|
|
|
|
দফতর সোমবারে |
কংগ্রেসের পাঁচ মন্ত্রী শপথ নিলেন |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²কলকাতা |
কংগ্রেসের পাঁচ প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার বিকালে রাজভবনে শপথ নিলেন। তবে এ দিন তাঁদের দফতর বন্টন করেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তাঁদের দফতর বন্টন হতে পারে বলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জানিয়েছেন। শপথ নেওয়ার পরে মন্ত্রীরা সকলে মহাকরণে যান। সেখানে প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী এবং পরে মানসবাবুর সঙ্গে তাঁদের প্রাথমিক আলোচনা হয়। |
|
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে কংগ্রেসের পাঁচ প্রতিমন্ত্রী। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র |
মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সৌগত রায়, শিশির অধিকারী, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র, সহকারী বিরোধী দলনেতা সুভাষ নস্কর, পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিক এবং কলকাতার মার্কিন দূতাবাসের কনসাল জেনারেল বেথ পেন প্রমুখের উপস্থিতিতে রাজভবনের থ্রোন রুমে রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন কংগ্রেসের প্রতিমন্ত্রীদের শপথ বাক্য পাঠ করান। প্রথমে শপথ নেন কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক প্রমথনাথ রায়। তারপরে একে একে শপথ নেন সুজাপুরের বিধায়ক, প্রয়াত গনি খানের ভাই আবু নাসের খান চৌধুরী (লেবু), বহরমপুরের বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী, ফাঁসিদেওয়ার বিধায়ক সুনীল তিরকে ও মোথাবাড়ির বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন।
শপথ নেওয়ার পরে সাবিনা মঞ্চ থেকে নেমেই সামনের সারিতে বসে থাকা মমতাকে প্রণাম করেন। মমতা তাঁর মাথায় হাত দিয়ে বলেন, “ঠিক আছে। ভাল করে কাজ করতে হবে সাবিনা।” রাজভবনে প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীকে দেখে আবেগে কেঁদে ফেলেন প্রমথবাবু। দু’জনেই অসুস্থ কংগ্রেস নেতা প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির ঘনিষ্ঠ। প্রমথবাবু বলেন, “২০০৬-এ হেরে যাওয়ার পর প্রিয়দা বলেছিলেন, পরের বার আমি জিতব ও মন্ত্রী হব। প্রিয়দার অনুপস্থিতি অনুভব করছি।” শপথ শেষে চা-চক্রে লেবুবাবুর কাছে গিয়ে গনি খানের স্মৃতিচারণ করেন রাজ্যপাল। মন্ত্রীদের মধ্যে লেবুবাবু একমাত্র শপথ নেন ইংরেজিতে। বাকিরা বাংলায়। অনুষ্ঠানে কংগ্রেসের আবু তাহের খান, গোলাম রব্বানি ছাড়া কংগ্রেস-তৃণমূলের কোনও বিধায়ককে দেখা যায়নি। সরকারি সূত্রের খবর, থ্রোন রুমে স্থানাভাবের কারণে সকলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। |
|
|
|
|
|