|
|
|
অমন করে তাকালে হবে! খরচা? কম আছে |
এখন তো এমন গরম যে স্নান করে বেরনোর পর মুহূর্তেই ঘেমে নেয়ে একসা। কিন্তু
ফেস বাঁচাতে
ফেশিয়াল আছে যে! জানতে হবে তো। কস্তুরী মুখোপাধ্যায় ভারভাদা |
সকাল ৯.২০-র মেট্রো। পার্ক স্ট্রিট মেট্রো স্টেশন। অফিস যাত্রীদের ঠাসাঠাসি ভিড়। হঠাৎ এক জনের সঙ্গে চোখাচোখি। মনে হল সে যেন কয়েক বার তাকাল। তাহলে কি চেনা কেউ? স্কুল বা কলেজের...কিন্তু কই মনে পড়ছে না তো। ওঃ, এ বার ব্যাপারটা বোঝা গেছে। গরমে ঘামে চোখ মুখের চেহারা এমন হয়েছে যে ওই মহিলা আমাকে বারবার দেখছিলেন। এ রকম কিন্তু আমাদের অনেকেরই মনে হয়। আসলে ওই মহিলাটি হয়তো নিছকই তাকিয়ে আছেন, কিন্তু আপনার মনে হচ্ছে নিশ্চয়ই আমার কালিঝুলি মাখা ঘর্মাক্ত মুখটিই দেখছেন।
তরমুজের মতো তরতাজা থাকতে একটু পরিশ্রম আপনাকে করতে হবে। গরমকালের প্রধান সমস্যা ত্বকের জল শুকিয়ে যাওয়া। বাড়িতে থাকুন বা বাইরে যান, নিমেষের মধ্যে জল শুকিয়ে যাবে। এই কারণে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য হারিয়ে যায়, ট্যান হয়ে যায় ও দ্রুত বলিরেখা দেখা দেয়। সুতরাং গরমে ক্লান্ত হয়ে ত্বকের পরিচর্যায় ছেদ টানলে চলবে না। সারা জীবনের ক্ষতিটা আপনাকে মেনে নিতে হবে। |
|
সাধারণ ফেশিয়ালগুলি ত্বকের ওপরের স্তরের মৃত কোষগুলিকে নিশ্চিহ্ন করে, কিন্তু কিছু ফেশিয়াল আছে যেগুলি ত্বকের অভ্যন্তরে কাজ করে আপনার ত্বককে সারা জীবন সজীব ও সতেজ রাখে। যেমন ক্রায়োজেন ফেশিয়াল- এর অর্থ হিমশীতল ফেশিয়াল। অর্থাৎ এই গরমে একটা ঠান্ডা অনুভূতি আপনাকে সর্বদা ঘিরে থাকবে। এই ফেশিয়ালে যে জেল ব্যবহার করা হয় সেটি সামুদ্রিক শৈবালের উপাদান। পাওয়া যায় সমুদ্রের গভীরে। এগুলি আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী।
|
|
ফেশিয়াল পদ্ধতি: প্রথমে শুরু হয় ক্লেনজিং দিয়ে। মিন্ট ক্লেনজার দিয়ে সমগ্র মুখ ভাল ভাবে পরিষ্কার করা হয়। মিন্টের উপস্থিতির ফলে আপনার মুখ ঠান্ডা হয়ে যায় এবং গরমে যে অস্বস্তি ভাব থাকে সেটিও উধাও হয়ে যায়। এর পর নেগেটিভ গ্যালভানিক দিয়ে ২/৩ মিনিট পিলিং করা হয়। এর ফলে ত্বকের ওপরের স্তরে জমা মৃত কোষগুলি চলে যায়। আপনার ত্বক স্বাভাবিক ভাবে শ্বাস নিতে পারবে এ বার। সেটি অত্যন্ত জরুরি, পার্লারে সম্ভব না হলে গরমকালে এক দিন অন্তর যে কোনও একটি স্ক্রাবার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। এতে ওপরের স্তরের পিগমেন্টেশন চলে যায়। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে।
|
|
দ্বিতীয় ধাপ: এই পর্যায়ে জেল দিয়ে মাসাজ করা হয়। এতে ব্যবহৃত হয় মিন্ট জেল। এই জেলটি তৈরি হয় কতগুলি এসেনশিয়াল অয়েলের মিশ্রণে। যেমন রোজমেরি, জ্যাসমিন ও লেমন অয়েল। এতে কিছু মিনারেলও থাকে। এগুলি আপনার ত্বকে ঠান্ডা ভাব বজায় রাখে। এ বার পজিটিভ গ্যালভানিক দিয়ে এই জেলকে ত্বকে বসিয়ে দেওয়া হয়।
তৃতীয় ধাপ: মাসাজ শেষ হলে মাস্ক লাগানো শুরু হয়। এই প্যাক একটি গুঁড়ো বিশেষ। এর মধ্যে থাকে সিলিকেট ও কার্বোনেট। এই উপাদানগুলি আমাদের ত্বককে উজ্জ্বল ও মসৃণ করে তোলে। আমাদের ত্বকে পি-এইচ ভারসাম্যকে বজায় রাখে। ‘রিভার্স অসমোসিস’ পদ্ধতির মাধ্যমে এই প্যাক লাগালে মুখের ভেতরের সব রকম ময়লা, আর্বজনা বেরিয়ে আসে। এই প্যাকটি গোলাপ জলের সঙ্গে মিশিয়ে লাগাতে হয়। ১৫-২০ মিনিট প্যাকটি লাগিয়ে অপেক্ষা করুন ভাল ফলের জন্য। এর পর ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নেবেন। বাড়িতে তরমুজ ও পুদিনার মিশ্রণের প্যাক তৈরি করে লাগাতে পারেন। এতেও আপনার কুলিং এফেক্ট বজায় থাকবে। |
|
শেষ ধাপ: প্যাকটি লাগানোর পর সমস্ত ময়লা যেহেতু প্যাকের মধ্যে চলে আসে তার সঙ্গে আসে আর্দ্রতা। সেই কারণে ত্বকটি শুষ্ক হয়ে যায়। এর পর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার লাগাতে ভুলবেন না।
অবশ্যই নিজস্ব ত্বকের ধরন অনুযায়ী ময়শ্চারাইজারটি লাগানো উচিত। গরমকালে ত্বকের পি-এইচ ভারসাম্য রক্ষা করা কঠিন। সেই কারণে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে, ত্বককে সজীব ও সতেজ রাখতে মাসে দু’বার এই ফেশিয়াল করলে ভাল। এই ফেশিয়াল মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যেই আছে। সুতরাং ভয় না পেয়ে আজ থেকেই শুরু করুন।
|
|
কী কী খাবেন
l কাঁচা আম পোড়ার শরবত
lপুদিনার শরবত
lশুকনো পোস্ত বাটার শরবত
কী কী খাবেন না
lরাস্তার জাঙ্ক ফুড
lকাটা ফল
lরাস্তার যে কোনও ধরনের খোলা শরবত বা ফলের রস |
|
|