|
|
|
|
গ্যাস সিলিন্ডার এলেও চালু হয়নি পরিষেবা |
নিজস্ব সংবাদদাতা ² মানবাজার |
প্রায় এক সপ্তাহ আগে গুদামে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার এসে গিয়েছে। তবুও গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থা চালু না হওয়ায় ক্ষোভ দেখা গিয়েছে মানবাজারে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ন’বছর আগে মানবাজারে রান্নার গ্যাস পরিবেশক হিসেবে তফসিলি সম্প্রদায়ভুক্ত এক মহিলার নাম অনুমোদন হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থা চালু হয়নি। সম্প্রতি মানবাজার থানার গোলকিডি গ্রামের কাছে একটি গুদামঘর ও পরিবেশক অফিস নির্মিত হয়। এক সপ্তাহ আগে গ্যাস সিলিন্ডার এসে গিয়েছে।
মানবাজারের বাসিন্দা পুস্তক বিক্রেতা বাপি মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “গ্যাস সরবহার ব্যবস্থা চালু না হওয়ায় এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে গ্যাসের কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে চড়া দামে কিনতে বাধ্য করাচ্ছেন।” বাসিন্দাদের অভিযোগ, “গ্যাস সরবরাহকারক হিসেবে কয়েক বছর আগে বাঁকুড়ার কয়েক জন ব্যবসায়ী গ্রামে গ্যাসের সংযোগ ও গ্যাসের জোগান দিতেন। পরে ওই সব ব্যবসায়ীরা চড়া দামে খোলা বাজারে গ্যাস বিক্রি করছেন।” পুরুলিয়া বাসমালিক সমিতির সদস্য মনোজ মুখোপাধ্যায়, স্থানীয় চাঁদড়া স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের কথায়, “৬ ০০-৬৫০ টাকা দিয়ে গ্যাস কিনতে হচ্ছে। সরকারি সরবরাহ ব্যবস্থা চালু না হলে গ্যাস নিয়ে কালোবাজারি বন্ধ হবে না।”
বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, “অনেক সময় রান্নার গ্যাস দিয়েও ছোট গাড়ি চালানো হচ্ছে। যে কোনও সময়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।” পুলিশ জানায়, রান্নার গ্যাস দিয়ে গাড়ি চালানোর লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরকারি গ্যাস পরিবেশকের পক্ষে দেবদাস মণ্ডল বলেন, “২৭ মে গুদামে গ্যাস মজুত হলেও, বিক্রয়ের নির্দেশ এখনও এসে পৌঁছয়নি। সরকারী কর্তাদের উপস্থিতিতে গ্যাস বিক্রয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হওয়ার কথা।” একটি রাষ্ট্রীয় তেল সংস্থার দুর্গাপুর জোনের ডেপুটি ম্যানেজার আরপি চট্টোপাধ্যায় বলেন, “গুদামে মাল মজুত রয়েছে। অফিস সংক্রান্ত কিছু কাজ বাকি আছে। সেগুলি শেষ হলে সেখান থেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করা হবে।” |
|
|
|
|
|