেন বিচারক। এক মাত্র একটি খুনে অভিযুক্ত লোহা মাফিয়া, বার্নপুরের ইমতিয়াজ খানকে ৪ দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। রামলক্ষ্মণ খুনেও সে জড়িত ছিল কি না, তাকে জেরা করে পুলিশ তা বোঝার চেষ্টা করছে। |