|
|
|
|
|
|
|
কমলার পিঠে, মিঠে গলার গান
জীবনের নানান স্বাদের সুর আর তাল নিয়ে গল্প। অরুন্ধতী হোমচৌধুরী |
|
আমার জন্ম ও স্কুলজীবন কেটেছে ত্রিপুরায়। আগরতলার কুঞ্জবনের প্রতিটা রবিবারই ছিল আনন্দের। আমরা ছিলাম দুই বোন, এক ভাই। পাঁঠার মাংস রবিবারের নিয়মিত পদ। মা বিভিন্ন রকম স্বাদের মাংস রান্নায় ছিলেন সিদ্ধহস্ত। যে কোনও রান্নায় পাকটাই আসল, আর মা সেটাকেই রপ্ত করেছিলেন। তাই এত জায়গায় খেয়েও টক দই দিয়ে মায়ের হাতের রুই মাছের কালিয়ার স্বাদ আজও মুখে লেগে আছে।
প্রতিটা নিরামিষ পদও মা বেশ তরিবত করেই রাঁধতেন। এক একটা রবিবার মোচার ঘণ্ট বানাতেন। খাবার প্রসঙ্গে মায়ের হাতের পিঠে-পুলির কথা না বললেই নয়। এমনিতে পৌষ সংক্রান্তির সময় তো ঘটা করে পিঠেপুলি হত। ছোলার ডালের পিঠে কিংবা কমলা লেবুর পিঠে খেতে আমাদের বাড়ি ভিড় লেগে যেত। রবিবার বা অন্যান্য ছুটিতেও মা নানা ধরনের মিষ্টি বানাতেন। |
আগরতলার খুব বিখ্যাত দু’টি মিষ্টি হল ‘ক্ষীরতোয়া’ আর ‘ছানার পায়েস’। রবিবার হলে মিষ্টি দু’টি প্রায়ই আসত বাড়িতে। আজও আগরতলায় গেলে, এ দু’টি মিষ্টি আমার চাই-ই। ১০-১২ বছর বয়স থেকে আমার গানের ঝোঁকটা বাড়তে লাগল। যে কোনও গান হারমোনিয়ামে তুলে গাইতাম। স্কুল শেষ হতেই চলে এলাম কলকাতায়। ভর্তি হলাম রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। থাকতে শুরু করলাম হস্টেলে।
হস্টেল জীবনে সারা সপ্তাহ রান্না নিয়ে ভাবার সময় থাকত না। রবিবার হলেই চলে যেতাম রান্নাঘরে। রান্নার ঠাকুরকে দিতাম নানান পরামর্শ। রবিবারের সকালে লুচি-তরকারি বা অন্য টিফিনটা যেন একটু স্পেশাল হয়। তার পর লাঞ্চে মাংসটা যেন খুব ভাল করে রান্না করা হয় ইত্যাদি।
আমার এ সব গিন্নিপনাতে দিদিমণিরা রাগ করতেন না, বরং প্রচ্ছন্ন একটা প্রশ্রয় থাকত। অবশ্য তার কারণ গান। রেডিয়োতে গানটান শুরু করে দিয়েছি। এ রকমই সময়ে হঠাৎই ছবিতে প্লেব্যাক-এর সুযোগ এসে গেল। আমি তখন মূলত গাইতাম রবীন্দ্রসঙ্গীত। এটা বলছি ’৭৩-’৭৪ সালের কথা। পরিচালক সরোজ দে-র ছবি ‘যে যেখানে দাঁড়িয়ে’ ছবিতে দু’টি গান গাইলাম। সাগর সেনের সঙ্গে দ্বৈতকণ্ঠে ‘এমন করে যায় যদি দিন যাক না’ আর একটা সোলো, ‘নীল দিগন্তে ওই সুরের আগুন ’।
প্রথম ছবিতেই বি এফ জে এ পুরস্কার পেলাম। ‘দত্তা’ ছবিতে সুচিত্রা সেনের লিপে গাইলাম ‘মোর বীণা ওঠে কোন সুরে বাজি’। দুর্দান্ত সব অফার এল। এর পরই ‘সাথী’ ছবিতে ‘যেতে যেতে কিছু কথা’ হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ডুয়েট জীবনটা ভাগ্যের জোরে বদলে গেল অনেকটাই। |
শিবাজির (চট্টোপাধ্যায়) সঙ্গে বিয়ের পর আর এক রকম রান্নার স্বাদ এসে লাগল জিভে। আমার ছেলে ও শিবাজি নানা রকম পদ আমার হাতে খেতে পছন্দ করে। গোবিন্দভোগ চালের মুড়িঘণ্ট, বাগদা চিংড়ি উইথ গ্রেভি, চিতল মাছের মুইঠ্যা এবং মাংসের হাল্কা কিছু পদ ওদের খুব পছন্দের। তাই রবিবারের সকালে গান গাইবার তাগিদ না থাকলেই ঢুকে পড়ি রান্নাঘরে। আমার ছেলে আর একটা আইটেম খুব পছন্দ করে, বলতে গেলে আমার উদ্ভাবনা নুডলস বড়া। বাচ্চা-বড় সবার জন্যেই একটা চটজলদি স্বাস্থ্যকর মুখরোচক টিফিন। নুডলসটা সেদ্ধ করে ময়দা-ডিম ও সব্জি দিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিই। তার পর সাদা তেলে উল্টে-পাল্টে ভেজে নিই।
বাহারি ঘণ্ট
সব ধরনের মরশুমি সব্জি ছোট টুকরো করে কেটে রাখুন। কড়াইতে তেল দিন। তেল গরম হলে সব্জিগুলো দিয়ে অল্প জল দিয়ে নাড়তে থাকুন। খেয়াল রাখুন সব সব্জি যাতে মিশে যায়। তার পর আদা বাটা, হলুদ, নুন, ধনে, জিরেগুঁড়ো (ভাজা) দিয়ে সব্জির সঙ্গে ভাল করে মিশিয়ে দিন। মাখোমাখো হয়ে এলে পাত্রে নামিয়ে রাখুন। আগে থেকে কুরিয়ে রাখা নারকেল ও ভেজে রাখা বড়ির গুঁড়ো দিয়ে রান্নাটার ওপর সাজিয়ে দিন। মনে রাখবেন, প্রথমে নারকেল ও পরে বড়িগুঁড়ো দিয়েই গার্নিশ করবেন। পরিবেশনের সময় পিস করে কেটে পাতে দিন।
গোবিন্দভোগ চালের মুড়িঘণ্ট
মাছের মাথা কেটে পরিষ্কার করে নুন, হলুদ মাখিয়ে ভেজে রাখুন। পরিমাণ মতো গোবিন্দভোগ চাল ভিজিয়ে রাখুন। এর পর একটু বেশি করে আদা, পেঁয়াজ ও রসুন বেটে নিন। কড়াইতে সর্ষের তেল দিন। তেল গরম হলে ভিজে চাল ছেঁকে কড়াইতে দিয়ে সঙ্গে বাটা মশলাগুলো মিশিয়ে ভাল করে নাড়তে থাকুন। মাছের মাথাগুলো ভেঙে দিয়ে অল্প জল দিয়ে ফোটান। কিছুক্ষণ পর দেখবেন চালটা সেদ্ধ হয়ে গেছে। তখন পরিমাণ মতো নুন, গরমমশলা, কিশমিশ ও ঘি দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন।
বাগদা চিংড়ি উইথ গ্রেভি
মাঝারি মাপের বাগদা চিংড়ি এনে ভাল করে বেছে রাখুন। নুন-হলুদ মাখিয়ে ভেজে নিন। আদা-রসুন বেটে রাখুন। পেঁয়াজ, ক্যাপসিকাম ছোট কুচি করে কেটে নিন। ফ্রাই প্যানে সাদা তেল দিন। তেল গরম হলে পেঁয়াজ ক্যাপসিকাম, গোটা কাঁচালঙ্কা, লঙ্কার গুঁড়ো, টমেটো, চিনি, সুইট অ্যান্ড সাওয়ার সস ও আন্দাজ মতো নুন দিন। আন্দাজ মতো জল দিয়ে ভাল করে নাড়ুন। এ বার গ্রেভিটা হয়ে গেলে মাছগুলো দিয়ে ভাল করে কষে নিন। কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ওপর থেকে পেঁয়াজ ও শশা গার্নিশ করে পরিবেশন করুন রুটি, পরোটা কিংবা ভাতের সঙ্গে।
|
খাওয়াবদল: চটজলদি ডিনার |
ধরুন বাড়িতে হঠাৎ কয়েকজনকে ডেকে ফেলেছেন। তার পরই খেয়াল হয়েছে, দিনটা ওয়ার্কিং ডে, ৬টায় পৌঁছে রাঁধবেন কী করে? হয়ে যাবে। বাড়ির ফেরার পথে বাজারে এক বার নেমে কিনে নিন প্রয়োজন মতো মুরগি, চিংড়ি আর মাথাগুনতি ডিম। তিনটে পদ করতেও পারেন, নাও করতে পারেন। তবে সময়ের জন্য আটকাবে না। ও, সঙ্গে একটু রসুনের আচার, আদা, রসুন, পেঁয়াজ, একটা আমুলের মসালা চিজ, কিছুটা বিচি ছাড়ানো অলিভ, থাইম আর ২০০ গ্রাম হ্যাম নিন।
সময় কমানোর আসল ব্যাপারটা প্ল্যানিং। প্রথমেই একটু নুন দিয়ে মুরগিটা সেদ্ধ বসিয়ে দিন। হকিন্স হলে তিনটে সিটি, প্রেসটিজ হলে আপনার সময়ের আন্দাজ। পাশের বার্নারে ডিমটা সেদ্ধ বসান। এই সময়টুকুতে পেঁয়াজ, আদা রসুন, কেটে ফেলুন।
এ বার একটা একটা করে ধরুন। আর শেষ করুন। ডিমের ব্যাপারটা খুবই সোজা। সেদ্ধ হয়ে গেলে সোজা আধাআধি কেটে ফেলুন। একটা পাত্রে আমুলের ওই মসালা চিজটা ঢেলে আন্দাজ মতো জল মিশিয়ে একটু পাতলা করে নিন। এ বার সেদ্ধ ডিমগুলো ওতে ডুবিয়ে দিন। ব্যস, শেষ!
সেদ্ধ মুরগির টুকরোগুলো অল্প তেলে আদা, পেঁয়াজ দিয়ে ভেজে নামানোর আগে থাইম ছিটিয়ে দিন।
চিংড়িটাতে ওই টক আচারটা মাখিয়ে একটা গোটা রসুনের সব কোয়া আর পেঁয়াজ দিয়ে ভেজে ফেলুন। স্বাদ বুঝে অল্প টম্যাটো সস দিতে পারেন। সময় পেলে আর রাইস কুকার থাকলে বা প্রেশার কুকারে ম্যানেজ করতে পারলে জলের বদলে চিকেন স্টক দিয়ে ভাত রান্না করুন, তাতে অলিভ আর হ্যামের টুকরো দিন। দেখবেন কী হাল্লাটা লেগে যায়! |
এখন থেকে ‘খাওয়াবদল’-এ পাঠাতে পারেন মজার মজার রেসিপি। শব্দসীমা: ২০০।
পাঠান: খাওয়াবদল,
রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১ |
|
সাক্ষাৎকার: অরুন্ধতী মুখোপাধ্যায়
ছবি: ওঙ্কারনাথ |
|
|
মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর নতুন ঠিকানা চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম। এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের |
l চিরকাল রূপকথায় পড়ে এসেছি মন্ত্রী মানেই তাঁর সঙ্গে সর্বক্ষণ সান্ত্রি ঘুরে বেড়ায়। ২০ মে-র পর থেকে দেখছি গল্পটা বদলে গিয়েছে। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর সদাসঙ্গী মোটেও আর সান্ত্রি নয়, স্যান্ট্রো।
পরিবর্তন! দেবযানী। বড়িশা
l মুখ্যমন্ত্রী সটান আজ এ হাসপাতালে, কাল ও পুলিশ লাইনে ঢুঁ মারছেন। সমস্যা নোট করছেন। তবে যদি এমন হয়, তিনি হঠাৎ আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের একটি ‘বিশেষ’ অফিসে হানা দিলেন, এবং বললেন, ‘নমস্কার বিমানদা, শরীর কেমন? কর্মীদের কোনও সমস্যা নেই তো? সব হোলটাইমার-পার্ট টাইমার যেন জুলাই থেকে ১ তারিখে বেতন পান; আমি সব করে দিয়েছি। আজ চলি, কেমন!’
সুশান্ত ঘোষাল। কালনা
l এখন মহাকরণের সামনে রোজকার রবীন্দ্রসঙ্গীত: চরণ ধরিতে দিয়ো গো আমারে, নিয়ো না নিয়ো না সরায়ে...
অঞ্জন দাস। হাবরা
l ফিকি ছেড়ে এলেও অর্থমন্ত্রীকে এখন ব্যস্ত থাকতে হবে রাজ্য অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার ফিকির খুঁজতে!
বাপি গঙ্গোপাধ্যায়। মল রোড
l উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গে মানুষের মনে মায়া-মমতা থাকলেও তামিলনাড়ুতে মানুষ বিন্দুমাত্র করুণা দেখাতে নারাজ!।
কাজী পারভেজ। হরিণঘাটা
l দীর্ঘদিন ধরে শুধু সিপিএম-এর কর্মী ইউনিয়ন করার দৌলতে যে সমস্ত পুলিশ কর্মী, ডাক্তার বা প্রশাসক কর্মচারী পছন্দ মতো জায়গায় পোস্টিং আছেন, এ বার তাঁদের দিকে আঙুল তুলে তৃণমূলের এই ধরনের ইউনিয়নগুলি স্লোগান তুলতেই পারে: ‘বদলা নয়, বদলি চাই’!
বাপী। ব্যান্ডেল
l ভোটে ভরাডুবি হলেও ভবিষ্যতে বামফ্রন্টের রাজনৈতিক ভূমি পুনরুদ্ধার ও সংগঠনের স্বাস্থ্য ফিরে পাওয়ার আশা আছে। কারণ, রেজ্জাক মোল্লা (ভূমিমন্ত্রী) ও সূর্যকান্ত মিশ্র (স্বাস্থ্যমন্ত্রী) দু’জনেই এ বারের ভোটে জিতেছেন। পাশাপাশি জিতে আসা সুভাষ নস্করকেও (সেচমন্ত্রী) বাঁধ দিয়ে বেনোজল আটকাবার দায়িত্ব নিতে হবে!
সুরজিত সাধুখা। বারাসাত
l চিতাবাঘ এখন মোটেও হিংস্র নয়, সৌন্দর্য-পিপাসুও বটে! তার প্রমাণ ‘ড্রিমগার্ল’-এর বাংলোয় প্রবেশ। বেচারা চিতা, হেমা যে অনুপস্থিত, তার খবরটাই জানা ছিল না। তাই দুঃখে অন্তর্ধান!
উজ্জ্বল গুপ্ত। তেঘড়িয়া
l বার্সা মানে এখন ফুটবলের ভরা বর্ষা আর ধোনি মানে ক্রিকেট-সাফল্যের ধনবর্ষা!
সায়ন্তন। রবীন্দ্রপল্লি |
|
|
|
টেলিভিশন কী ভাবে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে? না, চোখ খারাপ করে দিয়ে নয়। ১৯৬০-এর দশকের শেষ দিক পর্যন্ত ক্যাথোড রে টিউব টেলিভিশন সেট খুব কম মাত্রার আল্ট্রাভায়োলেট রেডিয়েশন ছড়াত। তাই দর্শকদের পরামর্শ দেওয়া হত যে, ছ’ফুটের কম দূরত্বে বসে টেলিভিশন না দেখাই ভাল। বাচ্চাদের বিপদের ভয়টাই ছিল বেশি। কারণ, তাদের চোখ খুব সহজেই দূরত্ব অ্যাডজাস্ট করতে পারে বলে বাচ্চারা বড়দের চেয়ে অনেক বেশি কাছে বসে টেলিভিশন দেখতে পারে।
প্রায় ৪০ বছর আগে আইন করে ক্যাথোড রে টেলিভিশন নির্মাতাদের সীসা লাগানো কাচ ব্যবহার করতে বাধ্য করা হয়। তার ফলে টেলিভিশন পুরোপুরি নিরাপদ হয়ে ওঠে।
প্রশ্ন উঠতে পারে, তা হলে বিপদটা কোথায়? বিপদটা হল এই যে, টেলিভিশন একটা অলস জীবনধারা তৈরি করে। বহু মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা টেলিভিশন সেটের সামনে সোফায় বা খাটে গা এলিয়ে বসে থাকেন। অনেকেই আবার টেলিভিশন দেখতে দেখতে কোলা জাতীয় ড্রিঙ্ক আর নানান ধরনের ভাজাভুজি খেতে থাকেন। এর ফলে ওজন অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা যায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, গত ২০ বছরে ব্রিটেনের বাচ্চাদের মধ্যে মেদবহুলতার প্রবণতা তিনগুণ বেড়েছে। গবেষণা টেলিভিশনের দিকেই আঙুল তুলেছে। ব্রিটেনের তিন-ন’বছর বয়সী বাচ্চারা সপ্তাহে চোদ্দো ঘণ্টা টিভি দেখে। এবং এক ঘণ্টা খেলাধুলো বা ছোটাছুটি করে।
২০০৪ সালে ‘পেডিয়াট্রিক্স’ নামক বাচ্চাদের স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি পত্রিকা গবেষণা করে দেখেছিল, যে সব বাচ্চা দিনে দুই থেকে তিন ঘণ্টা টেলিভিশন দেখে, তাদের মনোযোগ কমে যাওয়ার অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা অন্য বাচ্চাদের তুলনায় তিরিশ শতাংশ বেশি।
২০০৫ সালে নিয়েলসন নামক বিখ্যাত গবেষণা সংস্থা জানায়, যে আমেরিকার বাড়িতে প্রতিদিন গড়ে আট ঘণ্টা টিভি দেখা হয়। আমাদের মনে হয় খোঁজ নিলে দেখা যাবে, আমরাও তেমন পিছিয়ে নেই, তাই একটু সংযম ভাল। |
তথ্যসূত্র: দ্য বুক অব জেনারেল ইগনোরেন্স
|
|
|
নানান ভাবে সবাই ছড়ায় নিজের মহিমা।
আপনি দাদা ছাড়িয়ে গেছেন সব রকমের সীমা।
প্রশ্নপত্রে স্ব-তুলনায় মহাত্মাকে টানি,
ঘটিয়েছেন গোটা দেশে বিকট মানহানি।
ঘুঁটের মালা এ বারে তাই তব গলায় বাঁধি,
অশোক গেহলট, ওরফে আঁধি এবং ‘মাড়ওয়ারের গাঁধী’ |
|
|
|
গরিব লোকের জন্য ন্যানো, বড়লোকরা চড়ছে কেন
উল্টোডাঙায় অটোর পিছনে প্রশ্ন। |
|
|
|
ক্ষমা চাইছি |
|
তখন আমার বয়স চোদ্দো-পনেরো হবে। ক্লাস নাইনে পড়ি। একই বাড়িতে আমরা দুই ভাড়াটে পাশাপাশি থাকতাম। পাশের ভাড়াটে ছিলেন সত্তর বছর বয়সী এক ভদ্রলোক। ওঁর হুঁকোয় ধূমপান করার নেশা ছিল। এক দিন শীতের রাতে খাওয়াদাওয়া করার পর তিনি বারান্দায় বসে চোখ বুজে হুঁকো টানছিলেন। বালকসুলভ চপলতায় আমার মাথায় এক দুষ্টু বুদ্ধি এল। একটা শুকনো লঙ্কা নিয়ে সবার অলক্ষ্যে গুঁজে দিলাম কলকেতে। স্রেফ মজা দেখবার জন্য, কী হয়? মিনিট দুয়েকের মধ্যে ওঁর সাংঘাতিক কাশি শুরু হয়ে গেল। একটু পরে ওই বয়স্ক ভদ্রলোক হুঁকো মাটিতে ফেলে দিয়ে কাশির দমকে গোঙাতে শুরু করলেন। তবে ভাগ্য ভাল যে বাড়াবাড়ি হয়নি। উনি সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। এখন আমার বয়স চুয়ান্ন। এই বয়সেও আমি সে-দিনকার ঘটনা ভুলতে পারিনি। উনি এখন আর পৃথিবীতে নেই। আমার অপরিণত বয়সের কৃতকর্মের জন্য তাঁর আত্মার কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।
তথাগত সরকার, উত্তর ২৪ পরগনা |
|
মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর
নতুন বিভাগ। চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম।
এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের। ই মেল-এ অথবা ডাকে, চিঠি পাঠান। ই-মেল: chirkut.rabi@abp.in
চিঠি: চিরকুট, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১ |
|
|
|
|
|
|