|
|
|
|
হাসপাতালের স্বাস্থ্য ফেরাতে উদ্যোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা ² শিলিগুড়ি |
জেলার স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতি ঘটাতে একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করলেন শিলিগুড়ির বিধায়ক রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য। শুক্রবার বিকালে শিলিগুড়ির মহকুমা পরিষদ হলে জেলাশাসক ও জেলার স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিধায়ক। বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানান, শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের পরিকাঠামোর উন্নয়নের সঙ্গে নার্সিংহোমগুলির পরিষেবার উন্নতি ঘটাতে তৎপর রাজ্য সরকার। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ১ জন শল্য চিকিৎসক নিয়োগ করা হবে। বর্তমানে হাসপাতালে ২ জন শল্যচিকিৎসক রয়েছেন। তার মধ্যে ১ জন অসুস্থতার কারণে পুরোপুরি দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না বলে তিনি জানান। এ ছাড়াও হাসপাতালের কর্মী থেকে নার্স, চিকিৎসক সকলের গলায় পরিচয় পত্র ঝোলানো বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জরুরি মুহূর্তে অপারেশন থিয়েটারের জন্য ২টি ইনভার্টারের ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানান। হাসপাতালে একটি জেনারেটর থাকলেও তা যথেষ্ট নয় বলে বিধায়ক জানান। গর্ভবতী মহিলাদের শয্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বৈঠকে। বর্তমানে শিলিগুড়ি হাসপাতালে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য ৩৬টি শয্যা রয়েছে। এবারে তা বাড়িয়ে ৫০টি শয্যা করা হবে। এর জন্য আলাদা একটি ভবন তৈরি করা হয়েছে বলে বিধায়ক জানান। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মী সংখ্যার তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সুপার সুশান্ত সরকারকে। এদের মধ্যে কারা কতদিন ধরে আছেন সেটাও ওই তালিকায় উল্লেখ রাখতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, “রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত ওই তথ্য সংগ্রহ করে তা পাঠানো হবে।” বর্তমানে শিলিগুড়ি হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা ৩২০টি। তা বাড়ানো হবে বলেও বিধায়ক জানান। এ ব্যপারে আলোচনার জন্য রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠক ডাকার কথা জানিয়েছেন তিনি। শিলিগুড়িতে ৫৩টি নার্সিংহোম রয়েছে। ওই নার্সিংহোমগুলি বিশদে তথ্য সংগ্রহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কত দিন ধরে নার্সিংহোম চলছে, চিকিৎসক, নার্স, কর্মীদের সংখ্যা কত এবং তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা সহ রিপোর্য তৈরি করতে বলা হয়েছে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবীর ভৌমিককে। হাসপাতালে অপারেশন সহ বিভিন্ন পরীক্ষা, চিকিৎসকের ফি মূল্য তালিকা টাঙানোও বাধ্যতামূলক করার ব্যপারেও সিএমওএইচকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাতে যাতে প্রত্যেকটি এলাকায় একিট করে ওষুধের দোকান যাতে খোলা রাখে সে ব্যপারেও সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে তিনি জানান। রাতে সংশ্লিষ্ট দোকানের সামনে পুলিশ পাহারার ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানান। সে ব্যপারে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা ওষুধ ব্যবসায়ীদের সংগঠনের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি জানান। এ ছাড়াও এইচআইভি আক্রান্ত রোগীদের যাতে কোনও নার্সিংহোমে অবহেলা না করা হয় সে ব্যপারে উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, “এইচআইভি রোগী নানা সমস্যা নিয়ে নার্সিংহোমে গেলে তাঁদের ভর্তি নেওয়া হয় না। সেটা যাতে না হয় সে ব্যপারে সিএমওএইচ ব্যবস্থা নেবেন। এর পরেও ওই ঘটনা ঘটলে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” বৈঠকে সিএমওএইচ, শিলিগুড়ি হাসপাতালের সুপার ছাড়াও দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক মোহন গাঁধী উপস্থিত ছিলেন। |
|
|
|
|
|