পুরুলিয়া জেলা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারপার্সন দীপক দাস বলেন, “গ্রামবাসীরা আমাকে যখন বিষয় জানিয়েছিলেন, ততক্ষণে বিধায়ক মহকুমাশাসকের (সদর) সঙ্গে যোগাযোগ করে ফেলেছিলেন। তিনি পুরুলিয় ২ ব্লকের বিডিওকে গ্রামে গাড়ি পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে খবর পাওয়ার পরেই পুলিশের উচিত ছিল শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া। এ নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে কথা বলব।”
এ দিন হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, আলাদা খাটে অঘোরে ঘুমোচ্ছে শিশুটি। নার্স মোনালিসা জানা, সুমনা ষড়ঙ্গী, তপশ্রী মিশ্র-সহ অন্যান্য নার্সরা শিশুটির পরিচর্যা করছেন। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ রমাদাস মুর্মু বলেন, “ওজন কম রয়েছে। কয়েক দিন তত্ত্বাবধানে রাখতে হবে।” হাসপাতালের ডেপুটি সুপার তপন মাইতি বলেন, “চিকিৎসকেরা যতদিন মনে করবেন, ততদিন শিশুটি হাসপাতালে থাকবে। তার পরে নিয়ম অনুযায়ী শিশুকল্যাণ কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হবে।”
ইতিমধ্যে গ্রামবাসীরা শিশুটির নামকরণও করে ফেলেছেন। পথের ধারে মিলেছে বলে বাসিন্দারা তার নাম রেখেছেন শকুন্তলা। আর নার্সরা তার নাম রেখেছেন সৃজনী। পুরুলিয়ার বিধায়ক কেপি সিংহদেও বলেন, “পুলিশ সব জেনেও কেন উৎসাহ দেখাল না, তা পুলিশ সুপারের কাছে জানতে চাইব।”
|