|
|
|
|
হঠাৎ হাসপাতালে যুবকল্যাণ মন্ত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²কৃষ্ণনগর |
কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে ‘দালাল রাজ’ খতিয়ে দেখতে আচমকাই হাজির হয়েছিলেন যুবকল্যাণ মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক উজ্জ্বল বিশ্বাস। শুক্রবার দুপুরে প্রায় ঘণ্টা খানেক হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসকদের গাফিলতি ও দালালচক্র নিয়ে সুপারের সামনে নিজের উষ্মাও আড়াল করেননি তিনি।
সুপারের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক সেরে মন্ত্রীর কড়া নির্দেশ, “দালাল চক্র পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। গ্রামের দরিদ্র মানুষ ওদের কাছে সর্বস্ব খোয়াচ্ছে। বাধ্য হয়ে তাঁদের নার্সিংহোমে চিকিৎসা করাতে হচ্ছে। এ সব আর চলবে না। মানুষকে উপযুক্ত পরিষেবা দিতে হবে। চিকিৎসকেরা নিজেদের কাজ ফেলে রেখে নার্সিংহোম কিংবা চেম্বারে রোগী দেখতে না পারেন সে জন্য ডিউটির তালিকা তৈরি করতে হবে।” |
|
সুপারের সঙ্গে বৈঠক মন্ত্রীর। নিজস্ব চিত্র। |
সুপার কাজল মণ্ডল হাসপাতালের পরিকাঠামোর উন্নয়নের কথা বলতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন মন্ত্রী। তাঁর কথায়, “পরিকাঠামোর উন্নতি হবে। তার আগে হাসপাতালে দালালচক্র বন্ধ করুন!” তাঁর অভিযোগ, দালালরাই ‘ডিসচার্জ সার্টিফিকেট’ লেখেন। চিকিৎসকের হয়ে তারাই প্রেসক্রিপশন লেখেন। এমনকি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চিকিৎসক নইলে নিজেদের লাভের জন্য প্রেসক্রিপশন লিখে দেন ওষুধের দোকানের লোক। মন্ত্রীর অভিযোগ মেনে নিয়েছেন কাজলবাবু। তিনি বলেন, “বিভিন্ন কারণে এত দিন হাসপাতালে দালালের দাপট বন্ধ করতে পারিনি।”
কিন্তু তাঁর দফতর তো যুবকল্যাণ, স্বাস্থ্য বিভাগের কাজকর্ম তিনি খতিয়ে দেখছেন কেন? উজ্জ্বলবাবুর সাফাই, “আমি স্থানীয় লোক। হাসপাতালের দুরবস্থার কথা জানতে পেরে এসেছিলাম। এ কথা মখ্যমন্ত্রীর কাছেও জানাব।” তিনি জানান, বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালেও তাঁর অভিজ্তা প্রায় একইরকম। তিনি বলেন, “ওই হাসপাতালে তো চিকিৎসকের সংখ্যা এক। সেখানে তিনি কথা বলেন জরুরি বিভাগের কর্মী এবং চিকিৎসকের সঙ্গেও। |
|
|
|
|
|