|
|
|
|
|
|
|
একা একা মন, ভরে কেনাকাটায় |
চলতি ফ্যাশনের সঙ্গে তাল মেলানোয় নেই, কিন্তু ও স্রোতে কিছু মনে ধরলে,
নিমেষেই তুলে নেন। টমবয় লুকের ফ্যান, সেলেব ওয়ার্ডরোব-এ সোহিনী পাল |
তখন হাইস্কুলে। দুম করে এসেছিল সুযোগটা। অভিনয়ের হাতেখড়ি হয়ে গেল অঞ্জন দত্তর ছবিতে। ‘বো-ব্যারাক’-এর পর ঝুলিতে একে একে ঢুকে পড়ল জ্যাকপট’, ‘ওগো বিদেশিনী’, ‘অটোগ্রাফ’-এর মতো ছবি। সঙ্গে চলে এল অভিনেতা বাবার মেয়ে - এই পরিচয় ছাপিয়ে অভিনয় জগতে নিজস্ব পরিচিতি। কিন্তু স্পষ্টবক্তা সোহিনী বলেন, ‘অভিনয়ে করি আর না করি, আমি তাপস পালের মেয়েই থাকব। ওটাই আমার প্রথম পরিচয়। অভিনয় জগতে এই পরিচয়ে পরিচিত হলে অসুবিধে কোথায়? ভবিষ্যত নিয়ে একেবারেই ভাবি না। এই মুহূর্তে শুধু ভাল কাজ করে যেতে চাই।’ |
নিজস্বতা সোহিনীর সাজপোশাকেও। পছন্দ শর্টস আর স্কার্ট। বাড়িতে তো বটেই, বাইরেও সমান স্বচ্ছন্দ এই দুইয়ে। সোহিনীর কথায়, ‘ঝামেলা নেই, সহজে ক্যারি করা যায়। আর এই গরমের জন্য তো আদর্শ।’ পছন্দ ডেনিমও। বিশেষত ব্লু-ডেনিম। ওয়ার্ডরোবে রয়েছে দুটি। গত পাঁচ বছর ধরে একটানা পরে চলেছেন। মনের এত কাছাকাছি যে এদের বাতিলের দলে ফেলার কথা ভাবতেই পারেন না। রোজকার জীবনে পশ্চিমী পোশাকে অভ্যস্ত হলেও পছন্দ রেখার ভারতীয় স্টাইল। ইদানীং কালে ভাল লাগে সোনম কাপুরের সাজ। আর ভরসা রাখেন নিজস্ব স্টাইলে। চলতি ফ্যাশনের সঙ্গে পা না মেলালেও ফ্যাশনের খোঁজ-খবর ঠিকই রাখেন। সোহিনীর কথায় ‘সব পোশাক তো আর সবাইকে মানায় না। তবু চলতি ফ্যাশন থেকে কিছু তুলে এনে নিজের স্টাইলে খানিক নতুনত্ব আনা যায় তো ক্ষতি কী? অবশ্যই সেটা যদি আমাকে মানায়।’ সাজগোজ নিয়ে মাঝে মাঝেই খুনসুটি হয়ে যায় মায়ের সঙ্গে । সোহিনীর পছন্দ টমবয় লুক। মা চান মেয়ের সাজে থাকুক সাবেকি ছোঁয়া। এই নিয়েই যত্ত গোলমাল। তার পর? ‘মা আমাকে প্যাম্পার করতে থাকে। বলে, পরে দেখ এটাতেই তোকে বেশি ভাল দেখাচ্ছে। আর আমি তো পরব না। এরকমটা বেশ কিছ ুক্ষণ চলতে থাকে।’
শাড়ির সাজে
নিত্য দিনের জন্য পশ্চিমী পোশাক। অথচ বিয়ে হোক বা কোনও ঘরোয়া অনুষ্ঠান, সোহিনীকে দেখা যাবে পাক্কা বাঙালি সাজে। এ সব ক্ষেত্রে শাড়ি ছাড়া অন্য কিছু ভাবতেই পারেন না। বললেন, ‘শাড়িতে সবাইকে খুব অন্যরকম দেখায়। আর দারুণ সব নকশার ব্লাউজ পরা যায়। আমার সংগ্রহে আছে বেশ কিছু ডিজাইনার ব্লাউজ।’ আর শাড়ি? ‘গুণে গুণে পনেরটা’। তাই জন্য একটুও নিরাশ নন সোহিনী। কারণ মায়ের সংগ্রহে আছে অঢেল শাড়ি। ‘আমি গর্ব করে বলতে পারি আমার মায়ের শাড়ির কথা। সত্যিই, দেখার মতো। আর চাইলেই পেয়ে যাই। গত বছর কিনেছিল একটা কালো নেটের শাড়ি। ওপরে ছোট ছোট গোলাপি ফুলের নকশা। উফ, অ-সাধারণ।’
একা একা কেনাকাটা
শপ্যাহলিক মোটেই নন। তবে হুটহাট এটা সেটা কেনাকাটা হয়েই যায়। ব্যাপারটা অনেকটা রথ দেখা কলা বেচার মতো। সোহিনীর কথায় ‘মুভি দেখতে গেলাম, তো কিছু ড্রেস কিনে ফেললাম। গত মাসেই তিনটে ড্রেস কিনে ফেলেছিলাম। একটু বেশি দাম দিয়েই। ওয়ালেট গড়ের মাঠ। ড্রেসগুলো অবশ্য সত্যিই সুন্দর। দেখলে ওয়ালেটের দুঃখ ভুলে যাই।’ তবে যাই কিনুন, একা একা। কেউ সঙ্গে না থাকলে মন ভরে কেনাকাটা করা যায়। আর বাবা? ‘বাবা তো আমার জন্য কিছু কিনতেই ভয় পায়। ছোট বড় হয়ে যায়। কিছু দিন আগে দিল্লী থেকে দুটি কুর্তি এনেছে। কেনার আগে আমাকে ফোন করে ডিজাইনটা বলেছিল। আমারও মনে হল বাবা আমার জন্য কিনতে চাইছে। রাজি হয়ে গেলাম। পরে দেখলাম সত্যিই সুন্দর। ইতিমধ্যেই পরে ফেলেছি।’ |
সাক্ষাৎকার:
রুমি গঙ্গোপাধ্যায় |
|
|
|
|
|