|
|
|
|
অচলাবস্থায় আলোচনা চায় প্রশাসন |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²মালদহ |
অক্রুরমণি করোনেশন ইনস্টিটিউশনে অচলাবস্থা কাটাতে নিগৃহীত শিক্ষিকা ও অভিযুক্ত শিক্ষককে নিয়ে প্রধান শিক্ষককেআলোচনায় বসার পরামর্শ দিলেন সদর মহকুমাশাসক সমনজিত সেনগুপ্ত। মহকুমাশাসক বলেন, “যা ঘটেছে তা স্কুলের ব্যাপার। দু’পক্ষকে আলোচনায় বসে অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ মিটিয়ে নেওয়ার জন্য বলেছি। দু’পক্ষই রাজি হয়েছেন। এর পরেও যদি আলোচনায় বসে সমস্যার সমাধান না হয়, তাহলে স্কুলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি ব্যবস্থা নিতে পারবে।” ২৮ মে স্কুলের ইংরাজির শিক্ষিকা মধুমিতা বসু অভিযোগ করেন, তাঁকে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক চঞ্চল রায়ের নেতৃত্বে শিক্ষক উৎপল গুণ মারধর করেন। শাড়ি ধরে টানাটানি করে ও গলার সোনার হার ছিনিয়ে নিয়েছেন। শিক্ষিকার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রধান শিক্ষক ও অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, ছিনতাই ও মারধরের মামলা দায়ের করে। পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষকদের থানায় আত্মসমর্পণ করার জন্য চাপ দিতে থাকে। অন্য দিকে, স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করার পিছনে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ রয়েছে বলে স্কুলের পরিচালন কমিটির সম্পাদক উত্তরবঙ্গের আই জির কাছে এসপির বিরুদ্ধে নালিশ জানান। অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগে অক্রুরমণির ইনস্টিটিউশনের পঠনপাঠনে বিঘ্ন ঘটে। দু’পক্ষের অভিযোগ পেয়ে সদর মহকুমাশাসক স্কুলের শিক্ষিকা নিগ্রহের ঘটনার তদন্ত করার জন্য জেলা স্কুল (মাধ্যমিক) পরিদর্শককে নির্দেশ দেন। জেলা বিদ্যালয় (মাধ্যমিক) পরিদর্শক শিক্ষক, অভিভাবক এবং ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলে ১ জুন তার রিপোর্ট সদর মহকুমাশাসকে জমা দেন। পুলিশ শিক্ষিকা নিগ্রহে প্রধান শিক্ষিক সহ অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, মারধর-সহ একাধিক মামলা দায়ের করলেও সদর মহকুমাশাসক সমনজিত সেনগুপ্ত তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর জানিয়েছেন, “স্কুল চলাকালীন অভিযোগকারী শিক্ষিকা মধুমিতা বসুর সঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষক উৎপল গুণের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষক ওই শিক্ষিকাকে মারধর করেননি। এমনকী শাড়ি ধরে টানাটানি ও হার ছিনতাইয়ের কোনও ঘটনা ঘটেনি। শিক্ষিকার অভিযোগ সঠিক নয়।” অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে ডি আই যে রিপোর্ট দেন সে ব্যাপারে মধুমিতা বসু বলেন, “ডি আই এক পক্ষের সঙ্গে কথা বলে, প্রধান শিক্ষকের ঘরে চা খেয়ে একপেশে রিপোর্ট করেছেন। সদর মহকুমাশাসক বিবাদ মেটানোর জন্য আলোচনায় বসার যে পরামর্শ দিয়েছেন, তা নিয়ে ভাবছি। আলোচনায় বসব কিনা?” অভিযুক্ত শিক্ষক উৎপল গুণ বলেন, “আমার ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষিকা যে অভিযোগ তুলেছিলেন, তা যে ভিত্তিহীন, মনগড়া তা ডি আইয়ের তদন্ত রিপোর্টেই স্পষ্ট।” অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “যেখানে অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ উঠেছে তাতে এখনই অভিযুক্তদের পুলিশ গ্রেফতার করবে না।” |
|
|
|
|
|